ঢাকা ০১:০১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৫

বিদেশিদের হাতে বন্দর ইজারার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে অনশন কর্মসূচি

  • আপডেট সময় : ০৯:১১:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ নভেম্বর ২০২৫
  • ৪ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

প্রত্যাশা ডেস্ক: বিদেশিদের হাতে চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) ইজারার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে অনশন কর্মসূচি পালন করছে শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ)।

শনিবার (১ নভেম্বর) সকাল ১০টা থেকে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে অনশন কর্মসূচি পালন করেছেন সংগঠনের নেতারা। শ্রমিক নেতারা বলেছেন, চট্টগ্রাম বন্দর লাভজনক সত্ত্বেও বিদেশি কোম্পানির ব্যবসায়িক স্বার্থ ও আন্তর্জাতিক সাম্রাজ্যবাদীদের এ অঞ্চলকে কেন্দ্র করে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে নিউমুরিং টার্মিনাল ও লালদিয়ার চর বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার চক্রান্ত চলছে। বিনা প্রতিরোধে এ চুক্তি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অন্তর্বর্তী সরকার বন্দর এলাকায় একমাসের জন্য সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে। আওয়ামী লীগ সরকার বিনা টেন্ডারে ডিপি ওয়ার্ল্ডকে নিউমুরিং টার্মিনাল তুলে দেওয়ার আয়োজন সম্পন্ন করেছিল। গণ অভ্যুত্থানের পরও বর্তমান সরকার কেন আওয়ামী লীগের এ চক্রান্ত বাস্তবায়নের কাজ এগিয়ে নিচ্ছে, তার জবাব সরকারকে দিতে হবে।

তারা আরো বলছেন, চট্টগ্রাম বন্দর রক্ষায় চট্টগ্রামের নাগরিক, শ্রমিক, পেশাজীবী, ছাত্ররা ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। প্রয়োজনে কঠোর কর্মসূচি দিয়ে দেশবিরোধী এ তৎপরতা প্রতিহত করা হবে। সম্প্রতি বন্দরের মাশুল বাড়ানো বিষয়টিকে ষড়যন্ত্রের অংশ বলে দাবি করছেন তারা।
নেতারা বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর বছরে আড়াই হাজার কোটি টাকার ওপর লাভে আছে। তারপরও বিদেশি কোম্পানির হাতে বন্দর তুলে দেওয়ার আগে তাদের মুনাফা নিশ্চিতের জন্য সরকার বন্দরের ট্যারিফ ৪১% বাড়িয়েছে। অথচ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার এক্তিয়ার ও ন্যায্যতা নেই। কিন্তু বর্তমান সরকার যে রকম তড়িঘড়ি ও কারও মতামতের তোয়াক্কা না করে এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করছে, তাতে প্রবল সন্দেহ গণীভূত হয়ে উঠেছে, সরকার কাদের অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে উঠেপড়ে লেগেছে? অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশে একাধিক বন্দর নেই, দেশের সিংহভাগ আমদানি রপ্তানি যে বন্দর দিয়ে হয়, সে বন্দর বিদেশি কোম্পানিকে কেউ তুলে দেয় না। এছাড়া চট্টগ্রাম বন্দরের অবস্থানগত কারণে এর সঙ্গে দেশের সার্বভৌমত্ব-নিরাপত্তার কৌশলগত প্রশ্নও যুক্ত।
কর্মসূচিতে গণমুক্তি ইউনিয়ন সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রাজা মিঞা, ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের সভাপতি খোরশেদ আলম, স্কপের যুগ্ম সমন্বয়ক রিজওয়ানুর রহমান, বাসদ (মার্কসবাদী) জেলা সমন্বয়ক অ্যাড. শফি উদ্দিন কবির আবিদ, বন্দর জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সেক্রেটারি ইব্রাহিম খাকন, ডক শ্রমিক দলের সেক্রেটারি আখতারউদ্দিন সেলিমসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সানা/আপ্র/০১/১১/২০২৫

