ঢাকা ০৭:৩৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫

বিদায়ের সুরে প্রতিমা বিসর্জন

  • আপডেট সময় : ০২:৩৭:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৩
  • ৭৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ফুরিয়েছে দুর্গাপূজার উৎসবের দিনগুলো। গতকাল মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) ছিল শারদীয় দুর্গাপূজার বিজয়া দশমী। পাঁচ দিনব্যাপী উৎসবের শেষ দিন। গতকাল রাতে রাতে এ প্রতিবেদন লেখার সময় রাজধানীসহ সারা দেশে চলছিল বিজয়া দশমীর উৎসব শেষে প্রতিমা বিসর্জন। এর মধ্য দিয়ে শেষ হচ্ছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় এই উৎসব। এ দিন বিকেল ৩টা থেকে শুরু হয় প্রতিমা বিসর্জন। প্রথমে প্রতিমা বিসর্জন দেয় রাজধানীর ধানমন্ডি সর্বজনীন পূজা কমিটি। এরপর ওয়ারীর শঙ্খনিধি মন্দির। তেল-সিঁদুর পরিয়ে, পান, মিষ্টি মুখে দিয়ে দেবী দুর্গাকে বিদায় জানাতে রাজধানীর কেন্দ্রীয় বিসর্জন ঘাট ওয়াইজঘাটে ভিড় করেন ভক্ত ও অনুরাগীরা। এ সময় নানা ধর্মের, শ্রেণি ও পেশার মানুষের অংশগ্রহণে প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠান হাজারো মানুষের মিলনমেলায় পরিণত হয়। এর আগে চ-ীপাঠ, বোধন ও অধিবাসের মধ্য দিয়ে শুরু হয় দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব। পরবর্তী ৪ দিন রাজধানীসহ দেশব্যাপী পূজাম-পগুলোতে পূজা-অর্চনায় ভক্তরা দেবী দুর্গার প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেন। গতকাল মঙ্গলবার সকালে দর্পণ-বিসর্জনের মাধ্যমে বিদায় জানানো হয় দেবী দুর্গাকে। পরে, বিকেল ৩টা থেকে শুরু হয় প্রতিমা বিসর্জন। আর এর মধ্য দিয়ে শেষ হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় এ উৎসব। বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ জানিয়েছে, এ বছর সারা দেশে ৩২ হাজার ৪০৮টি ম-পে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে রাজধানী ঢাকায় ২৪৫টি ম-পে পূজা অনুষ্ঠিত হয়। বিজয়া দশমীতে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মাঝে অন্যরকম আবেগ ও মন খারাপ করা এক অনুভূতির সৃষ্টি হয়। কারণ, দশমী মানেই দুর্গা মায়ের ফিরে যাওয়া। অপেক্ষায় থাকতে হবে আরও একটি বছর। এদিন ম-পে ম-পে দেবীর বন্দনায় ভক্তকুলে ছিল ভিন্ন এক আবহ। ঢাকঢোল, কাঁসর-ঘণ্টাসহ বিভিন্ন বাদ্য, ধূপ আরতি ও দেবীর পূজা-অর্চনায় ছিল প্রাণখোলা উচ্ছ্বাস। পাশাপাশি ম-পে ম-পে ছিল বিদায়ের সুর। ছিল এক সুন্দর পৃথিবীর প্রার্থনা। যেখানে মানুষে-মানুষে কোনো ভেদাভেদ থাকবে না। জাতীয় জীবনে সমৃদ্ধি হবে। থাকবে শান্তি। এদিন সকাল থেকে ঢাকাসহ সারা দেশের ম-পগুলোতে শুরু হয় আনুষ্ঠানিকতা।

 

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

‘ক্ষমতায় থাকতে’ ইউনূস মৌলবাদীদের ‘একখানে করেছেন’: গয়েশ্বর

বিদায়ের সুরে প্রতিমা বিসর্জন

আপডেট সময় : ০২:৩৭:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : ফুরিয়েছে দুর্গাপূজার উৎসবের দিনগুলো। গতকাল মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) ছিল শারদীয় দুর্গাপূজার বিজয়া দশমী। পাঁচ দিনব্যাপী উৎসবের শেষ দিন। গতকাল রাতে রাতে এ প্রতিবেদন লেখার সময় রাজধানীসহ সারা দেশে চলছিল বিজয়া দশমীর উৎসব শেষে প্রতিমা বিসর্জন। এর মধ্য দিয়ে শেষ হচ্ছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় এই উৎসব। এ দিন বিকেল ৩টা থেকে শুরু হয় প্রতিমা বিসর্জন। প্রথমে প্রতিমা বিসর্জন দেয় রাজধানীর ধানমন্ডি সর্বজনীন পূজা কমিটি। এরপর ওয়ারীর শঙ্খনিধি মন্দির। তেল-সিঁদুর পরিয়ে, পান, মিষ্টি মুখে দিয়ে দেবী দুর্গাকে বিদায় জানাতে রাজধানীর কেন্দ্রীয় বিসর্জন ঘাট ওয়াইজঘাটে ভিড় করেন ভক্ত ও অনুরাগীরা। এ সময় নানা ধর্মের, শ্রেণি ও পেশার মানুষের অংশগ্রহণে প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠান হাজারো মানুষের মিলনমেলায় পরিণত হয়। এর আগে চ-ীপাঠ, বোধন ও অধিবাসের মধ্য দিয়ে শুরু হয় দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব। পরবর্তী ৪ দিন রাজধানীসহ দেশব্যাপী পূজাম-পগুলোতে পূজা-অর্চনায় ভক্তরা দেবী দুর্গার প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেন। গতকাল মঙ্গলবার সকালে দর্পণ-বিসর্জনের মাধ্যমে বিদায় জানানো হয় দেবী দুর্গাকে। পরে, বিকেল ৩টা থেকে শুরু হয় প্রতিমা বিসর্জন। আর এর মধ্য দিয়ে শেষ হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় এ উৎসব। বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ জানিয়েছে, এ বছর সারা দেশে ৩২ হাজার ৪০৮টি ম-পে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে রাজধানী ঢাকায় ২৪৫টি ম-পে পূজা অনুষ্ঠিত হয়। বিজয়া দশমীতে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মাঝে অন্যরকম আবেগ ও মন খারাপ করা এক অনুভূতির সৃষ্টি হয়। কারণ, দশমী মানেই দুর্গা মায়ের ফিরে যাওয়া। অপেক্ষায় থাকতে হবে আরও একটি বছর। এদিন ম-পে ম-পে দেবীর বন্দনায় ভক্তকুলে ছিল ভিন্ন এক আবহ। ঢাকঢোল, কাঁসর-ঘণ্টাসহ বিভিন্ন বাদ্য, ধূপ আরতি ও দেবীর পূজা-অর্চনায় ছিল প্রাণখোলা উচ্ছ্বাস। পাশাপাশি ম-পে ম-পে ছিল বিদায়ের সুর। ছিল এক সুন্দর পৃথিবীর প্রার্থনা। যেখানে মানুষে-মানুষে কোনো ভেদাভেদ থাকবে না। জাতীয় জীবনে সমৃদ্ধি হবে। থাকবে শান্তি। এদিন সকাল থেকে ঢাকাসহ সারা দেশের ম-পগুলোতে শুরু হয় আনুষ্ঠানিকতা।