ঢাকা ০৩:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫
আলোচনা সভায় মেজর হাফিজ

বিএনপি কোনো দুর্বল দল নয়, ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন

  • আপডেট সময় : ০৯:১৫:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ১৮ বার পড়া হয়েছে

সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিকল্প নাই’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অবসরপ্রাপ্ত মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ -ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন যারা বানচাল করতে চায়, তাদের রাজপথে প্রতিরোধের ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অবসরপ্রাপ্ত মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেছেন, যারা বলছে যে, ‘নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না’- আমরা তাদেরকে বলতে চাই, বিএনপি কোনো দুর্বল দল নয়। কারা নির্বাচন হতে দেবে না, ইনশাল্লাহ আমরা রাজপথে দেখতে চাই। ১৭ বছরের আত্মত্যাগ তো ব্যর্থ হতে পারে না। আজকে আমরা বাংলাদেশের সবাইকে সরকার, অন্যান্য রাজনৈতিক দল, যারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে; আওয়ামী লীগসহ সবাইকে মেসেজ দিতে চাই- জিয়াউর রহমান আজ নেই, কিন্তু তার দল বিএনপি এখনো বেঁচে আছে। ইনশাল্লাহ ফেব্রুয়ারি মাসেই নির্বাচন হবে।
সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এক আলোচনা সভায় তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন। প্রশাসনে থাকা ‘স্বৈরাচারের দোসরদের’ অপসারণ দাবি করে হাফিজ উদ্দিন বলেন, “বাংলাদেশ যে এখনো নির্বাচনি ম্যাপের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারছে না, তার একটি কারণ বর্তমান প্রশাসন। এখানে স্বৈরাচারের দোসররা এখনো বসে আছে, এদেরকে সরানোর জন্য কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় নাই এবং এরা থাকলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না।
আমরা বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি জানিয়েছি, আজকে আবারও জানাব- নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থেই বর্তমান প্রশাসন ব্যবস্থাকেও নিরপেক্ষ করতে হবে। আমরা স্বৈরাচারের দোসরদেরকে মাঠে রেখে নির্বাচনে যেতে পারি না।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল ও মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মের উদ্যোগে ‘জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিকল্প নাই’ শীর্ষক এ আলোচনা সভা হয়।

পিআর পদ্ধতি প্রসঙ্গ: বিএনপি নেতা হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হতে পারে না, এদেশের জনগণের এটা সম্পর্কে কোনো ধারণাই নাই। যারা পিআর নিয়ে আন্দোলন করছেন, তাদেরকে বলব-আপনারা জনগণের কাছে যান। আপনাদের ম্যানিফেস্টোতে বলেন, ইশতেহারে বলেন যে-‘আমরা সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন চাই এই দেশে’। জনগণ যদি আপনাদেরকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা দেয়, তাহলে আপনারা এই ব্যবস্থা চালু করেন। আমরা মাথা পেতে নেব। কিন্তু এইভাবে জনগণের উপরে দুই-তিনটি রাজনৈতিক দল, ইউরোপ-আমেরিকা থেকে আগত বুদ্ধিজীবীদের দ্বারা পরিচালিত হয়ে এই ধরনের সিস্টেম করতে যাওয়া বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর হবে। আমরা দেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপি কখনোই এটিকে সহ্য করব না, এইভাবে জনগণের উপর অত্যাচার করে নিজেদের স্বার্থে, নিজস্ব দলীয় স্বার্থে অদ্ভুত নির্বাচনি ব্যবস্থা-যার সাথে আমাদের দেশের জনগণ পরিচিত নয়, এই ব্যবস্থা আমরা চালু হতে দিতে পারি না।

আওয়ামী লীগ রোগে ধরেছে এনসিপির: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য হাফিজ উদ্দিন বলেন, এনসিপি, তাদেরও আওয়ামী লীগের ওই রোগ ধরেছে। আওয়ামী লীগ যেমন ক্লেইম করে বাংলাদেশ তারাই স্বাধীন করেছে। এনসিপি এই সদ্য সাবালক ছাত্ররা তারাও বলতে চায় যে, শেখ হাসিনা সরকারের নাকি তারাই পতন ঘটিয়েছে। বিএনপির ৫৮৮ জন সদস্য ৫ আগস্টের অভ্যুত্থানের দেড় মাসের সংগ্রামে জীবন দিয়েছে। এখন তারা মনে করে যে, তারাই (এনসিপি) হল এই রাষ্ট্রের কর্ণধার, তাদের দায়িত্ব- এই দেশকে ঠিক করার। কিছুদিন আগে ডাকসু নির্বাচন হল। এই এনসিপির তো সবাই ছাত্র, তারা ছাত্রদের প্রতিনিধি বলে দাবি করত, তারা একশ ভোট পায় নাই ডাকসু নির্বাচনে। তারা এখন বলতে চায়, পিআর না হলে নির্বাচনই হতে দেবে না।

