ঢাকা ০৮:৪০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫

বিচার চেয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীর

  • আপডেট সময় : ০১:০১:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ মার্চ ২০২৪
  • ১৭০ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ তোলায় হত্যাসহ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের হুমকি পাওয়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী এবার প্রতিকার চেয়ে রাষ্ট্রপতি ও আচার্য বরাবর আবেদন করেছেন। অভিযোগকারী ছাত্রী গত মঙ্গলবার বঙ্গভবনে আবেদনটি জমা দিয়ে আসেন। আবেদন গ্রহণের অনুলিপি প্রথম আলোকে দিয়েছেন ছাত্রী। আবেদনে তিনি যৌন নিপীড়ন ও বুলিংয়ের বিচার চেয়েছেন। আবেদনে ছাত্রী বলেন, ২০২১ সালের ডিসেম্বরে উপাচার্যের কাছে বিচার চেয়ে আবেদন করেছিলেন। বিচার এখনো পাননি। উল্টো অভিযুক্ত শিক্ষক ও তাঁর সমর্থনে বিভাগের চেয়ারম্যান তাঁকে স্নাতক পরীক্ষায় একাধিক বিষয়ে ফেল করিয়েছেন। অভিযুক্ত শিক্ষকেরা তাঁকে বহিষ্কারের হুমকি দেন। অন্য শিক্ষার্থীদের থেকে তাঁকে বিচ্ছিন্ন করে মানসিকভাবে নির্যাতন করেন। তাঁরা মৃত্যুহুমকি দিয়ে যাচ্ছেন। তাঁকে আত্মহত্যার পথে ঠেলে দিচ্ছেন। তাই তিনি বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশ করেন।
ছাত্রী তাঁর আবেদনে আরও বলেন, সবশেষ আশা-ভরসা নিয়ে তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করেছেন। বুলিং ও যৌন নিপীড়নের দৃষ্টান্তমূলক বিচারসহ প্রশাসনের জবাবদিহির জন্য ব্যবস্থা গ্রহণে তিনি আকুল আবেদন জানাচ্ছেন। তাঁকে ফেল করানো বিষয়গুলো বিশেষ কমিটির মাধ্যমে পুনর্বিবেচনার মাধ্যমে পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করে তাঁর জীবন পুনরুদ্ধারের আরজি জানাচ্ছেন।
স¤প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় যৌন হয়রানিসহ নানা নিপীড়নের বিরুদ্ধে এই শিক্ষার্থী সোচ্চার হন। সেখানে অবন্তিকার ব্যাপারে কথা বলতে গিয়ে নিজের প্রসঙ্গ টানেন তিনি। নিজের সঙ্গে ঘটে যাওয়া বিষয় নিয়ে তিনি গণমাধ্যমে কথা বলেন। শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ দেওয়ায় হত্যাসহ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের হুমকি পেয়েছেন বলে অভিযোগ করেন ছাত্রী। এ অবস্থায় তিনি গত সোমবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) গিয়ে নিজের জীবনের নিরাপত্তা চান। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সাদেকা হালিম বলেছেন, ছাত্রীর প্রতিটি বিষয় দেখবেন। ছাত্রী যাতে পরীক্ষা দিতে পারেন, সে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বিচার চেয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীর

আপডেট সময় : ০১:০১:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ মার্চ ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ তোলায় হত্যাসহ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের হুমকি পাওয়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী এবার প্রতিকার চেয়ে রাষ্ট্রপতি ও আচার্য বরাবর আবেদন করেছেন। অভিযোগকারী ছাত্রী গত মঙ্গলবার বঙ্গভবনে আবেদনটি জমা দিয়ে আসেন। আবেদন গ্রহণের অনুলিপি প্রথম আলোকে দিয়েছেন ছাত্রী। আবেদনে তিনি যৌন নিপীড়ন ও বুলিংয়ের বিচার চেয়েছেন। আবেদনে ছাত্রী বলেন, ২০২১ সালের ডিসেম্বরে উপাচার্যের কাছে বিচার চেয়ে আবেদন করেছিলেন। বিচার এখনো পাননি। উল্টো অভিযুক্ত শিক্ষক ও তাঁর সমর্থনে বিভাগের চেয়ারম্যান তাঁকে স্নাতক পরীক্ষায় একাধিক বিষয়ে ফেল করিয়েছেন। অভিযুক্ত শিক্ষকেরা তাঁকে বহিষ্কারের হুমকি দেন। অন্য শিক্ষার্থীদের থেকে তাঁকে বিচ্ছিন্ন করে মানসিকভাবে নির্যাতন করেন। তাঁরা মৃত্যুহুমকি দিয়ে যাচ্ছেন। তাঁকে আত্মহত্যার পথে ঠেলে দিচ্ছেন। তাই তিনি বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশ করেন।
ছাত্রী তাঁর আবেদনে আরও বলেন, সবশেষ আশা-ভরসা নিয়ে তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করেছেন। বুলিং ও যৌন নিপীড়নের দৃষ্টান্তমূলক বিচারসহ প্রশাসনের জবাবদিহির জন্য ব্যবস্থা গ্রহণে তিনি আকুল আবেদন জানাচ্ছেন। তাঁকে ফেল করানো বিষয়গুলো বিশেষ কমিটির মাধ্যমে পুনর্বিবেচনার মাধ্যমে পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করে তাঁর জীবন পুনরুদ্ধারের আরজি জানাচ্ছেন।
স¤প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় যৌন হয়রানিসহ নানা নিপীড়নের বিরুদ্ধে এই শিক্ষার্থী সোচ্চার হন। সেখানে অবন্তিকার ব্যাপারে কথা বলতে গিয়ে নিজের প্রসঙ্গ টানেন তিনি। নিজের সঙ্গে ঘটে যাওয়া বিষয় নিয়ে তিনি গণমাধ্যমে কথা বলেন। শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ দেওয়ায় হত্যাসহ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের হুমকি পেয়েছেন বলে অভিযোগ করেন ছাত্রী। এ অবস্থায় তিনি গত সোমবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) গিয়ে নিজের জীবনের নিরাপত্তা চান। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সাদেকা হালিম বলেছেন, ছাত্রীর প্রতিটি বিষয় দেখবেন। ছাত্রী যাতে পরীক্ষা দিতে পারেন, সে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।