ঢাকা ০৪:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

বিএনপি-জামায়াত চালায় আইএসআই: হানিফ

  • আপডেট সময় : ১২:৪৩:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ অগাস্ট ২০২২
  • ৮০ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার সার্ভিস ইন্টিলিজেন্স—আইএসআই দ্বারা বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী পরিচালিত হয় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ। তিনি বলেছেন, পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই দ্বারা বিএনপি-জামায়াতের জন্ম হয়েছে। তারা কখনো আলাদা হতে পারে না।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে গতকাল সোমবার ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে বাংলাদেশ যুব মহিলালীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, পাকিস্তানের আদর্শে বিশ্বাসী বিএনপি-জামায়াত একে অপরের পরিপূরক। তারা কখনো আলাদা হতে পারে না, কখনো হবেও না। জামায়াতে ইসলামী বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট ছেড়ে দিয়েছে- গণমাধ্যমের এমন খবর প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ২০ দলীয় জোট এখন কার্যকর নেই। তারা আর বিএনপির সঙ্গে নেই। আমি পরিস্কারভাবে বলতে চাই, বিএনপি-জামায়াত কখনো আলাদা হতে পারে না। এটা তাদের রাজনৈতিক কৌশল। কারণ বিএনপির শীর্ষ নেতা তারেক রহমান ছাত্রশিবিরের এক সমাবেশে বলেছিলো, ছাত্রশিবির-ছাত্রদল এক মায়ের পেটের দুই ভাই। আর এক মায়ের দুই সন্তান বিএনপি এবং জামায়াত। এদের জন্মই হয়েছে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে। তিনি বলেন, জনগণকে বিভ্রান্ত করতে এখন বিচ্ছেদের কথা প্রচার করছে। বাংলাদেশে বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতি যতদিন সক্রিয় থাকবে ততদিন ষড়যন্ত্রের রাজনীতি বন্ধ হবে না। পাকিস্তানের দোসর বিএনপি-জামায়াতকে রাজনৈতিকভাবে কোনঠাসা করে দিতে হবে। এদের রাজনীতি থেকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে পারলে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। বিএনপি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে উল্লেখ করে হানিফ বলেন, খুনি জিয়া রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করেছিল। আওয়ামী লীগকে ছিন্নভিন্ন করেছিল। তার লক্ষ্য ছিল, আওয়ামী লীগকে যদি নিশ্চিহ্ন করে দেয়া যায় তাহলে বাংলাদেশে আর কখনো স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে না। তিনি বলেন, ঠিক একইভাবে ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত যখন ক্ষমতায় ছিল তখন তারেক রহমান হাওয়া ভবনে বসে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নির্বিচারে হত্যা করেছে। পরিকল্পিতভাবে আওয়ামী লীগের ২৬ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছিল। গ্রেনেড হামলা চালিয়ে শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করেছে। তাদের লক্ষ্য ছিলো একটাই, আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে পারলে পাকিস্তানের এজেন্ট হিসেবে আজীবন ক্ষমতায় থাকতে পারবে। আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, তারেক রহমান হাওয়া ভবনে বসে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার পরিকল্পনা করেছে। মুফতি হান্নান স্বীকারোক্তিতে বলেছে তারেক রহমান হাওয়া ভবনে বসে লুৎফুজ্জামান বাবর, আব্দুস সালাম পিন্টু, হারিছ চৌধুরী, জামায়াতের সেক্রেটারি আলী আহসান মুজাহিদ, মাওলানা তাজউদ্দিন, পাকিস্তানের জঙ্গী মজিদ ভাটকে নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করেছে। আজ ইতিহাস উন্মোচন হয়েছে। তবু এখনো তারা মিথ্যাচার করছে। এসময় বিএনপি-জামায়াতকে বয়কট করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহবান জানান হানিফ। বলেন, তারা রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকতে দেশের উন্নয়ন করতে পারেনি। তাই শেখ হাসিনার উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে চক্রান্ত করে যাচ্ছে। আসুন বিএনপি-জামায়াতকে প্রতিরোধ করে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বপ্নের সোনার বাংলার দিকে এগিয়ে যাই। যুব মহিলা লীগ সভাপতি নাজমা আকতারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি এমপি। আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব মহিলা লীগ সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট অপু উকিল।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বিএনপি-জামায়াত চালায় আইএসআই: হানিফ