জাতিসংঘে এত বড় প্রতিনিধিদল কেন: বিএনপি নেতা হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সাহেবকে আমরা সম্মান করি, তিনি দেশের গৌরব। কিন্তু রাষ্ট্র পরিচালনায় তিনি সফলতার মুখ দেখাতে পারেননি। সফলতা পান, না পান- ব্যয় সংকোচন তো করতে হবে।
১০৪ জনকে নিয়ে কেন জাতিসংঘে গেলেন? ১০ মিনিটের একটা ভাষণ দেবেন। আমি জাতিসংঘে দু’বার গিয়েছি এই ধরনের মিটিংয়ে। আমিও বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিয়েছি। এই ধরনের অধিবেশনে ১০৪ জনের বিরাট লটবহর নিয়ে গিয়েছে; এটা বাংলাদেশের জনগণের, ট্যাক্স পেয়ারের অর্থের অপচয়। প্রধান উপদেষ্টা প্রেস টিমের পাঁচজন গিয়েছেন, অন্যান্য সাংবাদিকরা তো গিয়েছেন- এটা তো আপনার-আমাদের অর্থের অপচয়। হাফিজ বলেন, গত বছর তো তিনি ৫৪ জন নিয়ে গিয়েছিলেন, এটা গ্রহণযোগ্য; কিন্তু ১০৪ জনকে নিয়ে এইভাবে পিকনিক করতে যাওয়া বাংলাদেশের মতো দুর্বল অর্থনীতির দেশের পক্ষে মানানসই নয়। দেশে আজকে গণতন্ত্র নেই বলে এরকম হচ্ছে।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা এর চাইতেও বেশি প্রতিনিধি দল নিয়ে জাতিসংঘে বেড়াতে গিয়েছেন, কখনো দিনের পর দিন বাংলাদেশ বিমানের এয়ারক্রাফটৃকখনো ফিনল্যান্ডে, কখনো ইংল্যান্ডে, কখনো যুক্তরাষ্ট্রে বসে আছেন। মালয়েশিয়ার মাহাথির মোহাম্মদ, সিঙ্গাপুরের লি কুয়ান ইউ-তারা এত সমৃদ্ধ রাষ্ট্রের রাষ্ট্রনায়ক ছিলেন, তারাও নরমাল এয়ারলাইন্সে ট্রাভেল করেন। কিন্তু এইভাবে দরিদ্র একটা দেশে মানুষ বিমান নিয়ে ওখানে বসিয়ে রাখে এবং ঘণ্টার পর ঘণ্টা অনেক টাকা ফি দিতে হয় বিভিন্ন এয়ারপোর্টে। বাংলাদেশের মানুষ অত্যন্ত উদারচেতা, সরকার কী করে এটা জানতেও পারে না।

বিএনপি নেতা হাফিজ বলেন, শেখ হাসিনার পতনের পর কিছুটা প্রেস ফ্রিডম এখানে এসেছে, আমরা জানতে পারি যে-সরকার ও সরকার প্রধানরা কী করে? আওয়ামী লীগের লুণ্ঠন তো সীমাহীন; এই ধরনের কাহিনী মাঝে মাঝে বের হয়ে আসছে। একজন মন্ত্রী তার ৩৬০টি বাড়ি শুধু লন্ডনেই; ২০০ বাড়ি দুবাইতে, আমেরিকাতে।

পার্বত্য চট্টগ্রামে পুরনো খেলা: অবসরপ্রাপ্ত মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে আবার শুরু হয়েছে পুরনো খেলা। সেখানে ভারতীয় পতাকা উঠতো, বহু বছর আগে থেকেই। কেবলমাত্র শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, তিনি সেখানে বাঙালিদেরকে পাহাড়ি এলাকায় পুনর্বাসিত করার পরে সেখানে জনসংখ্যার মধ্যে একটা ব্যালেন্স এসেছে; যার জন্য এখন আর তারা ভারতের পক্ষে স্বাধীনতা ঘোষণা করতে পারছে না। এজন্য শহীদ জিয়াউর রহমান ইতিহাসে অমর হয়ে থাকবেন। তিনি বাংলাদেশের অখণ্ডতাকে রক্ষা করেছেন; স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে, পতাকাকে সবসময় উড্ডীন রেখেছেন। জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি সৈয়দ ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে সভায় বিএনপির মুক্তিযোদ্ধা দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

