ঢাকা ১০:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫

বিটকয়েন মাইনিং নিষিদ্ধ করলো ইরান

  • আপডেট সময় : ১০:৩৭:৪৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩০ মে ২০২১
  • ৯২ বার পড়া হয়েছে

প্রযুক্তি ডেস্ক : চার মাসের জন্য ক্রিপ্টোকারেন্সি, যেমন বিটকয়েন, মাইনিং নিষিদ্ধ করেছে ইরান। ব্যাপক আকারে ক্রিপ্টোকারেন্সি মাইনিংয়ের কারণে ইরানের বিভিন্ন শহরে লোডশেডিংয়ের প্রবণতা বেড়ে যাওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি।
মন্ত্রীসভার এক মিটিংয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেন, লোডশেডিংয়ের মূল কারণ হলো, খরার ফলে দেশটির জলবিদ্যুত প্রকল্প যথেষ্ট পানি পাচ্ছে না। তবে তিনি এ-ও বলেন, দেশে ক্রিপ্টোকারেন্সি মাইনিং, যার শতকরা ৮৫ ভাগই অবৈধ, প্রতিদিন প্রায় দুই গিগাওয়াট বিদ্যুত ব্যবহার করছে।
বিশ্বে মোট বিটকয়েন মাইনিংয়ের শতকরা সাড়ে চার ভাগ ইরানে হয়ে থাকে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে বিবিসি।
বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান এলিপটিক বলছে, ক্রিপ্টোকারেন্সি মাইনিংয়ের ফলে দেশটি জাতিসংঘ ও মার্কিন নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে শত শত মিলিয়ন ডলার মূল্যের ক্রিপ্টো সম্পদ যোগার করতে পারছে যা দেশটিকে দরকারি সম্পদ আমদানীতে সহায়তা করছে।
২০১৮ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে এক যুগান্তকারী পারমাণবিক চুক্তি ত্যাগ করার পরপরই ইরানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়িয়ে দেন। এর ফলে ইরানের ব্যাংকগুলো আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং ব্যবস্থা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে এবং তেল রপ্তানীতে ধস নামে। বিটকয়েনের কার্যক্রম চলে ব্লকচেইনের মাধ্যমে যা আসলে লেনদেনের একটি ডিজিটাল খতিয়ান। মাইনাররা বিটকয়েন লাভের আশায় এই খতিয়ানের অডিট করেন এবং পুরো প্রক্রিয়াটিতে অসম্ভব উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন কম্পিউটিং ক্ষমতার দরকার হয় এবং সে কারণে এতে বিদ্যুত খরচও হয় অনেক বেশি।

এলিপটিক বলছে, ইরান ২০১৯ সালে ক্রিপ্টোকারেন্সি মাইনিংয়ের অনুমোদন দেয় এবং পরে মাইনারদের জন্য লাইসেন্সের ব্যবস্থা করে। এর শর্ত ছিলো– এ কাজে জড়িত থাকলে পরিচয় জানাতে হবে, বিদ্যুতের জন্য উচ্চহারে বিল পরিশোধ করতে হবে এবং ইরানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে কেবল এই মূদ্রা বিক্রি করা যাবে।

দেশটির ‘ন্যাশনাল ইলেকট্রিক কোম্পনি’ বলছে, বিদ্যুৎঘাটতির কারণে, ক্রিপ্টোকারেন্সি মাইনাররা স্বেচ্ছায় এই মুদ্রা মাইনিং বন্ধ করে দিয়েছেন। কিন্তু প্রেসিডেন্ট রুহানি বলছেন, লাইসেন্সবিহীন মাইনাররা আগে তুলনায় ছয়-সাতগুণ বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহার করছেন এবং সে কারণে তিনি আগামী ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ক্রিপ্টোকারেন্সি মাইনিং নিষিদ্ধ করেছেন।
প্রেসিডেন্ট আরো বলেন, গেল সপ্তাহে তেহরান এবং এর আশপাশের কিছু শহরে বিদ্যুৎঘাটতির কারণে শক্তি মন্ত্রীর ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টি যুক্তিযুক্ত ছিল।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বিটকয়েন মাইনিং নিষিদ্ধ করলো ইরান

