ঢাকা ০১:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ অক্টোবর ২০২৫

বিএনপি ঢাকা দখল করলে আমরা কি ললিপপ খাবো

  • আপডেট সময় : ০২:৪৯:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২২
  • ১১৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপি ঢাকা দখল করলে আওয়ামী লীগ কি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ললিপপ খাবে? –এমন প্রশ্ন রেখেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। গতকাল শনিবার বিকাল ৫টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি কেন সোহরাওয়ার্দী মাঠকে বাদ দিয়ে মাত্র পল্টনে জনসভা করতে চায় তার কারণ আমরা সবাই জানি। গত নির্বাচনের আগে বেগম জিয়াও তো এখানে মিটিং করেছেন। কিন্তু মির্জা ফখরুল আপনি কেন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে চান না? ধরা পড়ে গেছে, ধরা পড়ে গেছে! স্বাধীনতা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আপনার মধ্যে নেই, তা আবারও প্রমাণিত হলো। এ কারণেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে চাচ্ছেন না ফখরুল।’
কাদের বলেন, ‘তারেক রহমান লন্ডনের টেমস নদীর তীরে বসে বাণী পাঠাচ্ছেন, আর দেশে বসে ফখরুল হুংকার ছাড়ছেন শেখ হাসিনা পালিয়ে যাবে, মন্ত্রীরা দেশ ত্যাগ করবে, এটা কখনো হবে না। আওয়ামী লীগ কাউকে ভয় পায় না। শেখ হাসিনা কাউকে ভয় পায় না। আওয়ামী লীগ ভয় পায় আপনাদের আগুন-সন্ত্রাস, লাঠি নিয়ে খেলাধুলাকে। সেই বদ-মতলব আপনাদের আছে। সেজন্যই আপনাদের পল্টন দরকার।’
যারা ভোট চুরি করে তারাই আবার ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনার কথা বলে মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ঢাকা শহরের বড়লোকদের বাড়ির সামনে লেখা থাকে কুকুর হতে সাবধান। আর, গ্রামের নিরীহ মানুষ বলে– বিএনপি থেকে সাবধান। বিএনপিকে বর্তমানে কেউ বিশ্বাস করে না।’
এসময় সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়, সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য। সম্মেলনে দুপুর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন আবাসিক হলগুলো থেকে নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে আসতে থাকেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সম্মেলনস্থলে নেতাকর্মীদের উপস্থিতি বাড়তে থাকে। বেলা সাড়ে ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং জাতীয় সংগীত গাওয়ার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মেলন শুরু হয়। এবারের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সম্মেলনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদের বিপরীতে ২৪৫ জন নেতৃত্ব প্রত্যাশী সিভি জমা দিয়েছেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

বিএনপি ঢাকা দখল করলে আমরা কি ললিপপ খাবো

আপডেট সময় : ০২:৪৯:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপি ঢাকা দখল করলে আওয়ামী লীগ কি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ললিপপ খাবে? –এমন প্রশ্ন রেখেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। গতকাল শনিবার বিকাল ৫টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি কেন সোহরাওয়ার্দী মাঠকে বাদ দিয়ে মাত্র পল্টনে জনসভা করতে চায় তার কারণ আমরা সবাই জানি। গত নির্বাচনের আগে বেগম জিয়াও তো এখানে মিটিং করেছেন। কিন্তু মির্জা ফখরুল আপনি কেন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে চান না? ধরা পড়ে গেছে, ধরা পড়ে গেছে! স্বাধীনতা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আপনার মধ্যে নেই, তা আবারও প্রমাণিত হলো। এ কারণেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে চাচ্ছেন না ফখরুল।’
কাদের বলেন, ‘তারেক রহমান লন্ডনের টেমস নদীর তীরে বসে বাণী পাঠাচ্ছেন, আর দেশে বসে ফখরুল হুংকার ছাড়ছেন শেখ হাসিনা পালিয়ে যাবে, মন্ত্রীরা দেশ ত্যাগ করবে, এটা কখনো হবে না। আওয়ামী লীগ কাউকে ভয় পায় না। শেখ হাসিনা কাউকে ভয় পায় না। আওয়ামী লীগ ভয় পায় আপনাদের আগুন-সন্ত্রাস, লাঠি নিয়ে খেলাধুলাকে। সেই বদ-মতলব আপনাদের আছে। সেজন্যই আপনাদের পল্টন দরকার।’
যারা ভোট চুরি করে তারাই আবার ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনার কথা বলে মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ঢাকা শহরের বড়লোকদের বাড়ির সামনে লেখা থাকে কুকুর হতে সাবধান। আর, গ্রামের নিরীহ মানুষ বলে– বিএনপি থেকে সাবধান। বিএনপিকে বর্তমানে কেউ বিশ্বাস করে না।’
এসময় সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়, সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য। সম্মেলনে দুপুর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন আবাসিক হলগুলো থেকে নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে আসতে থাকেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সম্মেলনস্থলে নেতাকর্মীদের উপস্থিতি বাড়তে থাকে। বেলা সাড়ে ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং জাতীয় সংগীত গাওয়ার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মেলন শুরু হয়। এবারের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সম্মেলনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদের বিপরীতে ২৪৫ জন নেতৃত্ব প্রত্যাশী সিভি জমা দিয়েছেন।