ঢাকা ০১:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৫

বিদেশি কূটনীতিকদের আরও ভেবেচিন্তে কথা বলা ঠিক হবে: ইসি আনিছুর

  • আপডেট সময় : ০৩:১৮:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ নভেম্বর ২০২২
  • ১৩৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিদেশি কূটনীতিকেরা দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কী বলতে পারেন, তা কনভেনশনে বলা আছে জানিয়ে নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান বলেছেন সেই অনুযায়ী তাঁদের চলাফেরা করার কথা। যাঁরা বলছেন, তাঁদের আরও ভেবেচিন্তে কথা বলা ঠিক হবে।
গতকাল বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আনিছুর রহমান এসব কথা বলেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে জাপানের রাষ্ট্রদূতের সাম্প্রতিক মন্তব্য ও বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের বক্তব্য নিয়ে বুধবার নির্বাচন কমিশনের (ইসি) মন্তব্য জানতে চান সাংবাদিকেরা। জবাবে আনিছুর রহমান বলেন, ‘কোন প্রেক্ষাপটে কী বলেছেন, এটা তাঁরাই ভালোই জানেন। ব্যক্তিগতভাবে মন্তব্য করতে চাই না। এটা তাঁদের নিজস্ব এখতিয়ার। আমাদের এখতিয়ারের মধ্যে পড়ে না। তাঁরা যেটা বলেছেন, সেটা সত্য কি মিথ্যা, সেটা তাঁরাই ভালো জানেন।’
বিদেশি কূটনীতিকদের মন্তব্যে ইসি কোনো চাপে আছে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আনিছুর রহমান বলেন, তাঁদের ওপর কোনো চাপ নেই। সরকার বা বিরোধী দল বা অন্য কেউ ইসিকে কিছু বলেনি।
আনিছুর রহমান বলেন, ‘বিদেশিদের ব্যক্তিগত কথা, না তাঁদের দেশের কথা, সেটাও পরিষ্কার হওয়া উচিত বলে মনে করি। ব্যক্তি হিসেবে অনেক কথা বলতে পারি। কিন্তু নির্বাচন কমিশনার হিসেবে অনেক কথা বলতে পারব না। ব্যক্তিগত একটা বিষয় আছে। আরেকটি হলো, তাঁর দেশ। যাঁরা বলেন, তাঁদের আরও ভেবেচিন্তে কথাবার্তা বলা মনে হয় ঠিক হবে। আমি এ বিষয়ে আর না বলাই ভালো।’
কূটনৈতিক বিষয়গুলো জেনেভা কনভেনশন (প্রকৃতপক্ষে ভিয়েনা কনভেনশন) অনুযায়ী হয় উল্লেখ করে আনিছুর রহমান বলেন, প্রতিটি দেশেরই একটি স্বকীয়তা আছে। কনভেনশনের মধ্যে কূটনীতিকদের থাকা ভালো। তাঁরা বিবেচনা করে দেখতে পারেন, তাঁরা এর মধ্যে কতটুকু আছেন।
আরেক প্রশ্নের জবাবে আনিছুর রহমান বলেন, ‘আমার জানা নেই, পৃথিবীর কারও ভোট নিয়ে (বিদেশিরা) মাথা ঘামায় কি না বা কেউ বলে কি না বা পরামর্শ দেয় কি না। তাঁরা মন্তব্য করেন এ জন্য, সাহস নিশ্চয়ই কেউ করে দিয়েছেন। না হলে সাহস পান কেন? আমরা তো মনে করি, প্রত্যেকেরই বিচরণের ক্ষেত্রের সীমাবদ্ধতা আছে।’
এদিকে গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচন প্রসঙ্গে আনিছুর রহমান বলেন, উপনির্বাচনে অনিয়ম নিয়ে তদন্ত কমিটির দুটি প্রতিবেদনই ইসি হাতে পেয়েছে। আগামী সপ্তাহে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে আনিছুর রহমান বলেন, অপরাধী বিশালসংখ্যক, এটা সত্য। তিরস্কার করাটাও শাস্তি। কারও ক্ষেত্রে হয়তো সেটা হতে পারে। কারও ক্ষেত্রে দ- হতে পারে। ফৌজদারি অপরাধের ক্ষেত্রে ইসি মামলা করতে পারে। আবার কিছু ক্ষেত্রে নির্বাচনসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানকে বলতে হবে। প্রশাসন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। কারও ক্ষেত্রে বিভাগীয় ব্যবস্থা হতে পারে। কারও শোকজ হতে পারে। ওই উপনির্বাচনে প্রার্থীদের এজেন্টের অনিয়ম ইসি দেখেছে উল্লেখ করে আনিছুর রহমান বলেন, ‘বুথে ঢুকেছে, কোথাও কোথাও বাটন টিপে দিয়েছে। এগুলো দেখেছি। এগুলো তো একেবারেই অসত্য নয়। আর আইনে প্রার্থীদের লোক করা মানে তো প্রার্থীর করা। প্রার্থীর এজেন্ট মানেই প্রার্থী। একই তো কথা। প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্টের অপরাধ প্রার্থীর ওপর বর্তায়। এখানে একেবারে ফেলে দেওয়ার কিছু নেই। আমরা এটা দেখব।’