আপডেট সময় : ১০:৩৭:৪৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩০ মে ২০২১

প্রযুক্তি ডেস্ক : চার মাসের জন্য ক্রিপ্টোকারেন্সি, যেমন বিটকয়েন, মাইনিং নিষিদ্ধ করেছে ইরান। ব্যাপক আকারে ক্রিপ্টোকারেন্সি মাইনিংয়ের কারণে ইরানের বিভিন্ন শহরে লোডশেডিংয়ের প্রবণতা বেড়ে যাওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি।
মন্ত্রীসভার এক মিটিংয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেন, লোডশেডিংয়ের মূল কারণ হলো, খরার ফলে দেশটির জলবিদ্যুত প্রকল্প যথেষ্ট পানি পাচ্ছে না। তবে তিনি এ-ও বলেন, দেশে ক্রিপ্টোকারেন্সি মাইনিং, যার শতকরা ৮৫ ভাগই অবৈধ, প্রতিদিন প্রায় দুই গিগাওয়াট বিদ্যুত ব্যবহার করছে।
বিশ্বে মোট বিটকয়েন মাইনিংয়ের শতকরা সাড়ে চার ভাগ ইরানে হয়ে থাকে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে বিবিসি।
বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান এলিপটিক বলছে, ক্রিপ্টোকারেন্সি মাইনিংয়ের ফলে দেশটি জাতিসংঘ ও মার্কিন নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে শত শত মিলিয়ন ডলার মূল্যের ক্রিপ্টো সম্পদ যোগার করতে পারছে যা দেশটিকে দরকারি সম্পদ আমদানীতে সহায়তা করছে।
২০১৮ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে এক যুগান্তকারী পারমাণবিক চুক্তি ত্যাগ করার পরপরই ইরানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়িয়ে দেন। এর ফলে ইরানের ব্যাংকগুলো আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং ব্যবস্থা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে এবং তেল রপ্তানীতে ধস নামে। বিটকয়েনের কার্যক্রম চলে ব্লকচেইনের মাধ্যমে যা আসলে লেনদেনের একটি ডিজিটাল খতিয়ান। মাইনাররা বিটকয়েন লাভের আশায় এই খতিয়ানের অডিট করেন এবং পুরো প্রক্রিয়াটিতে অসম্ভব উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন কম্পিউটিং ক্ষমতার দরকার হয় এবং সে কারণে এতে বিদ্যুত খরচও হয় অনেক বেশি।

এলিপটিক বলছে, ইরান ২০১৯ সালে ক্রিপ্টোকারেন্সি মাইনিংয়ের অনুমোদন দেয় এবং পরে মাইনারদের জন্য লাইসেন্সের ব্যবস্থা করে। এর শর্ত ছিলো– এ কাজে জড়িত থাকলে পরিচয় জানাতে হবে, বিদ্যুতের জন্য উচ্চহারে বিল পরিশোধ করতে হবে এবং ইরানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে কেবল এই মূদ্রা বিক্রি করা যাবে।

দেশটির ‘ন্যাশনাল ইলেকট্রিক কোম্পনি’ বলছে, বিদ্যুৎঘাটতির কারণে, ক্রিপ্টোকারেন্সি মাইনাররা স্বেচ্ছায় এই মুদ্রা মাইনিং বন্ধ করে দিয়েছেন। কিন্তু প্রেসিডেন্ট রুহানি বলছেন, লাইসেন্সবিহীন মাইনাররা আগে তুলনায় ছয়-সাতগুণ বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহার করছেন এবং সে কারণে তিনি আগামী ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ক্রিপ্টোকারেন্সি মাইনিং নিষিদ্ধ করেছেন।
প্রেসিডেন্ট আরো বলেন, গেল সপ্তাহে তেহরান এবং এর আশপাশের কিছু শহরে বিদ্যুৎঘাটতির কারণে শক্তি মন্ত্রীর ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টি যুক্তিযুক্ত ছিল।