ঢাকা ০৭:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বিএসএফের ক্ষমতা বাড়ানোর ব্যাখ্যা চান কলকাতা হাইকোর্ট

  • আপডেট সময় : ১১:০৪:৪৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২১
  • ১১১ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) তিন রাজ্যে নজরদারি এলাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে কলকাতা হাইকোর্টে করা একটি জনস্বার্থ মামলার শুনানি হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রী বাস্তবের নেতৃত্বে গড়া ডিভিশন বেঞ্চ কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে বিষয়টি নিয়ে ব্যাখ্যা চেয়েছেন।
গত মঙ্গলবার শুনানি শেষে আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, কিসের ভিত্তিতে বিএসএফের নজরদারি এলাকা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত এবং কেন এ মামলা গ্রহণযোগ্য নয়, তা আগামী দুই মাসের মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারকে হলফনামা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টকে জানাতে হবে। এ মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি। এর আগে ১১ ডিসেম্বর এ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে পাঞ্জাব রাজ্য সরকার। ওই মামলায় সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়ে বিএসএফের ক্ষমতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে আদালতের হস্তক্ষেপ কামনা করে পাঞ্জাব সরকার। আগামী চার সপ্তাহ পর ওই মামলার শুনানির নির্দেশ দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত।
পশ্চিমবঙ্গ ও পাঞ্জাব রাজ্য সরকার সীমান্ত এলাকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করার দায়িত্ব নিজ নিজ রাজ্য সরকারের বলে দাবি করে বলেছে, কেবল সীমান্ত রক্ষার দায়িত্ব ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর। আর রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব থাকবে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারের হাতে। এ ব্যাপারে বিএসএফের কোনো দায়িত্ব নেই।
সম্প্রতি ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পাঞ্জাব, পশ্চিমবঙ্গ ও আসাম রাজ্যে বিএসএফকে অতিরিক্ত ক্ষমতা দিয়ে জানায়, এখন থেকে নিজেদের সীমানার ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত গ্রেপ্তার, তল্লাশি ও জব্দ করার ক্ষমতা পাবেন বিএসএফের কর্মকর্তারা। আগে এটা ছিল ১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত।
গত ১১ অক্টোবর ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিএসএফের নজরদারির এলাকা ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ানোর ঘোষণা দিলে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাৎক্ষণিক এর প্রতিবাদ জানান। প্রস্তাবটি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠিও লেখেন তিনি।
এদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে পাঞ্জাব ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিধানসভায় এমন আদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে প্রস্তাবও পাস হয়েছে। তবে বিজেপিদলীয় আসাম রাজ্য সরকার কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ না করে বরং বিএসএফের নজরদারি এলাকা বাড়ানোর প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ডেঙ্গুতে একদিনে আরও ৫ মৃত্যু, হাসপাতালে ৬২২

বিএসএফের ক্ষমতা বাড়ানোর ব্যাখ্যা চান কলকাতা হাইকোর্ট

আপডেট সময় : ১১:০৪:৪৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) তিন রাজ্যে নজরদারি এলাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে কলকাতা হাইকোর্টে করা একটি জনস্বার্থ মামলার শুনানি হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রী বাস্তবের নেতৃত্বে গড়া ডিভিশন বেঞ্চ কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে বিষয়টি নিয়ে ব্যাখ্যা চেয়েছেন।
গত মঙ্গলবার শুনানি শেষে আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, কিসের ভিত্তিতে বিএসএফের নজরদারি এলাকা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত এবং কেন এ মামলা গ্রহণযোগ্য নয়, তা আগামী দুই মাসের মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারকে হলফনামা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টকে জানাতে হবে। এ মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি। এর আগে ১১ ডিসেম্বর এ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে পাঞ্জাব রাজ্য সরকার। ওই মামলায় সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়ে বিএসএফের ক্ষমতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে আদালতের হস্তক্ষেপ কামনা করে পাঞ্জাব সরকার। আগামী চার সপ্তাহ পর ওই মামলার শুনানির নির্দেশ দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত।
পশ্চিমবঙ্গ ও পাঞ্জাব রাজ্য সরকার সীমান্ত এলাকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করার দায়িত্ব নিজ নিজ রাজ্য সরকারের বলে দাবি করে বলেছে, কেবল সীমান্ত রক্ষার দায়িত্ব ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর। আর রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব থাকবে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারের হাতে। এ ব্যাপারে বিএসএফের কোনো দায়িত্ব নেই।
সম্প্রতি ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পাঞ্জাব, পশ্চিমবঙ্গ ও আসাম রাজ্যে বিএসএফকে অতিরিক্ত ক্ষমতা দিয়ে জানায়, এখন থেকে নিজেদের সীমানার ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত গ্রেপ্তার, তল্লাশি ও জব্দ করার ক্ষমতা পাবেন বিএসএফের কর্মকর্তারা। আগে এটা ছিল ১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত।
গত ১১ অক্টোবর ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিএসএফের নজরদারির এলাকা ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ানোর ঘোষণা দিলে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাৎক্ষণিক এর প্রতিবাদ জানান। প্রস্তাবটি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠিও লেখেন তিনি।
এদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে পাঞ্জাব ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিধানসভায় এমন আদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে প্রস্তাবও পাস হয়েছে। তবে বিজেপিদলীয় আসাম রাজ্য সরকার কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ না করে বরং বিএসএফের নজরদারি এলাকা বাড়ানোর প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছে।