ঢাকা ০৫:৫৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ইমিগ্রেশনে পড়তে হচ্ছে জেরার মুখে

বিড়ম্বনা বাড়ছে বাংলাদেশি পাসপোর্টে

  • আপডেট সময় : ০৯:৫৫:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৫ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশি পাসপোর্ট -ছবি সংগৃহীত

প্রত্যাশা ডেস্ক: বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের ইমিগ্রেশনে জেরা করা বেড়ে গিয়েছে। বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়া, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া এবং মধ্য এশিয়ার দেশগুলোতে এই সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করেছে বলে জানিয়েছেন সেসব দেশে ভ্রমণকারীরা। বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করা ব্যক্তি, এমনকি ভ্রমণের মাধ্যমে নিজেদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরা ট্রাভেল ব্লগাররাও পড়েছেন ইমিগ্রেশনের জেরার মুখে। তাই ভ্রমণপ্রেমী কিংবা কাজের উদ্দেশ্যে বিদেশে যাওয়া অনেকেই শঙ্কা প্রকাশ করছেন। তারা তাদের অভিজ্ঞতা থেকে বলছেন-বাংলাদেশ ছাড়া অন্য কোনো দেশের পাসপোর্ট নিয়ে এমন হয়রানির মধ্যে পড়তে হয় না। এমনকি নিয়মিত যারা বিভিন্ন দেশে ঘুরতে যান, তারাও হয়রানির মধ্যে পড়েন।

দক্ষিণ এশিয়া, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া এবং মধ্য এশিয়ার
দেশগুলোতে সমস্যা প্রকট। বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করা
ব্যক্তি ও ট্রাভেল ব্লগাররাও পড়েছেন জেরার মুখে।
অথচ অন্য দেশের পাসপোর্টধারীদের
হয়রানিতে পড়তে হচ্ছে না।

একটি সংবাদসংস্থার এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এসব তথ্য। সংবাদমাধ্যমটিকে এমন অনেকেই তাদের অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন। তারমধ্যে একটি ঘটনার বর্ণনা দেন এক ভুক্তভুগী। ট্যুরিস্ট ভিসায় ঢাকা থেকে ইলেক্ট্রনিক ট্রাভেল অথরাইজেশন (ইটিএ) নিয়ে গত জুনে কলম্বো যান সাইফুর রহমান। কলম্বোর বন্দরনায়েক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন লাইনে তিনিসহ আরো ৫ জন বাংলাদেশিকে আলাদা করে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করেন সেখানকার ইমিগ্রেশনের কর্মকর্তা। জিজ্ঞাসাবাদের এক ফাঁকে ইমিগ্রেশনের কর্মকর্তারা জানান, বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীরা ভিসার অপব্যবহার করছেন -তাই এই জেরা। সাইফুর রহমান জানান, বাংলাদেশি পাসপোর্ট ছাড়া অন্য কাউকে এমন জেরার মুখে পড়তে হয় না।

ট্রাভেল ব্লগাররাও বিড়ম্বনায়: জনপ্রিয় ট্রাভেল ব্লগার নাদির নিবরাস সম্প্রতি পূর্ব আফ্রিকার দ্বীপ রাষ্ট্র সেশেলস ভ্রমণে গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি ইমিগ্রেশনে এক অদ্ভুত বিড়ম্বনার মুখোমুখি হন বলে তার ফেসবুক পেজ ‘নাদির অন দ্য গো- বাংলা’-তে প্রকাশ করেন। গত ৬ সেপ্টেম্বর তিনি লেখেন, ‘অনেক দিন ধরে ভ্রমণ করতে করতে আমি জানি, বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে গেলে বাড়তি চেক সব সময়ই থাকে। কিন্তু কয়েক সপ্তাহ আগে সেশেলসে ঢোকার সময় ব্যাপারটা একটু বাড়াবাড়ি হয়ে গেলো। আমাকে আর আমার স্পেন থেকে আসা এক বন্ধু, যার পরিবারের সবাই স্পেনের বংশোদ্ভূত, তাকে এক ঘণ্টার বেশি আটকানো হলো। ফোন করে সব হোটেল বুকিং চেক করলো। আর শুধু আমার সেশেলস থেকে মাদাগাস্কার যাওয়ার ফ্লাইট থাকাটা তাদের যথেষ্ট মনে হয়নি। মাদাগাস্কার থেকে পরের দেশের ফ্লাইটও সঙ্গে সঙ্গে দেখাতে হবে বললো। তখনও আমি মরিশাসের ভিসার জন্য অপেক্ষা করছিলাম, তাই ওটা ছিল না। বাধ্য হয়ে তখনই মাদাগাস্কার থেকে মরিশাসের একটা টিকিট কিনতে হলো, পরে সেটা ক্যানসেল করতে হয়েছে।’