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

কুড়িগ্রামে সাংবাদিকদের মানববন্ধন ও সমাবেশ

বিদেশিদের হাতে বন্দর ইজারার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে অনশন কর্মসূচি

আপডেট সময় : ০৯:১১:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ নভেম্বর ২০২৫

প্রত্যাশা ডেস্ক: বিদেশিদের হাতে চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) ইজারার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে অনশন কর্মসূচি পালন করছে শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ)।

শনিবার (১ নভেম্বর) সকাল ১০টা থেকে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে অনশন কর্মসূচি পালন করেছেন সংগঠনের নেতারা। শ্রমিক নেতারা বলেছেন, চট্টগ্রাম বন্দর লাভজনক সত্ত্বেও বিদেশি কোম্পানির ব্যবসায়িক স্বার্থ ও আন্তর্জাতিক সাম্রাজ্যবাদীদের এ অঞ্চলকে কেন্দ্র করে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে নিউমুরিং টার্মিনাল ও লালদিয়ার চর বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার চক্রান্ত চলছে। বিনা প্রতিরোধে এ চুক্তি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অন্তর্বর্তী সরকার বন্দর এলাকায় একমাসের জন্য সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে। আওয়ামী লীগ সরকার বিনা টেন্ডারে ডিপি ওয়ার্ল্ডকে নিউমুরিং টার্মিনাল তুলে দেওয়ার আয়োজন সম্পন্ন করেছিল। গণ অভ্যুত্থানের পরও বর্তমান সরকার কেন আওয়ামী লীগের এ চক্রান্ত বাস্তবায়নের কাজ এগিয়ে নিচ্ছে, তার জবাব সরকারকে দিতে হবে।

তারা আরো বলছেন, চট্টগ্রাম বন্দর রক্ষায় চট্টগ্রামের নাগরিক, শ্রমিক, পেশাজীবী, ছাত্ররা ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। প্রয়োজনে কঠোর কর্মসূচি দিয়ে দেশবিরোধী এ তৎপরতা প্রতিহত করা হবে। সম্প্রতি বন্দরের মাশুল বাড়ানো বিষয়টিকে ষড়যন্ত্রের অংশ বলে দাবি করছেন তারা।
নেতারা বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর বছরে আড়াই হাজার কোটি টাকার ওপর লাভে আছে। তারপরও বিদেশি কোম্পানির হাতে বন্দর তুলে দেওয়ার আগে তাদের মুনাফা নিশ্চিতের জন্য সরকার বন্দরের ট্যারিফ ৪১% বাড়িয়েছে। অথচ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার এক্তিয়ার ও ন্যায্যতা নেই। কিন্তু বর্তমান সরকার যে রকম তড়িঘড়ি ও কারও মতামতের তোয়াক্কা না করে এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করছে, তাতে প্রবল সন্দেহ গণীভূত হয়ে উঠেছে, সরকার কাদের অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে উঠেপড়ে লেগেছে? অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশে একাধিক বন্দর নেই, দেশের সিংহভাগ আমদানি রপ্তানি যে বন্দর দিয়ে হয়, সে বন্দর বিদেশি কোম্পানিকে কেউ তুলে দেয় না। এছাড়া চট্টগ্রাম বন্দরের অবস্থানগত কারণে এর সঙ্গে দেশের সার্বভৌমত্ব-নিরাপত্তার কৌশলগত প্রশ্নও যুক্ত।
কর্মসূচিতে গণমুক্তি ইউনিয়ন সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রাজা মিঞা, ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের সভাপতি খোরশেদ আলম, স্কপের যুগ্ম সমন্বয়ক রিজওয়ানুর রহমান, বাসদ (মার্কসবাদী) জেলা সমন্বয়ক অ্যাড. শফি উদ্দিন কবির আবিদ, বন্দর জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সেক্রেটারি ইব্রাহিম খাকন, ডক শ্রমিক দলের সেক্রেটারি আখতারউদ্দিন সেলিমসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সানা/আপ্র/০১/১১/২০২৫