ঢাকা ০১:৫৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোরের প্রধান সম্পাদকের জামিন বহাল

  • আপডেট সময় : ০২:৩৬:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ ডিসেম্বর ২০২২
  • ৯২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদীকে জজ আদালতের দেওয়া জামিন বহাল রেখেছে হাই কোর্ট। জামিন বাতিলে দুদকের করা আবেদনে এক বছর আগে হাই কোর্ট যে রুল দিয়েছিল, শুনানি শেষে তার নিষ্পত্তি করে বৃহস্পতিবার এ রায় দিয়েছে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের বেঞ্চ। এ রুলের শুনানিতে তৌফিক ইমরোজ খালিদীর পাসপোর্ট জব্দের আবেদন করেছিল দুদক, আদালত তাতে সাড়া দেযনি। হাই কোর্ট বলেছে, বিদেশে যেতে হলে তৌফিক ইমরোজ খালিদীকে আদালতের অনুমতি নিতে হবে। ‘অসাধু উপায়ে’ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ এনে ২০২০ সালের ৩০ জুলাই এই মামলা করে দুদক। তৌফিক ইমরোজ খালিদী বরাবরই সে অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন।
তিনি বলে আসছেন, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে প্রকাশিত কয়েকটি সংবাদ প্রতিবেদন ‘খুবই শক্তিশালী একটি মহলকে নাখোশ’ করেছে। সে কারণে তাকে ‘হেয় প্রতিপন্ন’ করার জন্য এই ‘সাজানো মামলা’ করানো হয়েছে। বিডিনিউজ প্রধান সম্পাদকের জামিন আটকাতে দফায় দফায় চেষ্টা করে আসছে দুদক, যাদের কাজ দুর্নীতি দমন করা। সেই আবেদনে সাড়া দেওয়ার কোনো যুক্তি আদালত দেখেনি। ২০১৯ সালের শেষ ভাগে, অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট ফার্ম এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশের কাছ থেকে ৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ পাওয়ার খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম সংবাদ প্রতিবেদন আকারে প্রকাশ করার পর তড়িঘড়ি এ বিষয়ে ‘অনুসন্ধান’ শুরুর ঘোষণা দেয় দুদক। একই সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি মহলের ‘মিথ্যা প্রচার’ শুরু হয়। বিনিয়োগের ওই টাকা ‘অবৈধ প্রক্রিয়ায়’ অর্জন করা হয়েছে অভিযোগ করে সাড়ে আট মাস পর এ মামলা করে দুদক। এরপর ২৮ মাস পেরিয়ে গেলেও সেই তদন্ত শেষ করতে পারেনি দুদক। অন্যদিকে তৌফিক ইমরোজ খালিদীর ভাষায়, “ওই এফআইআর ভুলে ভরা। তথ্যের দিক থেকে ভুলে ভরা। একটি বর্ণ সত্যি কথা নাই সেখানে।”
অনুসন্ধান, তলব এবং মামলার এজাহার- সবগুলো পর্যায়ে কমিশনের লিখিত ভাষা যেভাবে বার বার বদলে গেছে, তাকে এর আগে ‘দুদকের গোল পোস্ট বদলের নমুনা’ হিসেবে দেখিয়েছিলেন খালিদীর একজন আইনজীবী।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

নিয়ম না মেনে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর দফতরের ১৫ গাড়িচালকের নামে ঝিলমিলে প্লট বরাদ্দ

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোরের প্রধান সম্পাদকের জামিন বহাল

আপডেট সময় : ০২:৩৬:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ ডিসেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদীকে জজ আদালতের দেওয়া জামিন বহাল রেখেছে হাই কোর্ট। জামিন বাতিলে দুদকের করা আবেদনে এক বছর আগে হাই কোর্ট যে রুল দিয়েছিল, শুনানি শেষে তার নিষ্পত্তি করে বৃহস্পতিবার এ রায় দিয়েছে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের বেঞ্চ। এ রুলের শুনানিতে তৌফিক ইমরোজ খালিদীর পাসপোর্ট জব্দের আবেদন করেছিল দুদক, আদালত তাতে সাড়া দেযনি। হাই কোর্ট বলেছে, বিদেশে যেতে হলে তৌফিক ইমরোজ খালিদীকে আদালতের অনুমতি নিতে হবে। ‘অসাধু উপায়ে’ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ এনে ২০২০ সালের ৩০ জুলাই এই মামলা করে দুদক। তৌফিক ইমরোজ খালিদী বরাবরই সে অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন।
তিনি বলে আসছেন, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে প্রকাশিত কয়েকটি সংবাদ প্রতিবেদন ‘খুবই শক্তিশালী একটি মহলকে নাখোশ’ করেছে। সে কারণে তাকে ‘হেয় প্রতিপন্ন’ করার জন্য এই ‘সাজানো মামলা’ করানো হয়েছে। বিডিনিউজ প্রধান সম্পাদকের জামিন আটকাতে দফায় দফায় চেষ্টা করে আসছে দুদক, যাদের কাজ দুর্নীতি দমন করা। সেই আবেদনে সাড়া দেওয়ার কোনো যুক্তি আদালত দেখেনি। ২০১৯ সালের শেষ ভাগে, অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট ফার্ম এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশের কাছ থেকে ৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ পাওয়ার খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম সংবাদ প্রতিবেদন আকারে প্রকাশ করার পর তড়িঘড়ি এ বিষয়ে ‘অনুসন্ধান’ শুরুর ঘোষণা দেয় দুদক। একই সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি মহলের ‘মিথ্যা প্রচার’ শুরু হয়। বিনিয়োগের ওই টাকা ‘অবৈধ প্রক্রিয়ায়’ অর্জন করা হয়েছে অভিযোগ করে সাড়ে আট মাস পর এ মামলা করে দুদক। এরপর ২৮ মাস পেরিয়ে গেলেও সেই তদন্ত শেষ করতে পারেনি দুদক। অন্যদিকে তৌফিক ইমরোজ খালিদীর ভাষায়, “ওই এফআইআর ভুলে ভরা। তথ্যের দিক থেকে ভুলে ভরা। একটি বর্ণ সত্যি কথা নাই সেখানে।”
অনুসন্ধান, তলব এবং মামলার এজাহার- সবগুলো পর্যায়ে কমিশনের লিখিত ভাষা যেভাবে বার বার বদলে গেছে, তাকে এর আগে ‘দুদকের গোল পোস্ট বদলের নমুনা’ হিসেবে দেখিয়েছিলেন খালিদীর একজন আইনজীবী।