অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক : সম্প্রতি বেশ চাঙ্গা হয়ে উঠেছে দেশের শেয়ারবাজার। এতে প্রতিনিয়ত কিছু প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম দফায় দফায় বাড়ছে। আগের দিনের মতো মঙ্গলবারও (২৫ মে) বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দামবৃদ্ধির মাধ্যমে শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয়।
তবে এক্ষেত্রে শুরুতে দাপট দেখাচ্ছে ১২টি কোম্পানি। দফায় দফায় বেড়ে এই কোম্পানিগুলোর শেয়ার দাম দিনের সর্বোচ্চ সীমায় পৌছে গেছে। এমন দামবৃদ্ধির পরেও যাদের কাছে কোম্পানিগুলোর শেয়ার আছে তারা তা বিক্রি করতে চাচ্ছেন না। ফলে ক্রেতা থাকলেও এসব কোম্পানির বিক্রেতা যেন ‘উধাও’ হয়ে গেছে।
এদিন লেনদেন শুরুর কয়েক মিনিটের মধ্যে দামবৃদ্ধির সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করে গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স।
কোম্পানিটির লেনদেন শুরুর দাম ছিল ৫০ টাকা ৯০ পয়সা। কয়েকদফায় দাম বাড়িয়ে কোম্পানিটির শেয়ার ৫৩ টাকা ৯০ পয়সা করে কেনার প্রস্তাব এসেছে। এতে সর্বোচ্চ সীমায় চলে যায় কোম্পানিটির শেয়ার। কিন্তু এ দামেও বিনিয়োগকারীরা শেয়ার বিক্রি করছেন না।
দামবৃদ্ধির সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করা আর এক কোম্পানি জিএসপি ফাইন্যান্সের লেনদেন শুরু হয় ২০ টাকা ৯০ পয়সা করে। যা দিনের দামবৃদ্ধির সর্বোচ্চ সীমা। শুরুতে দামবৃদ্ধির সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করলেও যাদের কাছে কোম্পানিটির শেয়ার আছে তারা বিক্রি করতে চাচ্ছেন না। ফলে ক্রেতা থাকলেও বিক্রেতার ঘর খালি পড়ে রয়েছে।
এই দুই কোম্পানির সঙ্গে বিক্রেতা উধাও হয়ে যাওয়ার তালিকায় রয়েছে- পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স, গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স, নর্দান ইসলামী ইন্সুরেন্স, এসিআই ফরমুলেশন, শ্যামপুর সুগার মিল, ওয়াইম্যাক্স ইলেকট্রিক, রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স, ইমাম বাটন, কাট্টালী টেক্সটাইল এবং তৌফিকা ফুড।
পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স : কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয় ১১৫ টাকা। কোম্পানিটির শেয়ারের দামে বেড়ে ১২৪ টাকা ৪০ পয়সায় পৌঁছালেও কেউ বিক্রি করতে রাজি হচ্ছেন না।
গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স : কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয় ৮১ টাকা ৫০ পয়সায়। যা দিন দাম বাড়ার সর্বোচ্চ সীমা। শুরুতেই দাম বাড়ার সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করলেও বিক্রিতার ঘর শূন্য পড়ে রয়েছে।
নর্দান ইসলামী ইন্সুরেন্স : আগের দিনের লেনদেন শেষে ৫০ টাকা ১০ পয়সায় থিতু হওয়া কোম্পানিটির শেয়ার দাম আজ লেনদেন শুরু হয় ৫৫ টাকা ১০ পয়সা করে। এতেই দামবৃদ্ধির সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করেছে। এরপরও বিক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে না।
এসিআই ফরমুলেশন : আগের দিনের লেনদেন শেষে ১১৯ টাকা ৬০ পয়সায় থিতু হওয়া কোম্পানিটির শেয়ার দাম আজ লেনদেন শুরু হয় ১৩১ টাকা ৫০ পয়সা করে। এতেই দামবৃদ্ধির সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করেছে। এরপরও বিক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে না।
শ্যামপুর সুগার মিল : ৫২ টাকা দরে লেনদেন শরু হওয়ার পর কোম্পানিটির শেয়ার কয়েক দফা দাম বেড়ে ৫৩ টাকাা ২০ পয়সায় উঠেছে। কিন্তু যাদের কাছে কোম্পানিটির শেয়ার আছে তারা বিক্রি করতে চাচ্ছে না।
ওয়াইম্যাক্স ইলেকট্রিক : লেনদেনের শুরুতে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ছিল ২০ টাকা ২০ পয়সা। এখান থেকে কয়েক দফায় দাম বেড়ে ২১ টাকা ১০ পয়সা করে কেনার প্রস্তাব আসে। এরপরও বিক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে না।
রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স : লেনদেনের শুরুতে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ছিল ৭০ টাকা। এখান থেকে কয়েক দফায় দাম বেড়ে ৭৪ টাকা ৫০ পয়সা করে কেনার প্রস্তাব আসে। এরপরেও বিক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে না।
ইমাম বাটন : লেনদেনের শুরুতে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ছিল ২৫ টাকা ২০ পয়সা। এখান থেকে কয়েক দফায় দাম বেড়ে ২৭ টাকা ১০ পয়সা করে কেনার প্রস্তাব আসে। তবুও বিক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে না।
কাট্টালী টেক্সটাইল : লেনদেনের শুরুতে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ছিল ১৫ টাকা ৩০ পয়সা। এখান থেকে কয়েক দফায় দাম বেড়ে ১৬ টাকা করে কেনার প্রস্তাব আসে। তবুও কেউ শেয়ার বিক্রি করছেন না।
তৌফিকা ফুড : লেনদেনের শুরুতে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ছিল ২৬ টাকা ৮০ পয়সা। এখান থেকে কয়েক দফায় দাম বেড়ে ২৮ টাকা ৯০ পয়সা করে কেনার প্রস্তাব আসে। এরপরেও বিক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে না।
বিক্রেতা ‘উধাও’ ১২ কোম্পানির
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