ঢাকা ০৩:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫

বিএনপি জল ঘোলা করে খাবে, ভোটেও আসবে শেষ বেলায়: কাদের

  • আপডেট সময় : ০২:২৩:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জুন ২০২২
  • ৭৪ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক :আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপি সবসময় জল ঘোলকরে খাবে। তারা নিজেরাই নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেবেন। সেটাও হয়তো শেষ বেলায়।’
ওবায়দুল কাদের বলে, ‘তারা (বিএনপি) অনেক কথাই বলেন, শেষ পর্যন্ত আসল কথায় চলে আসেন। একটা কথা বলি, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করাটা বিএনপির অধিকার। সরকারের সুযোগ দেওয়া বা ত্রাণ বিতরণ করা নয়। নির্বাচনে অংশ নেওয়াটা বিএনপির অধিকার। দল হিসেবে গণতন্ত্রে বিশ্বাস করলে তারা অবশ্যই নির্বাচনে আসবেন। আমরা এটাই বিশ্বাস করি।’
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ইভিএম বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে মতবিনিময়ে অংশ নেয় আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দল। মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আগেও বলেছি, আমার বিশ্বাস বিএনপি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে আসবে। আমরাও চাই বিএনপি আসুক, একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন হোক। বিএনপির মতো বড় একটা দল ভোটের বাইরে থাকবে, এটা আমরা চাই না।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দল হিসেবে আমরা বলেই যাচ্ছি। পদ্মা সেতুর উদ্বোধনেও তাদের দাওয়াত দিয়েছি। খেয়াল করে দেখেন, আওয়ামী লীগের এ বিষয়ে পজিটিভ অ্যাটিচিউড (ইতিবাচক মনোভাব) আছে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দেখেন একটা কথা সবাই বলে, সরকারের অধীনে নির্বাচন। আমি অবাক হয়ে শুনি, ফখরুল সাহেবও বলেন এ সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবো না। ইলেকশন তো এ সরকারের অধীনে হবে না। ইলেকশন হবে ইলেকশন কমিশনের অধীনে। সরকার ক্রেডিবল, ফেয়ার অ্যান্ড ফ্রি ইলেকশনে যে যে সহযোগিতা দরকার, তা দেবে।’
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘মহামান্য রাষ্ট্রপতি কী করবেন, সেটি তার সিদ্ধান্তের ব্যাপার। তিনি হয়তো প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে করে থাকেন। এটা হয়তো নিয়ম, যাতে আমার কোনো এখতিয়ার নেই।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন তো রাজনৈতিক সংলাপে ডাকছে। সেখানে আমরা আসবো। আর এ ব্যাপারে আমাদের স্ট্যান্ড ক্লিয়ার অ্যান্ড লাউডার। আমরা গতবার যেটা বলেছি, একই দাবি আমরা পুনরাবৃত্তি করছি। আমরা চাই যে, এ প্রস্তাবগুলো গ্রহণ করা হোক। ইভিএমের ব্যাপারে আমরা অত্যন্ত পরিষ্কার এবং স্পষ্ট। মন থেকে চাইছি, ৩০০ আসনে ইভিএমে ভোট হোক। আমাদের এ নিয়ে কোনো আপত্তি নেই। আমরা সাপোর্ট করি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজকে যে রাজনৈতিক দলগুলো এখানে এসেছে। আমার মনে হয়, অধিকাংশই ইভিএমের পক্ষে বলেছেন। আজকে অনেকগুলো দল এসেছে। আমরা সবার কথা শুনেছি। ইভিএমের বিরুদ্ধেও বলেছেন দু-একজন। এটা তো গণতন্ত্র। বিউটি অব ডেমোক্রেসি। বিরুদ্ধে তো বলবেনই। ভিন্নমত থাকতেই পারে। সেটা তো কোনো অসুবিধা নেই।’ সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘পৃথিবীর অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচন কমিশন, নির্বাচনকালীন সরকার গঠন হয়, বাংলাদেশেও শেখ হাসিনার সরকার সেটাই অনুসরণ করবে।’
ইভিএমের বিপক্ষেই বেশি কথা হয়েছে: ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) বিপক্ষেই বেশি কথা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, ‘আমরা যখন দায়িত্ব নিই, কিছুদিন পর থেকেই ইভিএম নিয়ে কথাবার্তা পত্রপত্রিকায় চাউর হয়েছিল। এর বিপক্ষেই বেশি কথাবার্তা হয়েছে। শুরু থেকে ইভিএম সম্পর্কে তেমন ধারণা ছিল না। ব্যক্তিগত ধারণাও ছিল না। এরই মধ্যে ইভিএম নিয়ে অনেক কাজ করেছি। এখন মোটামুটি ধারণা আছে।’