সানা/আপ্র/২৯/০৯/২০২৫

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

আলোচনা সভায় মেজর হাফিজ

বিএনপি কোনো দুর্বল দল নয়, ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন

আপডেট সময় : ০৯:১৫:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন যারা বানচাল করতে চায়, তাদের রাজপথে প্রতিরোধের ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অবসরপ্রাপ্ত মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেছেন, যারা বলছে যে, ‘নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না’- আমরা তাদেরকে বলতে চাই, বিএনপি কোনো দুর্বল দল নয়। কারা নির্বাচন হতে দেবে না, ইনশাল্লাহ আমরা রাজপথে দেখতে চাই। ১৭ বছরের আত্মত্যাগ তো ব্যর্থ হতে পারে না। আজকে আমরা বাংলাদেশের সবাইকে সরকার, অন্যান্য রাজনৈতিক দল, যারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে; আওয়ামী লীগসহ সবাইকে মেসেজ দিতে চাই- জিয়াউর রহমান আজ নেই, কিন্তু তার দল বিএনপি এখনো বেঁচে আছে। ইনশাল্লাহ ফেব্রুয়ারি মাসেই নির্বাচন হবে।
সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এক আলোচনা সভায় তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন। প্রশাসনে থাকা ‘স্বৈরাচারের দোসরদের’ অপসারণ দাবি করে হাফিজ উদ্দিন বলেন, “বাংলাদেশ যে এখনো নির্বাচনি ম্যাপের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারছে না, তার একটি কারণ বর্তমান প্রশাসন। এখানে স্বৈরাচারের দোসররা এখনো বসে আছে, এদেরকে সরানোর জন্য কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় নাই এবং এরা থাকলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না।
আমরা বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি জানিয়েছি, আজকে আবারও জানাব- নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থেই বর্তমান প্রশাসন ব্যবস্থাকেও নিরপেক্ষ করতে হবে। আমরা স্বৈরাচারের দোসরদেরকে মাঠে রেখে নির্বাচনে যেতে পারি না।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল ও মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মের উদ্যোগে ‘জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিকল্প নাই’ শীর্ষক এ আলোচনা সভা হয়।

পিআর পদ্ধতি প্রসঙ্গ: বিএনপি নেতা হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হতে পারে না, এদেশের জনগণের এটা সম্পর্কে কোনো ধারণাই নাই। যারা পিআর নিয়ে আন্দোলন করছেন, তাদেরকে বলব-আপনারা জনগণের কাছে যান। আপনাদের ম্যানিফেস্টোতে বলেন, ইশতেহারে বলেন যে-‘আমরা সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন চাই এই দেশে’। জনগণ যদি আপনাদেরকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা দেয়, তাহলে আপনারা এই ব্যবস্থা চালু করেন। আমরা মাথা পেতে নেব। কিন্তু এইভাবে জনগণের উপরে দুই-তিনটি রাজনৈতিক দল, ইউরোপ-আমেরিকা থেকে আগত বুদ্ধিজীবীদের দ্বারা পরিচালিত হয়ে এই ধরনের সিস্টেম করতে যাওয়া বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর হবে। আমরা দেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপি কখনোই এটিকে সহ্য করব না, এইভাবে জনগণের উপর অত্যাচার করে নিজেদের স্বার্থে, নিজস্ব দলীয় স্বার্থে অদ্ভুত নির্বাচনি ব্যবস্থা-যার সাথে আমাদের দেশের জনগণ পরিচিত নয়, এই ব্যবস্থা আমরা চালু হতে দিতে পারি না।

আওয়ামী লীগ রোগে ধরেছে এনসিপির: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য হাফিজ উদ্দিন বলেন, এনসিপি, তাদেরও আওয়ামী লীগের ওই রোগ ধরেছে। আওয়ামী লীগ যেমন ক্লেইম করে বাংলাদেশ তারাই স্বাধীন করেছে। এনসিপি এই সদ্য সাবালক ছাত্ররা তারাও বলতে চায় যে, শেখ হাসিনা সরকারের নাকি তারাই পতন ঘটিয়েছে। বিএনপির ৫৮৮ জন সদস্য ৫ আগস্টের অভ্যুত্থানের দেড় মাসের সংগ্রামে জীবন দিয়েছে। এখন তারা মনে করে যে, তারাই (এনসিপি) হল এই রাষ্ট্রের কর্ণধার, তাদের দায়িত্ব- এই দেশকে ঠিক করার। কিছুদিন আগে ডাকসু নির্বাচন হল। এই এনসিপির তো সবাই ছাত্র, তারা ছাত্রদের প্রতিনিধি বলে দাবি করত, তারা একশ ভোট পায় নাই ডাকসু নির্বাচনে। তারা এখন বলতে চায়, পিআর না হলে নির্বাচনই হতে দেবে না।

