ঢাকা ০২:০৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫

বিচারের ভার আল্লাহ মানুষকে দেননি: প্রধানমন্ত্রী

  • আপডেট সময় : ০২:৩৪:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মার্চ ২০২৩
  • ৬৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : শান্তির ধর্ম ইসলামের উদারনীতির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যারা সত্যিকারে ইসলামে বিশ্বাস করে তারা অন্য ধর্মের প্রতি সহনশীল। মহান আল্লাহ বিচারের ভার মানুষকে দেয়নি বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সারা দেশে তৃতীয় ধাপে আরও ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। শেখ হাসিনা বলেন, যারা সত্যিকার ইসলামে বিশ্বাস করে তাদের অন্যের ধর্মের প্রতিও সহনশীল হতে হবে। আমাদের বাংলাদেশে আমরা চাই সব ধর্মের সমান অধিকার। যার যার ধর্ম সে সে পালন করবে। শেষ বিচার তো আল্লাহ করবেন। বিচারের ভার আল্লাহ মানুষকে দেননি। কোনো মানুষকে দেননি। বরং খুনখারাবি করতে গিয়ে আমাদের ধর্মের অসম্মান করা হচ্ছে বিশ্বে।
সরকার প্রধান বলেন, ধর্মের নাম ব্যবহার করে, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস করে এলে ইসলামকে মানুষের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়। অথচ, ইসলাম হচ্ছে সবচেয়ে শান্তির ধর্ম। আল্লাহ আমাদের কোনো বান্দাকে এই অধিকার দেন নাই। কে ধর্মী, কে বিধর্মী, কে কাফের, কে ইসলাম ধর্মে বিশ্বাস করে, কে করে না; সে নির্দেশ দেওয়ার অধিকার আল্লাহ কোনো মানুষকে দেননি। ইসলাম ধর্ম সেই শিক্ষা দেয় সকল ধর্মের প্রতি সহনশীলতা দেখানো। আমাদের নবীও আমাদের সেই শিক্ষাই দিয়েছেন। প্রত্যেক মানুষ যার যার কর্মফল ভোগ করবে। আমি অন্যায় করলে আমার কর্মফল তো আরেকজন ভোগ করবে না। মানুষকে কে এই অধিকারটা দিল কে ধর্মে বিশ্বাস করে, কে করবে না তাকে শাস্তি দিতে হবে, তাকে খুন করতে হবে? জীবন তো আল্লাহ দিয়েছেন। জীবন দেওয়ার মালিকও তিনি, নেওয়ার মালিকও তিনি।
ইসলামে নারীর অধিকারের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইসলামই কিন্তু নারীদের অধিকার নিশ্চিত করেছে। আমরা যেমন কোনো কোনো দেশে দেখি নারীদের শিক্ষা নিতে দেবে না। ইসলাম কিন্তু সেই শিক্ষা দেয় না। ইসলাম কিন্তু সবাইকে শিক্ষা গ্রহণ করতে বলেছে। নবীও আমাদের শিক্ষা গ্রহণ করতে বলেছেন।
মডেল মসজিদ নির্মাণ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ধর্ম পালনের সাথে সাথে যেন ধর্মীয় শিক্ষার সুযোগ হয়, সে জন্য আমরা মসজিদগুলো করে দিয়েছি। আমরা চাই আমাদের দেশটা উন্নত হোক, এগিয়ে যাক। বাল্যবিবাহ, যৌতুক, নারীর প্রতি সহিংসতা, সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে সচেতনতা সৃষ্টি করা একান্ত প্রয়োজন। দেশকে এগিয়ে নিতে সবার দোয়া চেয়ে সরকার প্রধান বলেন, বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা যেন অব্যাহত থাকে। পবিত্র রমজানে আপনাদের কাছে দোয়া চাই। আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের কাজ যেন আমরা আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি সে জন্য দোয়া চাই।
নিজস্ব অর্থায়নে দেশের প্রতিটি জেলা-উপজেলায় একটি করে মোট ৫৬৪টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ করছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার। এ প্রকল্পের অংশ হিসেবে ২০২১ সালের ১০ জুন প্রথম ধাপে ৫০টি ও চলতি বছরে ১৬ জানুয়ারি দ্বিতীয় ধাপে পঞ্চাশটি মডেল মসজিদ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনটি ধাপে এখন পর্যন্ত মোট ১৫০টি মডেল মসজিদের উদ্বোধন করেছেন শেখ হাসিনা। বাকি মসজিদগুলোর নির্মাণ কাজও শেষের দিকে। সরকারি অর্থায়নে ৫৬৪টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ৯ হাজার ৪৩৫ কোটি টাকা। শুধু নামাজ আদায় নয়, এসব মসজিদ হবে গবেষণা ইসলামি সংস্কৃতি ও জ্ঞানচর্চা কেন্দ্র। উদ্বোধন শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে বরিশালের আগৈলঝাড়া, ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া, পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার মডেল মসজিদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ইমাম, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ মুসল্লিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান ও ধর্ম সচিব কাজী এনামুল হাসান। গণভবন প্রান্ত থেকে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া।