তিনি আরো উল্লেখ করেন, আরো অদ্ভুত ছিল যে, আমার ওই স্পেনের বন্ধুর সঙ্গেও ঝামেলা করলো। অথচ স্প্যানিশ পাসপোর্ট তো বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্টগুলোর মধ্যে একটা। আমাদের ফ্লাইটে অন্য স্প্যানিশরা কোনো ঝামেলা ছাড়াই ঢুকে গেলো। কিন্তু সে যেহেতু আমার সঙ্গে ছিল, তাকে ব্যাংক ব্যালেন্স দেখাতে হলো-এমনকি এটিএমে গিয়ে টাকা তুলে প্রমাণ করতে হলো। এত দেরি হওয়ায় আমাদের গাড়ি রেন্টালের বুকিং মিস হয়ে যায়। আর আমাকে ৫০ ইউরো বেশি দিয়ে নতুন গাড়ি নিতে হলো। তিনি আরো উল্লেখ করেন, এয়ারপোর্ট স্টাফরা ভদ্রই ছিল, আর সেশেলসের মানুষজনও চমৎকার। কিন্তু আসল ব্যাপার হলো-বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে ভিসা-অন-অ্যারাইভাল বা অনলাইন ভিসা দেওয়া দেশে ঢুকতে গেলে প্রায়ই এই ধরনের বাড়তি ঝামেলা, সময় নষ্ট আর অতিরিক্ত খরচের মুখোমুখি হতে হয়- এমনকি সবকিছু ঠিকঠাক থাকার পরও।

বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশি পাসপোর্টের বিড়ম্বনা প্রসঙ্গে সুপরিচিত ট্রাভেল ব্লগার শিশির দেব বলেন, ‘আমি অনেক দেশেই দেখেছি, সাধারণ বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের অনেক প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। এমনকি সেদেশ থেকে বের হওয়ার সময় ফ্লাইটে ওঠার আগ পর্যন্ত বেশ কয়েকবার পাসপোর্ট, বিশেষ করে ভিসা চেক করা হয়। তবে আমি যেহেতু ট্রাভেল ব্লগ করি, ইউটিউবার পরিচয় শুনে আমাকে তেমন কোনো প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়নি। যদিও আমার সঙ্গেই লাইনে দাঁড়ানো অন্য বাংলাদেশিদের সঙ্গে এমনটা হতে দেখেছি।

বিমানবন্দর থেকে প্রতিনিয়ত ফেরত পাঠাচ্ছে মালয়েশিয়া: মালয়েশিয়ার সরকার অবৈধ অভিবাসী ঠেকাতে বেশ কঠোর হয়েছে। বিশেষ করে যারা ট্যুরিস্ট ভিসায় সেদেশে প্রবেশের চেষ্টা করছে, তাদের বেশি করে জেরা করছে। সন্দেহজনক প্রমাণ হলেই দেশে ফেরত পাঠিয়ে দিচ্ছে। গত ৩০ আগস্ট মালয়েশিয়ার বর্ডার কন্ট্রোল এবং প্রোটেকশন এজেন্সি (একেপিএস) ১০৪ জন বিদেশিকে সে দেশে প্রবেশ করতে দেয়নি। এর মধ্যে বেশিরভাগই বাংলাদেশ, ভারত এবং পাকিস্তানের নাগরিক। তাদের ফেরত পাঠানো হয়েছে।
একেপিএস বলছে, মালয়েশিয়া প্রবেশের সঠিক কারণ, নথিপত্র (হোটেল বুকিং, রিটার্ন টিকেট) না থাকায় তাদের প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। এর আগে গত ১৫ আগস্ট একই কারণে ২২৯ জন বিদেশি নাগরিককে সে দেশে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। তার মধ্যে ২০৪ জন ছিলেন বাংলাদেশি।