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগসহ ১০টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বিকেল ৩টায় ইভিএম সংক্রান্ত সংলাপ শুরু করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সভার শুরুতে শুভেচ্ছা বক্তব্যে সিইসি এসব কথা বলেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘আগে আমরা দুই দফা সংলাপ করেছি। অনেকেই ইভিএমের পক্ষে বলেছেন। অনেকে সলিউশন (সমাধান) দিয়ে বলেছেন, আরও উন্নত প্রযুক্তির ইভিএম যদি কেনা যায়, তাহলে আরও ভালো হয়। আবার অনেকে সরাসারি বলেছেন, তারা ইভিএমে ভোটগ্রহণ হলে নির্বাচনে যাবেন না। আমরা আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেবো। তবে কোন পদ্ধতিতে নির্বাচন করবো, সেটা আমাদেরই (ইসি) সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আজ বড় দলের অনেকেই এসেছেন। মন্ত্রী (সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের) স্বয়ং নিজেই এসেছেন, যেটা আমি প্রত্যাশাও করিনি। আপনি এসেছেন, আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ। আজকের আলোচনাটা ইভিএমের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে। আপনারা ইভিএমের পক্ষে-বিপক্ষে বলতে পারেন। আপনাদের কথা আমরা শুনবো। আলোচনার মাধ্যমে পরবর্তী সময়ে বস্তুনিষ্ঠ সিদ্ধান্তে উপনীত হবো।’
এদিকে, মঙ্গলবারের সংলাপের জন্য ১৩টি রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণপত্র দেয় ইসি। দলগুলো হলো- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল-এমএল, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি, গণতন্ত্রী পার্টি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, বিকল্প ধারা বাংলাদেশ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ও বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট। এর আগে দুই ধাপে ২৬ রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল ইসি। গত ১৯ ও ২১ জুন দুই ধাপে ২৬টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের ইভিএম যাচাই বিষয়ক সভা করে ইসি। এ দুই ধাপে ১৮টি দলের নেতারা অংশ নেন। তবে বিএনপিসহ আটি দল ইসির সংলাপের আমন্ত্রণে সাড়া দেয়নি।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বিএনপি জল ঘোলা করে খাবে, ভোটেও আসবে শেষ বেলায়: কাদের

আপডেট সময় : ০২:২৩:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জুন ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক :আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপি সবসময় জল ঘোলকরে খাবে। তারা নিজেরাই নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেবেন। সেটাও হয়তো শেষ বেলায়।’
ওবায়দুল কাদের বলে, ‘তারা (বিএনপি) অনেক কথাই বলেন, শেষ পর্যন্ত আসল কথায় চলে আসেন। একটা কথা বলি, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করাটা বিএনপির অধিকার। সরকারের সুযোগ দেওয়া বা ত্রাণ বিতরণ করা নয়। নির্বাচনে অংশ নেওয়াটা বিএনপির অধিকার। দল হিসেবে গণতন্ত্রে বিশ্বাস করলে তারা অবশ্যই নির্বাচনে আসবেন। আমরা এটাই বিশ্বাস করি।’
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ইভিএম বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে মতবিনিময়ে অংশ নেয় আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দল। মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আগেও বলেছি, আমার বিশ্বাস বিএনপি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে আসবে। আমরাও চাই বিএনপি আসুক, একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন হোক। বিএনপির মতো বড় একটা দল ভোটের বাইরে থাকবে, এটা আমরা চাই না।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দল হিসেবে আমরা বলেই যাচ্ছি। পদ্মা সেতুর উদ্বোধনেও তাদের দাওয়াত দিয়েছি। খেয়াল করে দেখেন, আওয়ামী লীগের এ বিষয়ে পজিটিভ অ্যাটিচিউড (ইতিবাচক মনোভাব) আছে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দেখেন একটা কথা সবাই বলে, সরকারের অধীনে নির্বাচন। আমি অবাক হয়ে শুনি, ফখরুল সাহেবও বলেন এ সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবো না। ইলেকশন তো এ সরকারের অধীনে হবে না। ইলেকশন হবে ইলেকশন কমিশনের অধীনে। সরকার ক্রেডিবল, ফেয়ার অ্যান্ড ফ্রি ইলেকশনে যে যে সহযোগিতা দরকার, তা দেবে।’
