ঢাকা ১০:০১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫

বিএনপি নেতা জাফরুলের মৃত্যু

  • আপডেট সময় : ০১:৩৮:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ নভেম্বর ২০২২
  • ১১৮ বার পড়া হয়েছে

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি ; একদিন আগেই অংশ নিয়েছিলেন দলীয় কর্মসূচিতে, এরপর হাসপাতালে গিয়েছিলেন কিডনি ডায়ালাইসিসের জন্য, সেখান থেকেই না ফেরার দেশে চলে গেলেন সাবেক পরিবেশ ও বন প্রতিমন্ত্রী বিএনপি নেতা জাফরুল ইসলাম চৌধুরী।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রামের এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান। কিডনি, ডায়াবেটিসসহ নানা রোগে আক্রান্ত ৭৩ বছর বয়সী জাফরুলকে নিয়মিত কিডনি ডায়ালাইসিস করতে হত। তিনি দুই ছেলে ও দুই মেয়ে রেখে গেছেন। বিএনপি নেতা আবু সুফিয়ান জানান, সোমবার ষোলশহর বিপ্লব উদ্যানে ৭ নভেম্বরের দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলেন জাফরুল ইসলাম।
“সেখান থেকে তিনি নিয়মিত কিডনি ডায়লাইসিস করতে এভায়কেয়ার হাসপাতালে গিয়েছিলেন। কিন্তু রক্তচাপসহ নানা রকম জটিলতায় সেটি করানো সম্ভব হয়নি। তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় রাতে আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় নেওয়ার চেষ্টায় করা হয়েছিল। ওইসময় তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ায় তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয়।”
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি ছিলেন জাফরুল। বাঁশখালী থেকে ১৯৯১ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত টানা সংসদ সদস্য ছিলেন তিনি। ২০০১ সালে বিএনপি নেতৃত্বাধীন চার দলীয় জোট সরকারে পরিবেশ ও বন প্রতিমন্ত্রী ছিলেন তিনি। এছাড়া চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতিও ছিলেন এ বিএনপি নেতা।
আজ বুধবার সকাল ১০টায় চট্টগ্রাম নগরীর জমিয়াতুল ফালাহ জামে মসজিদে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর তার মরদেহ নেওয়া হবে বাঁশখালীতে। সেখানে আরও দুই দফা জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে। জাফরুল ইসলামের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছিরউদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শাহাদাত হোসেন, সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, দক্ষিণ জেলার আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, সদস্য সচিব মোস্তাক আহমেদ।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

বিএনপি নেতা জাফরুলের মৃত্যু

আপডেট সময় : ০১:৩৮:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ নভেম্বর ২০২২

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি ; একদিন আগেই অংশ নিয়েছিলেন দলীয় কর্মসূচিতে, এরপর হাসপাতালে গিয়েছিলেন কিডনি ডায়ালাইসিসের জন্য, সেখান থেকেই না ফেরার দেশে চলে গেলেন সাবেক পরিবেশ ও বন প্রতিমন্ত্রী বিএনপি নেতা জাফরুল ইসলাম চৌধুরী।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রামের এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান। কিডনি, ডায়াবেটিসসহ নানা রোগে আক্রান্ত ৭৩ বছর বয়সী জাফরুলকে নিয়মিত কিডনি ডায়ালাইসিস করতে হত। তিনি দুই ছেলে ও দুই মেয়ে রেখে গেছেন। বিএনপি নেতা আবু সুফিয়ান জানান, সোমবার ষোলশহর বিপ্লব উদ্যানে ৭ নভেম্বরের দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলেন জাফরুল ইসলাম।
“সেখান থেকে তিনি নিয়মিত কিডনি ডায়লাইসিস করতে এভায়কেয়ার হাসপাতালে গিয়েছিলেন। কিন্তু রক্তচাপসহ নানা রকম জটিলতায় সেটি করানো সম্ভব হয়নি। তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় রাতে আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় নেওয়ার চেষ্টায় করা হয়েছিল। ওইসময় তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ায় তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয়।”
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি ছিলেন জাফরুল। বাঁশখালী থেকে ১৯৯১ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত টানা সংসদ সদস্য ছিলেন তিনি। ২০০১ সালে বিএনপি নেতৃত্বাধীন চার দলীয় জোট সরকারে পরিবেশ ও বন প্রতিমন্ত্রী ছিলেন তিনি। এছাড়া চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতিও ছিলেন এ বিএনপি নেতা।
আজ বুধবার সকাল ১০টায় চট্টগ্রাম নগরীর জমিয়াতুল ফালাহ জামে মসজিদে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর তার মরদেহ নেওয়া হবে বাঁশখালীতে। সেখানে আরও দুই দফা জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে। জাফরুল ইসলামের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছিরউদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শাহাদাত হোসেন, সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, দক্ষিণ জেলার আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, সদস্য সচিব মোস্তাক আহমেদ।