ভিসা আবেদনে সতর্ক করেছে থাই দূতাবাস: সম্প্রতি জাল কিংবা ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে ভিসা আবেদন বেড়ে যাওয়ায় সতর্ক করেছে ঢাকার থাই দূতাবাস। দূতাবাস থেকে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়- ‘ভুয়া কাগজ দিয়ে ভিসার জন্য আবেদন করলে, তা প্রত্যাখ্যান বা বাতিল করা হবে।’ ট্যুরিজম ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মাঝে-মধ্যেই থাইল্যান্ডের ইমিগ্রেশন থেকেও বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠানো হচ্ছে। গত মাসে ১০ জনকে ফেরত পাঠানোর খবর পাওয়া গেছে।

মধ্যপ্রাচ্যেও বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে জেরা: বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের সংযুক্ত আরব আমিরাতের রেসিডেন্সি পারমিট থাকলে বাহরাইনে অন অ্যারাইভাল ভিসা পাওয়া যায়। তবে সেখানেও ইমিগ্রেশনে কঠিন জেরার মুখে পড়তে হয়। দুই মাস আগে এমন একটি বিড়ম্বনার মধ্যে পড়েছিলেন দুবাই প্রবাসী ফারুক। তিনি জানান, বাহরাইনের ইমিগ্রেশনে আমার পাসপোর্ট আর রেসিডেন্সি কার্ড দেখানোর পর আমাকে সে দেশের পাসপোর্ট কন্ট্রোল অফিসে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে আমাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ চলে। আমার হোটেল বুকিং, রিটার্ন টিকিট, সঙ্গে থাকা ক্যাশ সব কিছু দেখতে চায় তারা। সব কিছু দেখার পর আরেক কর্মকর্তাকে ডাকা হয়। তিনিও সব কিছু পুনরায় চেক করেন। এরপর সবকিছু নিশ্চিত হয়ে আমাকে ইমিগ্রেশন ডেস্কে পাঠিয়ে দেন। সেখানেও আবার কাগজপত্র চেক করা হয়। এরপর ভিসা ফি দিয়ে সে দেশে প্রবেশ করি।

মিসর বাড়িয়েছে শর্ত: মিসর একসময় বাংলাদেশিদের শর্তসাপেক্ষে অন অ্যারাইভাল ভিসা দিলেও এখন বেশ কিছু শর্তজুড়ে দিয়েছে। ঢাকার মিসর দূতাবাস থেকে দেওয়া এক নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের জন্য ‘ভিসা অন অ্যারাইভাল’ পাওয়ার শর্তগুলো হলো- যাত্রীর পাসপোর্টের মেয়াদ কমপক্ষে ছয় মাস থাকতে হবে। যুক্তরাষ্ট্র, শেনজেনভুক্ত দেশ, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য, জাপান, কানাডা অথবা নিউজিল্যান্ডের বৈধ ও ব্যবহৃত ভিসা থাকতে হবে। সঙ্গে অবশ্যই ফিরতি টিকিট ও ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ন্যূনতম ৫ হাজার মার্কিন ডলার থাকতে হবে।’