রমজানে দ্রব্যমূল্য বাড়ানো গর্হিত কাজ, জুমার খুতবায় তুলে ধরা উচিত
এদিকে ‘পবিত্র রমজানে কিছু ব্যবসায়ী দ্রব্যমূল্য বাড়ানোর চেষ্টা করবে, এটা অত্যন্ত গর্হিত কাজ’ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মসজিদের খতিব ইমামদের উদ্দেশে তিনি বলেন, জুমার নামাজের যে খুতবা দেয়া হয়, সেখানে কালোবাজারি, খাদ্যে ভেজাল দেয়া- এটা যে গর্হিত কাজ এ ব্যাপারে কথা বলা উচিত। রমজানে গরিব মানুষের জন্য ন্যায্যমূল্যে পণ্যের ব্যবস্থা করা হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশ যেভাবে আর্থ-সামাজিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে এভাবেই এগিয়ে যাক। সেইসঙ্গে ধর্মীয় শিক্ষা ও ধর্ম পালনেরও সুযোগ হোক। সেজন্য এই মসজিদগুলো আমরা নির্মাণ করছি।’ শেখ হাসিনা বলেন, ‘ইসলাম সবসময় মানুষকে শিক্ষা গ্রহণ করতে বলেছে, নবী করিম (সা.) আমাদের শিক্ষা গ্রহণ করতে বলেছেন, কাজেই এই বিষয়টি আমাদের সবসময় মনে রাখতে হবে।’ বাংলাদেশের আজকের যে অগ্রযাত্রা তা যেন অব্যাহত থাকে এজন্য সবার কাছে দোয়া চেয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের কাজগুলো যেন আমরা আরও ভালোভাবে করতে পারি। এদেশের কোনো মানুষ ভূমিহীন থাকবে না, গৃহহীন থাকবে না, আমরা বিনামূল্যে সবাইকে ঘরবাড়ি তৈরি করে দিচ্ছি, সেইসঙ্গে তাদের জীবন জীবিকার ব্যবস্থাও করে দিচ্ছি।’

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বিচারের ভার আল্লাহ মানুষকে দেননি: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০২:৩৪:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মার্চ ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : শান্তির ধর্ম ইসলামের উদারনীতির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যারা সত্যিকারে ইসলামে বিশ্বাস করে তারা অন্য ধর্মের প্রতি সহনশীল। মহান আল্লাহ বিচারের ভার মানুষকে দেয়নি বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সারা দেশে তৃতীয় ধাপে আরও ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। শেখ হাসিনা বলেন, যারা সত্যিকার ইসলামে বিশ্বাস করে তাদের অন্যের ধর্মের প্রতিও সহনশীল হতে হবে। আমাদের বাংলাদেশে আমরা চাই সব ধর্মের সমান অধিকার। যার যার ধর্ম সে সে পালন করবে। শেষ বিচার তো আল্লাহ করবেন। বিচারের ভার আল্লাহ মানুষকে দেননি। কোনো মানুষকে দেননি। বরং খুনখারাবি করতে গিয়ে আমাদের ধর্মের অসম্মান করা হচ্ছে বিশ্বে।
সরকার প্রধান বলেন, ধর্মের নাম ব্যবহার করে, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস করে এলে ইসলামকে মানুষের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়। অথচ, ইসলাম হচ্ছে সবচেয়ে শান্তির ধর্ম। আল্লাহ আমাদের কোনো বান্দাকে এই অধিকার দেন নাই। কে ধর্মী, কে বিধর্মী, কে কাফের, কে ইসলাম ধর্মে বিশ্বাস করে, কে করে না; সে নির্দেশ দেওয়ার অধিকার আল্লাহ কোনো মানুষকে দেননি। ইসলাম ধর্ম সেই শিক্ষা দেয় সকল ধর্মের প্রতি সহনশীলতা দেখানো। আমাদের নবীও আমাদের সেই শিক্ষাই দিয়েছেন। প্রত্যেক মানুষ যার যার কর্মফল ভোগ করবে। আমি অন্যায় করলে আমার কর্মফল তো আরেকজন ভোগ করবে না। মানুষকে কে এই অধিকারটা দিল কে ধর্মে বিশ্বাস করে, কে করবে না তাকে শাস্তি দিতে হবে, তাকে খুন করতে হবে? জীবন তো আল্লাহ দিয়েছেন। জীবন দেওয়ার মালিকও তিনি, নেওয়ার মালিকও তিনি।