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘মহামান্য রাষ্ট্রপতি কী করবেন, সেটি তার সিদ্ধান্তের ব্যাপার। তিনি হয়তো প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে করে থাকেন। এটা হয়তো নিয়ম, যাতে আমার কোনো এখতিয়ার নেই।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন তো রাজনৈতিক সংলাপে ডাকছে। সেখানে আমরা আসবো। আর এ ব্যাপারে আমাদের স্ট্যান্ড ক্লিয়ার অ্যান্ড লাউডার। আমরা গতবার যেটা বলেছি, একই দাবি আমরা পুনরাবৃত্তি করছি। আমরা চাই যে, এ প্রস্তাবগুলো গ্রহণ করা হোক। ইভিএমের ব্যাপারে আমরা অত্যন্ত পরিষ্কার এবং স্পষ্ট। মন থেকে চাইছি, ৩০০ আসনে ইভিএমে ভোট হোক। আমাদের এ নিয়ে কোনো আপত্তি নেই। আমরা সাপোর্ট করি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজকে যে রাজনৈতিক দলগুলো এখানে এসেছে। আমার মনে হয়, অধিকাংশই ইভিএমের পক্ষে বলেছেন। আজকে অনেকগুলো দল এসেছে। আমরা সবার কথা শুনেছি। ইভিএমের বিরুদ্ধেও বলেছেন দু-একজন। এটা তো গণতন্ত্র। বিউটি অব ডেমোক্রেসি। বিরুদ্ধে তো বলবেনই। ভিন্নমত থাকতেই পারে। সেটা তো কোনো অসুবিধা নেই।’ সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘পৃথিবীর অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচন কমিশন, নির্বাচনকালীন সরকার গঠন হয়, বাংলাদেশেও শেখ হাসিনার সরকার সেটাই অনুসরণ করবে।’
ইভিএমের বিপক্ষেই বেশি কথা হয়েছে: ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) বিপক্ষেই বেশি কথা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, ‘আমরা যখন দায়িত্ব নিই, কিছুদিন পর থেকেই ইভিএম নিয়ে কথাবার্তা পত্রপত্রিকায় চাউর হয়েছিল। এর বিপক্ষেই বেশি কথাবার্তা হয়েছে। শুরু থেকে ইভিএম সম্পর্কে তেমন ধারণা ছিল না। ব্যক্তিগত ধারণাও ছিল না। এরই মধ্যে ইভিএম নিয়ে অনেক কাজ করেছি। এখন মোটামুটি ধারণা আছে।’
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগসহ ১০টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বিকেল ৩টায় ইভিএম সংক্রান্ত সংলাপ শুরু করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সভার শুরুতে শুভেচ্ছা বক্তব্যে সিইসি এসব কথা বলেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘আগে আমরা দুই দফা সংলাপ করেছি। অনেকেই ইভিএমের পক্ষে বলেছেন। অনেকে সলিউশন (সমাধান) দিয়ে বলেছেন, আরও উন্নত প্রযুক্তির ইভিএম যদি কেনা যায়, তাহলে আরও ভালো হয়। আবার অনেকে সরাসারি বলেছেন, তারা ইভিএমে ভোটগ্রহণ হলে নির্বাচনে যাবেন না। আমরা আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেবো। তবে কোন পদ্ধতিতে নির্বাচন করবো, সেটা আমাদেরই (ইসি) সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আজ বড় দলের অনেকেই এসেছেন। মন্ত্রী (সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের) স্বয়ং নিজেই এসেছেন, যেটা আমি প্রত্যাশাও করিনি। আপনি এসেছেন, আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ। আজকের আলোচনাটা ইভিএমের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে। আপনারা ইভিএমের পক্ষে-বিপক্ষে বলতে পারেন। আপনাদের কথা আমরা শুনবো। আলোচনার মাধ্যমে পরবর্তী সময়ে বস্তুনিষ্ঠ সিদ্ধান্তে উপনীত হবো।’
এদিকে, মঙ্গলবারের সংলাপের জন্য ১৩টি রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণপত্র দেয় ইসি। দলগুলো হলো- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল-এমএল, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি, গণতন্ত্রী পার্টি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, বিকল্প ধারা বাংলাদেশ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ও বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট। এর আগে দুই ধাপে ২৬ রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল ইসি। গত ১৯ ও ২১ জুন দুই ধাপে ২৬টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের ইভিএম যাচাই বিষয়ক সভা করে ইসি। এ দুই ধাপে ১৮টি দলের নেতারা অংশ নেন। তবে বিএনপিসহ আটি দল ইসির সংলাপের আমন্ত্রণে সাড়া দেয়নি।