‘গালফ অঞ্চলের দেশগুলোতে বসবাসকারী বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীরাও এই সুবিধা পাবেন, যদি তাদের রেসিডেন্ট কার্ডের মেয়াদ কমপক্ষে ছয় মাস থাকে এবং তারা ‘হোয়াইট কালার জব’ (প্রয়োজনে প্রমাণ দেখাতে হবে) করেন। এ ক্ষেত্রে ওপরে উল্লিখিত সব শর্তই প্রযোজ্য হবে। এ ছাড়া আবেদনকারীদের কায়রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাচাই-বাছাইয়ের পর ২৫ মার্কিন ডলার ফি দিতে হবে।’
এর আগের নির্দেশনায় ছিল-শুধু যুক্তরাষ্ট্র, শেনজেনভুক্ত দেশ, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য, জাপান, কানাডা অথবা নিউজিল্যান্ডের বৈধ ও ব্যবহৃত ভিসা থাকতে হবে। ক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে কাজ করেছেন এমন একজন সাবেক কূটনীতিক বলেন, ‘আমাদের নাগরিকদের সবচেয়ে বড় সমস্যা অবৈধভাবে অতিরিক্ত অবস্থান, কিংবা এক দেশে গিয়ে সেখান থেকে তৃতীয় কোনো দেশে অবৈধভাবে যাওয়া। একটি দেশ যখন ভিজিট ভিসা বা ট্যুরিস্ট ভিসা যেটাই দেয়, তার প্রধান শর্ত হচ্ছে- সেদেশ ভ্রমণ শেষে নিজ দেশে ফিরে যাওয়া। এই কাজটা অনেকেই করেন না। হয় ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও সে দেশে অবস্থান করেন, কিংবা তৃতীয় কোনো দেশে চলে যান।’

তিনি আরো বলেন, ‘এই কাজে যে দেশ ভিসা দিচ্ছে, সে দেশের কিন্তু ক্ষতি হচ্ছে। যেমন- ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া আমাদের অন অ্যারাইভাল ভিসা দিতো। এখন বন্ধ। কারণ ওই একটাই। আবার কিছু কিছু দেশে প্রবেশ করার জন্য প্রচুর জাল কাগজপত্র তৈরি করে, সেগুলো ব্যবহার করা হয়। কোনো দেশে প্রবেশে সে দেশের যে নিয়ম, সেটা তো অনুসরণ করতে হবে। তা না করলে, ওই দেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ হয় ভিসা দেবে না, না হলে প্রবেশ করতে দেবে না।’

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বিভিন্ন সময় জানিয়েছেন কী কারণে বাংলাদেশি পাসপোর্টে সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের ঘর গোছাতে হবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সেলস এজেন্সি। আপনি যা তৈরি করতে পারবেন, সেটাই আমি বিক্রি করতে পারবো। আপনি যদি মিথ্যা তথ্য দেন, ভুল পাসপোর্ট দেনৃ ২০ বছর আগে এটা সমস্যা ছিল না।’

অন্য একটি অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা আরো বলেন, ‘আমি গত ১২ বছর ধরে সবুজ পাসপোর্ট ব্যবহার করছি। কিছু সমস্যার মুখোমুখি আমিও হয়েছি। আমি তিনবার পাঁচ বছরের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পেয়েছি, চতুর্থবার কিন্তু আমাকে ১৮টি প্রশ্নের উত্তর ইমেইল করতে হয়েছে।’ তনি বলেন, ‘আমি কাউকে দোষ দিতে পারবো না। কারণ, আমরাই আমাদেরকে এই জায়গায় নিয়ে গিয়েছি।’

ট্যুরিজম ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া ও লাওস এবং মধ্য এশিয়ার উজবেকিস্তান ও কাজাখস্তান বাংলাদেশি পর্যটকদের অতিরিক্ত সময় অবস্থানের অভিযোগ তুলে ভিসা কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে। থাইল্যান্ডের ই-ভিসা এখন অনেক সময় নিয়ে দিচ্ছে। মালয়েশিয়াও ভিসার ক্ষেত্রে কড়াকড়ি করছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা ভিয়েতনাম, লাওস ও ইন্দোনেশিয়াসহ সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। এটি আমাদের জন্য শীর্ষ অগ্রাধিকারের বিষয়। তবে ভিসানীতি শিথিল করা অনেক বিষয়ের ওপর নির্ভর করে।’

