প্রযুক্তি ডেস্ক: ইউরোপীয় ইউনিয়নের অ্যান্টিট্রাস্ট প্রধানের কাছে বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর লাগাম টেনে ধরার নিয়ম স্পষ্ট করার দাবি জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ইইউ অ্যান্টিট্রাস্ট প্রধান তেরেসা রিবেরার কাছে বড় প্রযুক্তি কোম্পানির লাগাম টেনে ধরার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিভিন্ন নিয়ম কীভাবে প্রয়োগ করবেন তা স্পষ্ট করার দাবি জানিয়েছেন মার্কিন হাউস জুডিশিয়ারি চেয়ারম্যান জিম জর্ডান।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি এক স্মারকলিপিতে সই করার দুদিন পরই এমন খবর এলো বলে প্রতিবেদনে লিখেছে রয়টার্স। স্মারকলিপিতে উল্লেখ রয়েছে, ইইউ’র ‘ডিজিটাল মার্কেটস অ্যাক্ট’ বা ডিএমএ ও ‘ডিজিটাল সার্ভিসেস অ্যাক্ট’ বা ডিএসএ খতিয়ে দেখবে তার প্রশাসন।
আমেরিকান বিভিন্ন কোম্পানি ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভোক্তাদের সঙ্গে কীভাবে যোগাযোগ করবে সে বিষয়টি নির্ধারণ করে ইইউ’র এসব আইন।
ডিজিটাল মার্কেটস অ্যাক্ট-এ অধীনে অ্যালফাবেট, অ্যামাজন, অ্যাপল, বুকিং ডটকম, বাইটড্যান্স, মেটা প্ল্যাটফর্মস ও মাইক্রোসফটের জন্য কী করণীয় ও করণীয় নয় এমন একটি তালিকা নির্ধারণ করেছে ইইউ। যার লক্ষ্য, সবার ব্যবসার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা এবং ভোক্তাদের জন্য আরও পছন্দের সুযোগ করে দেওয়া।
রোববার রিবেরাকে পাঠানো এক চিঠিতে জর্ডান বলেছেন, আমরা আমাদের উদ্বেগ প্রকাশ করতে লিখছি যে, ডিএমএ আমেরিকান বিভিন্ন কোম্পানিকে টার্গেট করতে পারে।
ইইউ’র ডিএমএ আইন লঙ্ঘনের কারণে গোটা বিশ্বে বার্ষিক রাজস্বের ১০ শতাংশ পর্যন্ত জরিমানারও সমালোচনা করেছেন জর্ডান।
তিনি বলেন, এ জরিমানার দুটি লক্ষ্য রয়েছে। বিশ্বজড়ে ছড়িয়ে থাকা বিভিন্ন ব্যবসাকে ইউরোপীয় মান অনুসরণ করতে বাধ্য করা ও আমেরিকান বিভিন্ন কোম্পানির ওপর ইউরোপীয় কর আরোপ।
তিনি ডিএমএ-র প্রয়োজনীয়তা নিয়েও কটাক্ষ করে বলেছেন, এসব আইনের মধ্যে কিছু আইন রয়েছে, যা চীনকে লাভবান করতে পারে।
জর্ডান বলেছেন, ইইউর এসব আইন উদ্ভাবনকে দমন করে, গবেষণা ও উন্নয়নকে নিরুৎসাহিত করতে পারে। রিবেরাকে ১০ মার্চের মধ্যে বিচার বিভাগীয় কমিটিকে ব্রিফ করার আহ্বানও জানান তিনি। প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েনের পর ইউরোপীয় কমিশনের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর কর্মকর্তা তেরেসা রিবেরা। এর আগে তিনি রয়টার্সকে বলেছেন, ইউরোপের উচিত হোয়াইট হাউসের সঙ্গে আলোচনা করা ও বাণিজ্য নিয়ে তাদের উদ্বেগের কথা শোনা। তবে মার্কিন আইনপ্রণেতারা যে আইনে অনুমোদন করেছেন তাতে পরিবর্তন আনার জন্য তাদের চাপ দেওয়া উচিত হবে না।