নিজস্ব প্রতিবেদক : তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে রায় দেওয়ায় বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের বিচার চাইলেন গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, ‘একজন মানুষ খুন করলে তার ফাঁসি হয়, যাবজ্জীবন হয়। কেউ গণতন্ত্র হত্যা করলে, গণতন্ত্রকে কবরস্থ করলে তার কী শাস্তি হওয়া উচিত? সেই ব্যক্তি বিচারপতি খায়রুল হক। প্রকাশ্যে তার বিচার হওয়া উচিত। সে জাতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে। তাকে আজীবন জেলখানায় দেখতে চাই। এখান থেকে দেশকে ফিরিয়ে আনতে হবে।’
গতকাল শনিবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে ‘রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে পেশাজীবীদের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
পেশাজীবীদের উদ্দেশে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, পেশাজীবীদের আওয়াজ উঠাতে হবে। এই অনাচার-অত্যাচার আমরা আর সহ্য করব না। জীবনের শেষ ক্ষণে থাকলেও আমরা ভীত নই। আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি।
গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা বলেন, ‘দুইদিন আগে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল ওসমানীর জন্মবার্ষিকী ছিল। আমরা এতটা নিমকহারাম যে একটা বড় দলও তার জন্মবার্ষিকী পালন করেনি। এমন কি মুক্তিযোদ্ধারাও। এখনো কয়েকশো সিনিয়র মুক্তিযোদ্ধা বেঁচে আছেন তারাও করেন নাই। এতে প্রমাণ করে আমাদের অনেক দূর এগিয়ে যেতে হবে। আরেকজন সিনিয়র মুক্তিযোদ্ধা তোফায়েল আহমেদ অসুস্থ হয়েছেন। আপনারা তার জন্য দোয়া করবেন। উনি যেন সুস্থ হয়ে ফিরে আসেন।’
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, মোদিবিরোধী আন্দোলনে গ্রেপ্তারকৃত ছাত্র অধিকার পরিষদের ৫৪ জন ছাত্রের জামিনের ব্যাপারে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলাম। তিনি বলে পাঠালেন ‘বিচারের ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করতে পারি না।’ পরীমনির ব্যাপারে কী হলো? তার বিচার দ্রুত করতে বলা হলো। এখন পর্যন্ত ছাত্রদের জামিন দেয় নাই। এই ধরনের বিচারপতিরা জঘন্য ব্যক্তি। প্রত্যেকটা বিচারপতির সম্পদের হিসাব চাই আমরা। আমাদের পরিবর্তন দরকার। বিচার বিভাগ ঠিক না হলে সুশাসন আসবে না।
বাংলা ভাষায় রায় লেখায় দুই বিচারপতিকে অভিনন্দন জানান গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের এই প্রতিষ্ঠাতা।
পেশাজীবী অধিকার পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ বেলালীর সভাপতিত্বে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড.আসিফ নজরুল, ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন, নবাব সিরাজ উদ্দৌলার উত্তরসূরি নবাব আব্বাসউদ্দৌলা, ছাত্র অধিকার পরিষদের সাবেক আহ্বায়ক রাশেদ খান, যুব অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক আতাউল্লাহ, শ্রমিক অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক আব্দুর রহমান প্রমুখ।
বিচারপতি খায়রুল হককে আজীবন জেলে দেখতে চান জাফরুল্লাহ
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