সানা/আপ্র/১৩/০৯/২০২৫

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ইমিগ্রেশনে পড়তে হচ্ছে জেরার মুখে

বিড়ম্বনা বাড়ছে বাংলাদেশি পাসপোর্টে

আপডেট সময় : ০৯:৫৫:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

প্রত্যাশা ডেস্ক: বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের ইমিগ্রেশনে জেরা করা বেড়ে গিয়েছে। বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়া, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া এবং মধ্য এশিয়ার দেশগুলোতে এই সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করেছে বলে জানিয়েছেন সেসব দেশে ভ্রমণকারীরা। বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করা ব্যক্তি, এমনকি ভ্রমণের মাধ্যমে নিজেদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরা ট্রাভেল ব্লগাররাও পড়েছেন ইমিগ্রেশনের জেরার মুখে। তাই ভ্রমণপ্রেমী কিংবা কাজের উদ্দেশ্যে বিদেশে যাওয়া অনেকেই শঙ্কা প্রকাশ করছেন। তারা তাদের অভিজ্ঞতা থেকে বলছেন-বাংলাদেশ ছাড়া অন্য কোনো দেশের পাসপোর্ট নিয়ে এমন হয়রানির মধ্যে পড়তে হয় না। এমনকি নিয়মিত যারা বিভিন্ন দেশে ঘুরতে যান, তারাও হয়রানির মধ্যে পড়েন।

দক্ষিণ এশিয়া, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া এবং মধ্য এশিয়ার
দেশগুলোতে সমস্যা প্রকট। বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করা
ব্যক্তি ও ট্রাভেল ব্লগাররাও পড়েছেন জেরার মুখে।
অথচ অন্য দেশের পাসপোর্টধারীদের
হয়রানিতে পড়তে হচ্ছে না।

একটি সংবাদসংস্থার এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এসব তথ্য। সংবাদমাধ্যমটিকে এমন অনেকেই তাদের অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন। তারমধ্যে একটি ঘটনার বর্ণনা দেন এক ভুক্তভুগী। ট্যুরিস্ট ভিসায় ঢাকা থেকে ইলেক্ট্রনিক ট্রাভেল অথরাইজেশন (ইটিএ) নিয়ে গত জুনে কলম্বো যান সাইফুর রহমান। কলম্বোর বন্দরনায়েক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন লাইনে তিনিসহ আরো ৫ জন বাংলাদেশিকে আলাদা করে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করেন সেখানকার ইমিগ্রেশনের কর্মকর্তা। জিজ্ঞাসাবাদের এক ফাঁকে ইমিগ্রেশনের কর্মকর্তারা জানান, বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীরা ভিসার অপব্যবহার করছেন -তাই এই জেরা। সাইফুর রহমান জানান, বাংলাদেশি পাসপোর্ট ছাড়া অন্য কাউকে এমন জেরার মুখে পড়তে হয় না।

ট্রাভেল ব্লগাররাও বিড়ম্বনায়: জনপ্রিয় ট্রাভেল ব্লগার নাদির নিবরাস সম্প্রতি পূর্ব আফ্রিকার দ্বীপ রাষ্ট্র সেশেলস ভ্রমণে গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি ইমিগ্রেশনে এক অদ্ভুত বিড়ম্বনার মুখোমুখি হন বলে তার ফেসবুক পেজ ‘নাদির অন দ্য গো- বাংলা’-তে প্রকাশ করেন। গত ৬ সেপ্টেম্বর তিনি লেখেন, ‘অনেক দিন ধরে ভ্রমণ করতে করতে আমি জানি, বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে গেলে বাড়তি চেক সব সময়ই থাকে। কিন্তু কয়েক সপ্তাহ আগে সেশেলসে ঢোকার সময় ব্যাপারটা একটু বাড়াবাড়ি হয়ে গেলো। আমাকে আর আমার স্পেন থেকে আসা এক বন্ধু, যার পরিবারের সবাই স্পেনের বংশোদ্ভূত, তাকে এক ঘণ্টার বেশি আটকানো হলো। ফোন করে সব হোটেল বুকিং চেক করলো। আর শুধু আমার সেশেলস থেকে মাদাগাস্কার যাওয়ার ফ্লাইট থাকাটা তাদের যথেষ্ট মনে হয়নি। মাদাগাস্কার থেকে পরের দেশের ফ্লাইটও সঙ্গে সঙ্গে দেখাতে হবে বললো। তখনও আমি মরিশাসের ভিসার জন্য অপেক্ষা করছিলাম, তাই ওটা ছিল না। বাধ্য হয়ে তখনই মাদাগাস্কার থেকে মরিশাসের একটা টিকিট কিনতে হলো, পরে সেটা ক্যানসেল করতে হয়েছে।’