আপডেট সময় : ১২:৪৩:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ অগাস্ট ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার সার্ভিস ইন্টিলিজেন্স—আইএসআই দ্বারা বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী পরিচালিত হয় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ। তিনি বলেছেন, পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই দ্বারা বিএনপি-জামায়াতের জন্ম হয়েছে। তারা কখনো আলাদা হতে পারে না।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে গতকাল সোমবার ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে বাংলাদেশ যুব মহিলালীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, পাকিস্তানের আদর্শে বিশ্বাসী বিএনপি-জামায়াত একে অপরের পরিপূরক। তারা কখনো আলাদা হতে পারে না, কখনো হবেও না। জামায়াতে ইসলামী বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট ছেড়ে দিয়েছে- গণমাধ্যমের এমন খবর প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ২০ দলীয় জোট এখন কার্যকর নেই। তারা আর বিএনপির সঙ্গে নেই। আমি পরিস্কারভাবে বলতে চাই, বিএনপি-জামায়াত কখনো আলাদা হতে পারে না। এটা তাদের রাজনৈতিক কৌশল। কারণ বিএনপির শীর্ষ নেতা তারেক রহমান ছাত্রশিবিরের এক সমাবেশে বলেছিলো, ছাত্রশিবির-ছাত্রদল এক মায়ের পেটের দুই ভাই। আর এক মায়ের দুই সন্তান বিএনপি এবং জামায়াত। এদের জন্মই হয়েছে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে। তিনি বলেন, জনগণকে বিভ্রান্ত করতে এখন বিচ্ছেদের কথা প্রচার করছে। বাংলাদেশে বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতি যতদিন সক্রিয় থাকবে ততদিন ষড়যন্ত্রের রাজনীতি বন্ধ হবে না। পাকিস্তানের দোসর বিএনপি-জামায়াতকে রাজনৈতিকভাবে কোনঠাসা করে দিতে হবে। এদের রাজনীতি থেকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে পারলে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। বিএনপি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে উল্লেখ করে হানিফ বলেন, খুনি জিয়া রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করেছিল। আওয়ামী লীগকে ছিন্নভিন্ন করেছিল। তার লক্ষ্য ছিল, আওয়ামী লীগকে যদি নিশ্চিহ্ন করে দেয়া যায় তাহলে বাংলাদেশে আর কখনো স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে না। তিনি বলেন, ঠিক একইভাবে ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত যখন ক্ষমতায় ছিল তখন তারেক রহমান হাওয়া ভবনে বসে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নির্বিচারে হত্যা করেছে। পরিকল্পিতভাবে আওয়ামী লীগের ২৬ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছিল। গ্রেনেড হামলা চালিয়ে শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করেছে। তাদের লক্ষ্য ছিলো একটাই, আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে পারলে পাকিস্তানের এজেন্ট হিসেবে আজীবন ক্ষমতায় থাকতে পারবে। আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, তারেক রহমান হাওয়া ভবনে বসে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার পরিকল্পনা করেছে। মুফতি হান্নান স্বীকারোক্তিতে বলেছে তারেক রহমান হাওয়া ভবনে বসে লুৎফুজ্জামান বাবর, আব্দুস সালাম পিন্টু, হারিছ চৌধুরী, জামায়াতের সেক্রেটারি আলী আহসান মুজাহিদ, মাওলানা তাজউদ্দিন, পাকিস্তানের জঙ্গী মজিদ ভাটকে নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করেছে। আজ ইতিহাস উন্মোচন হয়েছে। তবু এখনো তারা মিথ্যাচার করছে। এসময় বিএনপি-জামায়াতকে বয়কট করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহবান জানান হানিফ। বলেন, তারা রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকতে দেশের উন্নয়ন করতে পারেনি। তাই শেখ হাসিনার উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে চক্রান্ত করে যাচ্ছে। আসুন বিএনপি-জামায়াতকে প্রতিরোধ করে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বপ্নের সোনার বাংলার দিকে এগিয়ে যাই। যুব মহিলা লীগ সভাপতি নাজমা আকতারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি এমপি। আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব মহিলা লীগ সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট অপু উকিল।