ঢাকা ০৩:৩২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বিএনপি বিশৃঙ্খলা করতে চাচ্ছে, সেটি হতে দেবো না: তথ্যমন্ত্রী

  • আপডেট সময় : ১১:২৭:৩৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২২
  • ১১৫ বার পড়া হয়েছে

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘সরকার দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার জন্য কাউকে অনুমতি ও লাইসেন্স দিতে পারে না। তারা (বিএনপি) তো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চাচ্ছে, সেটি আমরা হতে দেবো না।’
গতকাল শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর জনসভাস্থল পলোগ্রাউন্ড মাঠ পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন। হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব গতকালও বলেছেন নয়াপল্টনের সামনেই তাদের জনসভা হবে। আসলে ওদের উদ্দেশ্য জনসভা করা নয়, দেশে একটা গ-গোল লাগানো এবং দেশকে অস্থিতিশীল করা। আবেদন অনুযায়ী তাদের সুবিধার্থে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বরাদ্দ দেওয়া হয়। সেখানে না গিয়ে নয়াপল্টনে জনসভা হবে এটি বারবার ঘোষণা দেওয়ার অর্থ হচ্ছে, দেশে একটি গন্ডগোল লাগানো।’
জনসভার সার্বিক প্রস্তুতি এবং পরিস্থিতি অত্যন্ত সন্তোষজনক বলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ড অনেক বড় মাঠ, এখানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু জনসভা করেছেন, শেখ হাসিনাও জনসভা করেছেন। কানায় কানায় পূর্ণ জনসভা হয়েছে। অতীতেও মাঠ ছাড়িয়ে মানুষ বাইরে দাঁড়িয়েছে। আমরা যেভাবে সাড়া দেখতে পাচ্ছি, এবার কিন্তু মাঠের তুলনায় আট-দশ গুণ বেশি মানুষ মাঠের বাইরে থাকতে হবে। কয়েক দিন আগে এখানে বিএনপি জনসভা করেছিল। মাঠের তিন ভাগের একভাগ পেছনে রেখে তারা মঞ্চ বানিয়েছিল। আর সামনে যে মাঠ ছিল তার অর্ধেক পূর্ণ হয়েছিল।’
জনসভার মধ্য দিয়ে দেশবাসীকে আওয়ামী লীগ কী মেসেজ দিতে চায়— সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমরা যেহেতু জনগণের রায় নিয়ে সরকার গঠন করেছি, জনগণের সামনে হাজির হওয়া আমাদের দায়িত্ব। দেশ আগে কোথায় ছিল, এখন কোথায় গেছে, আমরা জনগণের জন্য কী করেছি, দেশকে আমরা কোথায় নিয়ে যেতে চাই-এগুলো জনগণের সামনে উপস্থাপন করা জনগণের দল হিসেবে আমাদের দায়িত্ব। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা জনগণের নেত্রী, তিনি সেই কথাগুলো মানুষের সামনে তুলে ধরবেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ গণমানুষের দল, আমরা জনগণের জন্যই কাজ করি। প্রধানমন্ত্রী গত ১৪ বছরে বাংলাদেশকে নতুন উচ্চতায় উন্নীত করেছেন। বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের ও খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশে উন্নীত হয়েছে। মানুষের মাথাপিছু আয় পাকিস্তানকে তো বহু আগেই ছাড়িয়েছে, ভারতকেও ছাড়িয়ে গেছে। চট্টগ্রামে জনসভার আগে প্রধানমন্ত্রী অনেকগুলো উন্নয়ন কর্মকা-ের উদ্বোধন করবেন।’
এ সময় চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহম্মদ এমপি, সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সাধারন সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন, উত্তর জেলার সভাপতি এম এ সালাম ও সাধারন সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এটিম পেয়ারুল ইসলামসহ আওয়ামী লীগ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বিএনপি বিশৃঙ্খলা করতে চাচ্ছে, সেটি হতে দেবো না: তথ্যমন্ত্রী

আপডেট সময় : ১১:২৭:৩৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২২

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘সরকার দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার জন্য কাউকে অনুমতি ও লাইসেন্স দিতে পারে না। তারা (বিএনপি) তো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চাচ্ছে, সেটি আমরা হতে দেবো না।’
গতকাল শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর জনসভাস্থল পলোগ্রাউন্ড মাঠ পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন। হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব গতকালও বলেছেন নয়াপল্টনের সামনেই তাদের জনসভা হবে। আসলে ওদের উদ্দেশ্য জনসভা করা নয়, দেশে একটা গ-গোল লাগানো এবং দেশকে অস্থিতিশীল করা। আবেদন অনুযায়ী তাদের সুবিধার্থে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বরাদ্দ দেওয়া হয়। সেখানে না গিয়ে নয়াপল্টনে জনসভা হবে এটি বারবার ঘোষণা দেওয়ার অর্থ হচ্ছে, দেশে একটি গন্ডগোল লাগানো।’
জনসভার সার্বিক প্রস্তুতি এবং পরিস্থিতি অত্যন্ত সন্তোষজনক বলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ড অনেক বড় মাঠ, এখানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু জনসভা করেছেন, শেখ হাসিনাও জনসভা করেছেন। কানায় কানায় পূর্ণ জনসভা হয়েছে। অতীতেও মাঠ ছাড়িয়ে মানুষ বাইরে দাঁড়িয়েছে। আমরা যেভাবে সাড়া দেখতে পাচ্ছি, এবার কিন্তু মাঠের তুলনায় আট-দশ গুণ বেশি মানুষ মাঠের বাইরে থাকতে হবে। কয়েক দিন আগে এখানে বিএনপি জনসভা করেছিল। মাঠের তিন ভাগের একভাগ পেছনে রেখে তারা মঞ্চ বানিয়েছিল। আর সামনে যে মাঠ ছিল তার অর্ধেক পূর্ণ হয়েছিল।’
জনসভার মধ্য দিয়ে দেশবাসীকে আওয়ামী লীগ কী মেসেজ দিতে চায়— সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমরা যেহেতু জনগণের রায় নিয়ে সরকার গঠন করেছি, জনগণের সামনে হাজির হওয়া আমাদের দায়িত্ব। দেশ আগে কোথায় ছিল, এখন কোথায় গেছে, আমরা জনগণের জন্য কী করেছি, দেশকে আমরা কোথায় নিয়ে যেতে চাই-এগুলো জনগণের সামনে উপস্থাপন করা জনগণের দল হিসেবে আমাদের দায়িত্ব। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা জনগণের নেত্রী, তিনি সেই কথাগুলো মানুষের সামনে তুলে ধরবেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ গণমানুষের দল, আমরা জনগণের জন্যই কাজ করি। প্রধানমন্ত্রী গত ১৪ বছরে বাংলাদেশকে নতুন উচ্চতায় উন্নীত করেছেন। বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের ও খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশে উন্নীত হয়েছে। মানুষের মাথাপিছু আয় পাকিস্তানকে তো বহু আগেই ছাড়িয়েছে, ভারতকেও ছাড়িয়ে গেছে। চট্টগ্রামে জনসভার আগে প্রধানমন্ত্রী অনেকগুলো উন্নয়ন কর্মকা-ের উদ্বোধন করবেন।’
এ সময় চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহম্মদ এমপি, সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সাধারন সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন, উত্তর জেলার সভাপতি এম এ সালাম ও সাধারন সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এটিম পেয়ারুল ইসলামসহ আওয়ামী লীগ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।