তিনি আরো উল্লেখ করেন, আরো অদ্ভুত ছিল যে, আমার ওই স্পেনের বন্ধুর সঙ্গেও ঝামেলা করলো। অথচ স্প্যানিশ পাসপোর্ট তো বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্টগুলোর মধ্যে একটা। আমাদের ফ্লাইটে অন্য স্প্যানিশরা কোনো ঝামেলা ছাড়াই ঢুকে গেলো। কিন্তু সে যেহেতু আমার সঙ্গে ছিল, তাকে ব্যাংক ব্যালেন্স দেখাতে হলো-এমনকি এটিএমে গিয়ে টাকা তুলে প্রমাণ করতে হলো। এত দেরি হওয়ায় আমাদের গাড়ি রেন্টালের বুকিং মিস হয়ে যায়। আর আমাকে ৫০ ইউরো বেশি দিয়ে নতুন গাড়ি নিতে হলো। তিনি আরো উল্লেখ করেন, এয়ারপোর্ট স্টাফরা ভদ্রই ছিল, আর সেশেলসের মানুষজনও চমৎকার। কিন্তু আসল ব্যাপার হলো-বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে ভিসা-অন-অ্যারাইভাল বা অনলাইন ভিসা দেওয়া দেশে ঢুকতে গেলে প্রায়ই এই ধরনের বাড়তি ঝামেলা, সময় নষ্ট আর অতিরিক্ত খরচের মুখোমুখি হতে হয়- এমনকি সবকিছু ঠিকঠাক থাকার পরও।

বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশি পাসপোর্টের বিড়ম্বনা প্রসঙ্গে সুপরিচিত ট্রাভেল ব্লগার শিশির দেব বলেন, ‘আমি অনেক দেশেই দেখেছি, সাধারণ বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের অনেক প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। এমনকি সেদেশ থেকে বের হওয়ার সময় ফ্লাইটে ওঠার আগ পর্যন্ত বেশ কয়েকবার পাসপোর্ট, বিশেষ করে ভিসা চেক করা হয়। তবে আমি যেহেতু ট্রাভেল ব্লগ করি, ইউটিউবার পরিচয় শুনে আমাকে তেমন কোনো প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়নি। যদিও আমার সঙ্গেই লাইনে দাঁড়ানো অন্য বাংলাদেশিদের সঙ্গে এমনটা হতে দেখেছি।

বিমানবন্দর থেকে প্রতিনিয়ত ফেরত পাঠাচ্ছে মালয়েশিয়া: মালয়েশিয়ার সরকার অবৈধ অভিবাসী ঠেকাতে বেশ কঠোর হয়েছে। বিশেষ করে যারা ট্যুরিস্ট ভিসায় সেদেশে প্রবেশের চেষ্টা করছে, তাদের বেশি করে জেরা করছে। সন্দেহজনক প্রমাণ হলেই দেশে ফেরত পাঠিয়ে দিচ্ছে। গত ৩০ আগস্ট মালয়েশিয়ার বর্ডার কন্ট্রোল এবং প্রোটেকশন এজেন্সি (একেপিএস) ১০৪ জন বিদেশিকে সে দেশে প্রবেশ করতে দেয়নি। এর মধ্যে বেশিরভাগই বাংলাদেশ, ভারত এবং পাকিস্তানের নাগরিক। তাদের ফেরত পাঠানো হয়েছে।
একেপিএস বলছে, মালয়েশিয়া প্রবেশের সঠিক কারণ, নথিপত্র (হোটেল বুকিং, রিটার্ন টিকেট) না থাকায় তাদের প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। এর আগে গত ১৫ আগস্ট একই কারণে ২২৯ জন বিদেশি নাগরিককে সে দেশে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। তার মধ্যে ২০৪ জন ছিলেন বাংলাদেশি।

