ঢাকা ০৫:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫

বিছানায় স্ত্রীর লাশ, ফ্যানে স্বামীর মরদেহ

  • আপডেট সময় : ১২:৪১:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • ৯১ বার পড়া হয়েছে

কুমিল্লা সংবাদদাতা : কুমিল্লার চান্দিনায় স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এক কক্ষের বিছানায় পড়েছিল স্ত্রীর লাশ, অন্য কক্ষে ফ্যানে ঝুলছিল স্বামীর মরদেহ।
গতকাল শুক্রবার রাত ৯টায় চান্দিনা পৌরসভার রারিরচর গ্রামের আনিছ মোহাম্মদের বাড়ি এলাকার স্বপ্না বেগমের বাসার দ্বিতীয় তলায় গিয়ে এ দৃশ্য দেখতে পায় পুলিশ। এসময় একটি ছুরিও জব্দ করা হয়। মৃত স্বামী ও স্ত্রী হলেন- কুমিল্লা আদর্শ সদর এলাকার কাপ্তান বাজার এলাকার মুজিবুর রহমানের ছেলে সোহেল (২৮) ও চান্দিনার ছায়কোট গ্রামের আব্দুল জলিলের মেয়ে রোজিনা আক্তার (২২)। একটি পার্লারে কাজ করতেন রোজিনা আক্তার, তবে তার স্বামী সোহেলের কোনো নির্দিষ্ট পেশা ছিল না। একই ফ্ল্যাটের বাসিন্দা ফরহাদ হোসেন জানান, আমি ওই ভবনের তৃতীয় তলায় থাকি। গতকাল থেকে দ্বিতীয় তলায় পচা গন্ধ পাই। প্রথমে ভেবেছি হয়ত ময়লার গন্ধ। আজ জুমার নামাজের পরও একইভাবে গন্ধ পেয়ে দরজায় ধাক্কা দিই। কিন্তু কারও কোনো সাড়াশব্দ পাইনি। পরে তাদের ফোন নম্বরে কল করলেও কেউ রিসিভ করেনি। সন্ধ্যার পর থেকে তাদের আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও কেউ কিছু বলতে পারেনি। অবশেষে থানায় খবর দিই। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে দুই মরদেহ দেখতে পান। প্রথম কক্ষে স্বামী ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আছে আর ভেতরের কক্ষের বিছানায় স্ত্রীর মরদেহ পড়ে আছে। দুটি মরদেই ফুলে পচে ছিল। রোজিনার ভাই শাহজাহান জানান, সোহেল মাদকাসক্ত ছিল। প্রায়ই রোজিনাকে মারধর করত। ১০-১৫ দিন আগেও মাদকের টাকার জন্য মারধর করায় রোজিনা আমাদের বাড়িতে চলে যায়। আবার তাকে বুঝিয়ে শুনিয়ে আনে। আমার বোনকে প্রায়ই মারধর করতো তার স্বামী সোহেল। সোহেলের বোন মুন্নী আক্তার জানান, দুই বছর আগে তারা ভালোবেসে বিয়ে করেছিল। তাদের কোনো সন্তান নেই। সোহেল গত ১৯ তারিখে আমার বাসায় গিয়েছিল। তারপর থেকে তাকে ফোনেও আর পাইনি। তার স্ত্রীর ফোনেও কল দিয়েছিলাম, সেও রিসিভ করেনি। শুক্রবার সন্ধ্যার পর বাসার মালিক ফোন করার পর আমি ঘটনাস্থলে আসি এবং এ ঘটনা দেখি। চান্দিনা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মীর রেজাউল ইসলাম জানান, আমাদের ধারণা, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অমিল থাকায় স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে স্বামী সোহেল। মরদেহের অবস্থা দেখে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি ৩-৪ দিন আগে এ হত্যাকা- ঘটেছে। এ ব্যাপারে আমরা তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বিছানায় স্ত্রীর লাশ, ফ্যানে স্বামীর মরদেহ

আপডেট সময় : ১২:৪১:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

কুমিল্লা সংবাদদাতা : কুমিল্লার চান্দিনায় স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এক কক্ষের বিছানায় পড়েছিল স্ত্রীর লাশ, অন্য কক্ষে ফ্যানে ঝুলছিল স্বামীর মরদেহ।
গতকাল শুক্রবার রাত ৯টায় চান্দিনা পৌরসভার রারিরচর গ্রামের আনিছ মোহাম্মদের বাড়ি এলাকার স্বপ্না বেগমের বাসার দ্বিতীয় তলায় গিয়ে এ দৃশ্য দেখতে পায় পুলিশ। এসময় একটি ছুরিও জব্দ করা হয়। মৃত স্বামী ও স্ত্রী হলেন- কুমিল্লা আদর্শ সদর এলাকার কাপ্তান বাজার এলাকার মুজিবুর রহমানের ছেলে সোহেল (২৮) ও চান্দিনার ছায়কোট গ্রামের আব্দুল জলিলের মেয়ে রোজিনা আক্তার (২২)। একটি পার্লারে কাজ করতেন রোজিনা আক্তার, তবে তার স্বামী সোহেলের কোনো নির্দিষ্ট পেশা ছিল না। একই ফ্ল্যাটের বাসিন্দা ফরহাদ হোসেন জানান, আমি ওই ভবনের তৃতীয় তলায় থাকি। গতকাল থেকে দ্বিতীয় তলায় পচা গন্ধ পাই। প্রথমে ভেবেছি হয়ত ময়লার গন্ধ। আজ জুমার নামাজের পরও একইভাবে গন্ধ পেয়ে দরজায় ধাক্কা দিই। কিন্তু কারও কোনো সাড়াশব্দ পাইনি। পরে তাদের ফোন নম্বরে কল করলেও কেউ রিসিভ করেনি। সন্ধ্যার পর থেকে তাদের আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও কেউ কিছু বলতে পারেনি। অবশেষে থানায় খবর দিই। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে দুই মরদেহ দেখতে পান। প্রথম কক্ষে স্বামী ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আছে আর ভেতরের কক্ষের বিছানায় স্ত্রীর মরদেহ পড়ে আছে। দুটি মরদেই ফুলে পচে ছিল। রোজিনার ভাই শাহজাহান জানান, সোহেল মাদকাসক্ত ছিল। প্রায়ই রোজিনাকে মারধর করত। ১০-১৫ দিন আগেও মাদকের টাকার জন্য মারধর করায় রোজিনা আমাদের বাড়িতে চলে যায়। আবার তাকে বুঝিয়ে শুনিয়ে আনে। আমার বোনকে প্রায়ই মারধর করতো তার স্বামী সোহেল। সোহেলের বোন মুন্নী আক্তার জানান, দুই বছর আগে তারা ভালোবেসে বিয়ে করেছিল। তাদের কোনো সন্তান নেই। সোহেল গত ১৯ তারিখে আমার বাসায় গিয়েছিল। তারপর থেকে তাকে ফোনেও আর পাইনি। তার স্ত্রীর ফোনেও কল দিয়েছিলাম, সেও রিসিভ করেনি। শুক্রবার সন্ধ্যার পর বাসার মালিক ফোন করার পর আমি ঘটনাস্থলে আসি এবং এ ঘটনা দেখি। চান্দিনা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মীর রেজাউল ইসলাম জানান, আমাদের ধারণা, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অমিল থাকায় স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে স্বামী সোহেল। মরদেহের অবস্থা দেখে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি ৩-৪ দিন আগে এ হত্যাকা- ঘটেছে। এ ব্যাপারে আমরা তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।