নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের পদত্যাগ দাবি করেছেন সংস্থাটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। পদত্যাগের দাবিতে চার ঘণ্টা অবরুদ্ধের পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় তারা বিএসইসি ভবন ত্যাগ করেন। এর আগে গতকাল বুধবার (৫ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে বিএসইসির চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। বুধবার সকাল সাড়ে ১১টা থেকে কমিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা চারদফা দাবি জানিয়ে এসব দাবি না মানলে পদত্যাগের আন্দোলন শুরু করে। এক পর্যায়ের কমিশনের চতুর্থ ফ্লোরে চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের অবরুদ্ধ করা হয়। বিদ্যুৎ লাইন বন্ধ করে কমিশনে ব্লাক আউট করা হয়। বেলা ২টার দিকে সেনাবাহিনীরা সদস্যরা কমিশন ভবনে প্রবেশ করে। সাড়ে তিনটার দিকে অবরুদ্ধ শীর্ষ কর্মকর্তাদের উদ্ধার করে সেনাবাহিনী। উল্লেখ্য, বর্তমানে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট কমিশনে চেয়ারম্যান ও তিনজন কমিশনার দায়িত্ব পালন করছেন।
জানা গেছে, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমানকে বাধ্যতামূলক অবসর দিয়েছে কমিশন। একইভাবে আরও কয়েকজনকে এই অবসর দেওয়ার পরিকল্পনা করে রেখেছে খন্দকার রাশেদ মাকসুদের নেতৃত্বাধীন কমিশন। যা নিয়ে বিএসইসির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভেতরে তৈরি হয় চরম ক্ষোভ। সাইফুর রহমানের আদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে তারা চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের অবরুদ্ধ করে নানান স্লোগান দেন। মঙ্গলবার (৪ মার্চ) বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ স্বাক্ষরিত এক আদেশে সাইফুর রহমানকে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়। আদেশে বলা হয়েছে, জনস্বার্থে বিএসইসির কর্মচারী চাকরি বিধিমালার ৬৩ ধারা ও সরকারি চাকরি আইন ২০১৮ এর ৪৫ ধারার ক্ষমতাবলে সাইফুর রহমানকে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়েছে। তবে এই দুইটি আইনের মধ্যে ৬৩ ধারায় শাস্তি পাওয়া ব্যক্তির পুনর্বিবেচনার আবেদনের সুযোগের কথা বলা হয়েছে।
আর সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান বিএসইসির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সরকারি না, কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং তাদের নিয়োগ ও অবসরের নিজস্ব আইন থাকা সত্ত্বেও রাশেদ মাকসুদের নেতৃত্বাধীন কমিশন সাইফুর রহমানকে বাধ্যতামূলক অবসরে সরকারি চাকরি আইন ২০১৮ এর ৪৫ ধারার ক্ষমতা ব্যবহারের কথা বলেছে। উল্লেখ্য, রাশেদ মাকসুদের নেতৃত্বাধীন কমিশন দায়িত্ব নিয়েই গত বছরের ২২ আগস্ট সাইফুর রহমানকে ইস্যুয়ার কোম্পানি অ্যাফেয়ার্স বিভাগ থেকে আরঅ্যান্ডডি বিভাগের দায়িত্ব দেয়। তখনই মূলত তাকে এক প্রকার ওএসডি করা হয়। তবে ৯ সেপ্টেম্বর সেই দায়িত্ব থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয়। সেই থেকে সাইফুর রহমান নিয়মিত অফিসে আসছেন, কিন্তু কোন কাজ করতে পারছেন না।

