ভিসা আবেদনে সতর্ক করেছে থাই দূতাবাস: সম্প্রতি জাল কিংবা ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে ভিসা আবেদন বেড়ে যাওয়ায় সতর্ক করেছে ঢাকার থাই দূতাবাস। দূতাবাস থেকে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়- ‘ভুয়া কাগজ দিয়ে ভিসার জন্য আবেদন করলে, তা প্রত্যাখ্যান বা বাতিল করা হবে।’ ট্যুরিজম ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মাঝে-মধ্যেই থাইল্যান্ডের ইমিগ্রেশন থেকেও বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠানো হচ্ছে। গত মাসে ১০ জনকে ফেরত পাঠানোর খবর পাওয়া গেছে।

মধ্যপ্রাচ্যেও বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে জেরা: বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের সংযুক্ত আরব আমিরাতের রেসিডেন্সি পারমিট থাকলে বাহরাইনে অন অ্যারাইভাল ভিসা পাওয়া যায়। তবে সেখানেও ইমিগ্রেশনে কঠিন জেরার মুখে পড়তে হয়। দুই মাস আগে এমন একটি বিড়ম্বনার মধ্যে পড়েছিলেন দুবাই প্রবাসী ফারুক। তিনি জানান, বাহরাইনের ইমিগ্রেশনে আমার পাসপোর্ট আর রেসিডেন্সি কার্ড দেখানোর পর আমাকে সে দেশের পাসপোর্ট কন্ট্রোল অফিসে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে আমাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ চলে। আমার হোটেল বুকিং, রিটার্ন টিকিট, সঙ্গে থাকা ক্যাশ সব কিছু দেখতে চায় তারা। সব কিছু দেখার পর আরেক কর্মকর্তাকে ডাকা হয়। তিনিও সব কিছু পুনরায় চেক করেন। এরপর সবকিছু নিশ্চিত হয়ে আমাকে ইমিগ্রেশন ডেস্কে পাঠিয়ে দেন। সেখানেও আবার কাগজপত্র চেক করা হয়। এরপর ভিসা ফি দিয়ে সে দেশে প্রবেশ করি।

মিসর বাড়িয়েছে শর্ত: মিসর একসময় বাংলাদেশিদের শর্তসাপেক্ষে অন অ্যারাইভাল ভিসা দিলেও এখন বেশ কিছু শর্তজুড়ে দিয়েছে। ঢাকার মিসর দূতাবাস থেকে দেওয়া এক নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের জন্য ‘ভিসা অন অ্যারাইভাল’ পাওয়ার শর্তগুলো হলো- যাত্রীর পাসপোর্টের মেয়াদ কমপক্ষে ছয় মাস থাকতে হবে। যুক্তরাষ্ট্র, শেনজেনভুক্ত দেশ, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য, জাপান, কানাডা অথবা নিউজিল্যান্ডের বৈধ ও ব্যবহৃত ভিসা থাকতে হবে। সঙ্গে অবশ্যই ফিরতি টিকিট ও ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ন্যূনতম ৫ হাজার মার্কিন ডলার থাকতে হবে।’

‘গালফ অঞ্চলের দেশগুলোতে বসবাসকারী বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীরাও এই সুবিধা পাবেন, যদি তাদের রেসিডেন্ট কার্ডের মেয়াদ কমপক্ষে ছয় মাস থাকে এবং তারা ‘হোয়াইট কালার জব’ (প্রয়োজনে প্রমাণ দেখাতে হবে) করেন। এ ক্ষেত্রে ওপরে উল্লিখিত সব শর্তই প্রযোজ্য হবে। এ ছাড়া আবেদনকারীদের কায়রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাচাই-বাছাইয়ের পর ২৫ মার্কিন ডলার ফি দিতে হবে।’
এর আগের নির্দেশনায় ছিল-শুধু যুক্তরাষ্ট্র, শেনজেনভুক্ত দেশ, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য, জাপান, কানাডা অথবা নিউজিল্যান্ডের বৈধ ও ব্যবহৃত ভিসা থাকতে হবে। ক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে কাজ করেছেন এমন একজন সাবেক কূটনীতিক বলেন, ‘আমাদের নাগরিকদের সবচেয়ে বড় সমস্যা অবৈধভাবে অতিরিক্ত অবস্থান, কিংবা এক দেশে গিয়ে সেখান থেকে তৃতীয় কোনো দেশে অবৈধভাবে যাওয়া। একটি দেশ যখন ভিজিট ভিসা বা ট্যুরিস্ট ভিসা যেটাই দেয়, তার প্রধান শর্ত হচ্ছে- সেদেশ ভ্রমণ শেষে নিজ দেশে ফিরে যাওয়া। এই কাজটা অনেকেই করেন না। হয় ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও সে দেশে অবস্থান করেন, কিংবা তৃতীয় কোনো দেশে চলে যান।’

তিনি আরো বলেন, ‘এই কাজে যে দেশ ভিসা দিচ্ছে, সে দেশের কিন্তু ক্ষতি হচ্ছে। যেমন- ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া আমাদের অন অ্যারাইভাল ভিসা দিতো। এখন বন্ধ। কারণ ওই একটাই। আবার কিছু কিছু দেশে প্রবেশ করার জন্য প্রচুর জাল কাগজপত্র তৈরি করে, সেগুলো ব্যবহার করা হয়। কোনো দেশে প্রবেশে সে দেশের যে নিয়ম, সেটা তো অনুসরণ করতে হবে। তা না করলে, ওই দেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ হয় ভিসা দেবে না, না হলে প্রবেশ করতে দেবে না।’

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বিভিন্ন সময় জানিয়েছেন কী কারণে বাংলাদেশি পাসপোর্টে সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের ঘর গোছাতে হবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সেলস এজেন্সি। আপনি যা তৈরি করতে পারবেন, সেটাই আমি বিক্রি করতে পারবো। আপনি যদি মিথ্যা তথ্য দেন, ভুল পাসপোর্ট দেনৃ ২০ বছর আগে এটা সমস্যা ছিল না।’

অন্য একটি অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা আরো বলেন, ‘আমি গত ১২ বছর ধরে সবুজ পাসপোর্ট ব্যবহার করছি। কিছু সমস্যার মুখোমুখি আমিও হয়েছি। আমি তিনবার পাঁচ বছরের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পেয়েছি, চতুর্থবার কিন্তু আমাকে ১৮টি প্রশ্নের উত্তর ইমেইল করতে হয়েছে।’ তনি বলেন, ‘আমি কাউকে দোষ দিতে পারবো না। কারণ, আমরাই আমাদেরকে এই জায়গায় নিয়ে গিয়েছি।’

ট্যুরিজম ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া ও লাওস এবং মধ্য এশিয়ার উজবেকিস্তান ও কাজাখস্তান বাংলাদেশি পর্যটকদের অতিরিক্ত সময় অবস্থানের অভিযোগ তুলে ভিসা কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে। থাইল্যান্ডের ই-ভিসা এখন অনেক সময় নিয়ে দিচ্ছে। মালয়েশিয়াও ভিসার ক্ষেত্রে কড়াকড়ি করছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা ভিয়েতনাম, লাওস ও ইন্দোনেশিয়াসহ সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। এটি আমাদের জন্য শীর্ষ অগ্রাধিকারের বিষয়। তবে ভিসানীতি শিথিল করা অনেক বিষয়ের ওপর নির্ভর করে।’

সানা/আপ্র/১৩/০৯/২০২৫