ঢাকা ০৫:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বিএনপি নেতা কামাল হত্যায় আরও দুজন গ্রেফতার

  • আপডেট সময় : ১২:৫৮:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ নভেম্বর ২০২২
  • ৯৬ বার পড়া হয়েছে

সিলেট প্রতিনিধি : সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক আ ফ ম কামাল হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। গোয়েন্দাদের তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার (৯ নভেম্বর) সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার নোয়াখালী বাজারের একটি বাড়ি থেকে এই দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। র‌্যাব-৯ এর গণমাধ্যম শাখার কর্মকর্তা সিনিয়র এএসপি আফসান আল আলম এই তথ্য জানান। তারা হলেন- সিলেট নগরীর বাদামবাগিচা এলাকার বাসিন্দা মিশু ও গোয়াইপাড়া এলাকার বাসিন্দা মনা। তারা দুজন কামাল হত্যা মামলার যথাক্রমে ৪ ও ৬ নম্বর আসামি। এর আগে, মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) রাতে এই হত্যা মামলার আরেক আসামি কুটি মিয়াকে গ্রেফতার করে সিলেটের বিমানবন্দর থানা পুলিশ।
গত রবিবার রাতে নগরীর বড়বাজার এলাকায় দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে নিহত হন আ ফ ম কামাল। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ব্যবসা সংক্রান্ত বিরোধে কামাল খুন হয়েছেন। হত্যাকা-ের ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে নিহতের ভাই মইনুল হক বাদী হয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখ করে বিমানবন্দর থানায় মামলা করেন। মামলার আসামিরা হলেন- বিশ্বনাথের লামাকাজি এলাকার আজিজুর রহমান সম্রাট, একই এলাকার মো. হাফিজ, আম্বরখানা বড়বাজার এলাকার শাকিল আহমদ, বাদাম বাগিচা এলাকার মিশু, গুয়াইপাড়া এলাকার কুটি, একই এলাকার মনা, বিশ্বনাথের আব্দুল আহাদ, খাদিম দাসপাড়ার মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস, সদর উপজেলার রায়েরগাঁওয়ের আশরাফ সিদ্দকী ও লালারগাঁওয়ের রুহুল আমিন শাওন। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, আম্বরখানার মান্নান সুপার মার্কেটে নিহতের ফুফাতো ভাইয়ের ছেলে লাহিন আহমদের লাহিন এয়ার ইন্টারন্যাশনাল সার্ভিস নামে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। গত ১৯ অক্টোবর আসামিরা এসে এই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর চালায়। এ খবর পেয়ে কামাল ঘটনাস্থলে গিয়ে আসামিদের ভাঙচুর চালাতে নিষেধ করেন। এ সময় দুপক্ষের মধ্যে বাগবিত-া হয়। আসামিরা সেদিন প্রকাশ্যে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এর জেরে রবিবার রাত ৮টার দিকে প্রাইভেটকারে নিজ বাসায় যাওয়ার সময় বড়বাজার এলাকায় মোটরসাইকেলে ৪/৫ জন পিছু নেয়। এ সময় তারা পরিকল্পনা অনুযায়ী তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে হত্যা করে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বিএনপি নেতা কামাল হত্যায় আরও দুজন গ্রেফতার

আপডেট সময় : ১২:৫৮:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ নভেম্বর ২০২২

সিলেট প্রতিনিধি : সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক আ ফ ম কামাল হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। গোয়েন্দাদের তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার (৯ নভেম্বর) সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার নোয়াখালী বাজারের একটি বাড়ি থেকে এই দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। র‌্যাব-৯ এর গণমাধ্যম শাখার কর্মকর্তা সিনিয়র এএসপি আফসান আল আলম এই তথ্য জানান। তারা হলেন- সিলেট নগরীর বাদামবাগিচা এলাকার বাসিন্দা মিশু ও গোয়াইপাড়া এলাকার বাসিন্দা মনা। তারা দুজন কামাল হত্যা মামলার যথাক্রমে ৪ ও ৬ নম্বর আসামি। এর আগে, মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) রাতে এই হত্যা মামলার আরেক আসামি কুটি মিয়াকে গ্রেফতার করে সিলেটের বিমানবন্দর থানা পুলিশ।
গত রবিবার রাতে নগরীর বড়বাজার এলাকায় দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে নিহত হন আ ফ ম কামাল। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ব্যবসা সংক্রান্ত বিরোধে কামাল খুন হয়েছেন। হত্যাকা-ের ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে নিহতের ভাই মইনুল হক বাদী হয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখ করে বিমানবন্দর থানায় মামলা করেন। মামলার আসামিরা হলেন- বিশ্বনাথের লামাকাজি এলাকার আজিজুর রহমান সম্রাট, একই এলাকার মো. হাফিজ, আম্বরখানা বড়বাজার এলাকার শাকিল আহমদ, বাদাম বাগিচা এলাকার মিশু, গুয়াইপাড়া এলাকার কুটি, একই এলাকার মনা, বিশ্বনাথের আব্দুল আহাদ, খাদিম দাসপাড়ার মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস, সদর উপজেলার রায়েরগাঁওয়ের আশরাফ সিদ্দকী ও লালারগাঁওয়ের রুহুল আমিন শাওন। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, আম্বরখানার মান্নান সুপার মার্কেটে নিহতের ফুফাতো ভাইয়ের ছেলে লাহিন আহমদের লাহিন এয়ার ইন্টারন্যাশনাল সার্ভিস নামে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। গত ১৯ অক্টোবর আসামিরা এসে এই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর চালায়। এ খবর পেয়ে কামাল ঘটনাস্থলে গিয়ে আসামিদের ভাঙচুর চালাতে নিষেধ করেন। এ সময় দুপক্ষের মধ্যে বাগবিত-া হয়। আসামিরা সেদিন প্রকাশ্যে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এর জেরে রবিবার রাত ৮টার দিকে প্রাইভেটকারে নিজ বাসায় যাওয়ার সময় বড়বাজার এলাকায় মোটরসাইকেলে ৪/৫ জন পিছু নেয়। এ সময় তারা পরিকল্পনা অনুযায়ী তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে হত্যা করে।