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

বিদেশি কূটনীতিকদের আরও ভেবেচিন্তে কথা বলা ঠিক হবে: ইসি আনিছুর

আপডেট সময় : ০৩:১৮:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ নভেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিদেশি কূটনীতিকেরা দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কী বলতে পারেন, তা কনভেনশনে বলা আছে জানিয়ে নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান বলেছেন সেই অনুযায়ী তাঁদের চলাফেরা করার কথা। যাঁরা বলছেন, তাঁদের আরও ভেবেচিন্তে কথা বলা ঠিক হবে।
গতকাল বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আনিছুর রহমান এসব কথা বলেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে জাপানের রাষ্ট্রদূতের সাম্প্রতিক মন্তব্য ও বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের বক্তব্য নিয়ে বুধবার নির্বাচন কমিশনের (ইসি) মন্তব্য জানতে চান সাংবাদিকেরা। জবাবে আনিছুর রহমান বলেন, ‘কোন প্রেক্ষাপটে কী বলেছেন, এটা তাঁরাই ভালোই জানেন। ব্যক্তিগতভাবে মন্তব্য করতে চাই না। এটা তাঁদের নিজস্ব এখতিয়ার। আমাদের এখতিয়ারের মধ্যে পড়ে না। তাঁরা যেটা বলেছেন, সেটা সত্য কি মিথ্যা, সেটা তাঁরাই ভালো জানেন।’
বিদেশি কূটনীতিকদের মন্তব্যে ইসি কোনো চাপে আছে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আনিছুর রহমান বলেন, তাঁদের ওপর কোনো চাপ নেই। সরকার বা বিরোধী দল বা অন্য কেউ ইসিকে কিছু বলেনি।
আনিছুর রহমান বলেন, ‘বিদেশিদের ব্যক্তিগত কথা, না তাঁদের দেশের কথা, সেটাও পরিষ্কার হওয়া উচিত বলে মনে করি। ব্যক্তি হিসেবে অনেক কথা বলতে পারি। কিন্তু নির্বাচন কমিশনার হিসেবে অনেক কথা বলতে পারব না। ব্যক্তিগত একটা বিষয় আছে। আরেকটি হলো, তাঁর দেশ। যাঁরা বলেন, তাঁদের আরও ভেবেচিন্তে কথাবার্তা বলা মনে হয় ঠিক হবে। আমি এ বিষয়ে আর না বলাই ভালো।’
কূটনৈতিক বিষয়গুলো জেনেভা কনভেনশন (প্রকৃতপক্ষে ভিয়েনা কনভেনশন) অনুযায়ী হয় উল্লেখ করে আনিছুর রহমান বলেন, প্রতিটি দেশেরই একটি স্বকীয়তা আছে। কনভেনশনের মধ্যে কূটনীতিকদের থাকা ভালো। তাঁরা বিবেচনা করে দেখতে পারেন, তাঁরা এর মধ্যে কতটুকু আছেন।
আরেক প্রশ্নের জবাবে আনিছুর রহমান বলেন, ‘আমার জানা নেই, পৃথিবীর কারও ভোট নিয়ে (বিদেশিরা) মাথা ঘামায় কি না বা কেউ বলে কি না বা পরামর্শ দেয় কি না। তাঁরা মন্তব্য করেন এ জন্য, সাহস নিশ্চয়ই কেউ করে দিয়েছেন। না হলে সাহস পান কেন? আমরা তো মনে করি, প্রত্যেকেরই বিচরণের ক্ষেত্রের সীমাবদ্ধতা আছে।’
এদিকে গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচন প্রসঙ্গে আনিছুর রহমান বলেন, উপনির্বাচনে অনিয়ম নিয়ে তদন্ত কমিটির দুটি প্রতিবেদনই ইসি হাতে পেয়েছে। আগামী সপ্তাহে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে আনিছুর রহমান বলেন, অপরাধী বিশালসংখ্যক, এটা সত্য। তিরস্কার করাটাও শাস্তি। কারও ক্ষেত্রে হয়তো সেটা হতে পারে। কারও ক্ষেত্রে দ- হতে পারে। ফৌজদারি অপরাধের ক্ষেত্রে ইসি মামলা করতে পারে। আবার কিছু ক্ষেত্রে নির্বাচনসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানকে বলতে হবে। প্রশাসন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। কারও ক্ষেত্রে বিভাগীয় ব্যবস্থা হতে পারে। কারও শোকজ হতে পারে। ওই উপনির্বাচনে প্রার্থীদের এজেন্টের অনিয়ম ইসি দেখেছে উল্লেখ করে আনিছুর রহমান বলেন, ‘বুথে ঢুকেছে, কোথাও কোথাও বাটন টিপে দিয়েছে। এগুলো দেখেছি। এগুলো তো একেবারেই অসত্য নয়। আর আইনে প্রার্থীদের লোক করা মানে তো প্রার্থীর করা। প্রার্থীর এজেন্ট মানেই প্রার্থী। একই তো কথা। প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্টের অপরাধ প্রার্থীর ওপর বর্তায়। এখানে একেবারে ফেলে দেওয়ার কিছু নেই। আমরা এটা দেখব।’