ইসলামে নারীর অধিকারের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইসলামই কিন্তু নারীদের অধিকার নিশ্চিত করেছে। আমরা যেমন কোনো কোনো দেশে দেখি নারীদের শিক্ষা নিতে দেবে না। ইসলাম কিন্তু সেই শিক্ষা দেয় না। ইসলাম কিন্তু সবাইকে শিক্ষা গ্রহণ করতে বলেছে। নবীও আমাদের শিক্ষা গ্রহণ করতে বলেছেন।
মডেল মসজিদ নির্মাণ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ধর্ম পালনের সাথে সাথে যেন ধর্মীয় শিক্ষার সুযোগ হয়, সে জন্য আমরা মসজিদগুলো করে দিয়েছি। আমরা চাই আমাদের দেশটা উন্নত হোক, এগিয়ে যাক। বাল্যবিবাহ, যৌতুক, নারীর প্রতি সহিংসতা, সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে সচেতনতা সৃষ্টি করা একান্ত প্রয়োজন। দেশকে এগিয়ে নিতে সবার দোয়া চেয়ে সরকার প্রধান বলেন, বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা যেন অব্যাহত থাকে। পবিত্র রমজানে আপনাদের কাছে দোয়া চাই। আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের কাজ যেন আমরা আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি সে জন্য দোয়া চাই।
নিজস্ব অর্থায়নে দেশের প্রতিটি জেলা-উপজেলায় একটি করে মোট ৫৬৪টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ করছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার। এ প্রকল্পের অংশ হিসেবে ২০২১ সালের ১০ জুন প্রথম ধাপে ৫০টি ও চলতি বছরে ১৬ জানুয়ারি দ্বিতীয় ধাপে পঞ্চাশটি মডেল মসজিদ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনটি ধাপে এখন পর্যন্ত মোট ১৫০টি মডেল মসজিদের উদ্বোধন করেছেন শেখ হাসিনা। বাকি মসজিদগুলোর নির্মাণ কাজও শেষের দিকে। সরকারি অর্থায়নে ৫৬৪টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ৯ হাজার ৪৩৫ কোটি টাকা। শুধু নামাজ আদায় নয়, এসব মসজিদ হবে গবেষণা ইসলামি সংস্কৃতি ও জ্ঞানচর্চা কেন্দ্র। উদ্বোধন শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে বরিশালের আগৈলঝাড়া, ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া, পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার মডেল মসজিদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ইমাম, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ মুসল্লিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান ও ধর্ম সচিব কাজী এনামুল হাসান। গণভবন প্রান্ত থেকে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া।
রমজানে দ্রব্যমূল্য বাড়ানো গর্হিত কাজ, জুমার খুতবায় তুলে ধরা উচিত
এদিকে ‘পবিত্র রমজানে কিছু ব্যবসায়ী দ্রব্যমূল্য বাড়ানোর চেষ্টা করবে, এটা অত্যন্ত গর্হিত কাজ’ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মসজিদের খতিব ইমামদের উদ্দেশে তিনি বলেন, জুমার নামাজের যে খুতবা দেয়া হয়, সেখানে কালোবাজারি, খাদ্যে ভেজাল দেয়া- এটা যে গর্হিত কাজ এ ব্যাপারে কথা বলা উচিত। রমজানে গরিব মানুষের জন্য ন্যায্যমূল্যে পণ্যের ব্যবস্থা করা হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশ যেভাবে আর্থ-সামাজিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে এভাবেই এগিয়ে যাক। সেইসঙ্গে ধর্মীয় শিক্ষা ও ধর্ম পালনেরও সুযোগ হোক। সেজন্য এই মসজিদগুলো আমরা নির্মাণ করছি।’ শেখ হাসিনা বলেন, ‘ইসলাম সবসময় মানুষকে শিক্ষা গ্রহণ করতে বলেছে, নবী করিম (সা.) আমাদের শিক্ষা গ্রহণ করতে বলেছেন, কাজেই এই বিষয়টি আমাদের সবসময় মনে রাখতে হবে।’ বাংলাদেশের আজকের যে অগ্রযাত্রা তা যেন অব্যাহত থাকে এজন্য সবার কাছে দোয়া চেয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের কাজগুলো যেন আমরা আরও ভালোভাবে করতে পারি। এদেশের কোনো মানুষ ভূমিহীন থাকবে না, গৃহহীন থাকবে না, আমরা বিনামূল্যে সবাইকে ঘরবাড়ি তৈরি করে দিচ্ছি, সেইসঙ্গে তাদের জীবন জীবিকার ব্যবস্থাও করে দিচ্ছি।’