জাতিসংঘে এত বড় প্রতিনিধিদল কেন: বিএনপি নেতা হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সাহেবকে আমরা সম্মান করি, তিনি দেশের গৌরব। কিন্তু রাষ্ট্র পরিচালনায় তিনি সফলতার মুখ দেখাতে পারেননি। সফলতা পান, না পান- ব্যয় সংকোচন তো করতে হবে।
১০৪ জনকে নিয়ে কেন জাতিসংঘে গেলেন? ১০ মিনিটের একটা ভাষণ দেবেন। আমি জাতিসংঘে দু’বার গিয়েছি এই ধরনের মিটিংয়ে। আমিও বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিয়েছি। এই ধরনের অধিবেশনে ১০৪ জনের বিরাট লটবহর নিয়ে গিয়েছে; এটা বাংলাদেশের জনগণের, ট্যাক্স পেয়ারের অর্থের অপচয়। প্রধান উপদেষ্টা প্রেস টিমের পাঁচজন গিয়েছেন, অন্যান্য সাংবাদিকরা তো গিয়েছেন- এটা তো আপনার-আমাদের অর্থের অপচয়। হাফিজ বলেন, গত বছর তো তিনি ৫৪ জন নিয়ে গিয়েছিলেন, এটা গ্রহণযোগ্য; কিন্তু ১০৪ জনকে নিয়ে এইভাবে পিকনিক করতে যাওয়া বাংলাদেশের মতো দুর্বল অর্থনীতির দেশের পক্ষে মানানসই নয়। দেশে আজকে গণতন্ত্র নেই বলে এরকম হচ্ছে।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা এর চাইতেও বেশি প্রতিনিধি দল নিয়ে জাতিসংঘে বেড়াতে গিয়েছেন, কখনো দিনের পর দিন বাংলাদেশ বিমানের এয়ারক্রাফটৃকখনো ফিনল্যান্ডে, কখনো ইংল্যান্ডে, কখনো যুক্তরাষ্ট্রে বসে আছেন। মালয়েশিয়ার মাহাথির মোহাম্মদ, সিঙ্গাপুরের লি কুয়ান ইউ-তারা এত সমৃদ্ধ রাষ্ট্রের রাষ্ট্রনায়ক ছিলেন, তারাও নরমাল এয়ারলাইন্সে ট্রাভেল করেন। কিন্তু এইভাবে দরিদ্র একটা দেশে মানুষ বিমান নিয়ে ওখানে বসিয়ে রাখে এবং ঘণ্টার পর ঘণ্টা অনেক টাকা ফি দিতে হয় বিভিন্ন এয়ারপোর্টে। বাংলাদেশের মানুষ অত্যন্ত উদারচেতা, সরকার কী করে এটা জানতেও পারে না।

বিএনপি নেতা হাফিজ বলেন, শেখ হাসিনার পতনের পর কিছুটা প্রেস ফ্রিডম এখানে এসেছে, আমরা জানতে পারি যে-সরকার ও সরকার প্রধানরা কী করে? আওয়ামী লীগের লুণ্ঠন তো সীমাহীন; এই ধরনের কাহিনী মাঝে মাঝে বের হয়ে আসছে। একজন মন্ত্রী তার ৩৬০টি বাড়ি শুধু লন্ডনেই; ২০০ বাড়ি দুবাইতে, আমেরিকাতে।

পার্বত্য চট্টগ্রামে পুরনো খেলা: অবসরপ্রাপ্ত মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে আবার শুরু হয়েছে পুরনো খেলা। সেখানে ভারতীয় পতাকা উঠতো, বহু বছর আগে থেকেই। কেবলমাত্র শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, তিনি সেখানে বাঙালিদেরকে পাহাড়ি এলাকায় পুনর্বাসিত করার পরে সেখানে জনসংখ্যার মধ্যে একটা ব্যালেন্স এসেছে; যার জন্য এখন আর তারা ভারতের পক্ষে স্বাধীনতা ঘোষণা করতে পারছে না। এজন্য শহীদ জিয়াউর রহমান ইতিহাসে অমর হয়ে থাকবেন। তিনি বাংলাদেশের অখণ্ডতাকে রক্ষা করেছেন; স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে, পতাকাকে সবসময় উড্ডীন রেখেছেন। জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি সৈয়দ ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে সভায় বিএনপির মুক্তিযোদ্ধা দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

সানা/আপ্র/২৯/০৯/২০২৫