ঢাকা ০৪:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫

বিএনপি কর্মী হত্যায় শেখ হাসিনাসহ ৪০৮ জনকে আসামি করে মামলা

  • আপডেট সময় : ০৮:৪১:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫
  • ১১ বার পড়া হয়েছে

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর মিরপুরে গুলিতে বিএনপি কর্মী মাহফুজ আলম শ্রাবণ হত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৪০৮ জনকে আসামি করে ঢাকার আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মামলায় পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের এমপি-মন্ত্রী, ঢাকার সাবেক দুই মেয়র, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী, নির্বাচন কমিশনার, আইনজীবীসহ বিভিন্ন জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অভিনেতা ইরেশ যাকেরও আছেন এই তালিকায়। তিনি ১৫৭ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি।

রোববার (২৭ এপ্রিল) আদালত সূত্রে জানা যায়, নিহতের ভাই মোস্তাফিজুর রহমান বাপ্পী গত ২০ এপ্রিল ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার আবেদন করেন। ওইদিন আদালত তার জবানবন্দি রেকর্ড করে অভিযোগটি মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নিয়মিত মামলা হিসেবে নেওয়ার নির্দেশ দেন।

মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, আমার ছোট ভাই মাহফুজ আলম শ্রাবন (২১) বিএনপির দলীয় কর্মী। সে রেনেটা কোম্পানিতে ক্যাজুয়াল হিসেবে আনুমানিক ৬ মাস যাবত চাকরিতে নিয়োজিত ছিল। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শুরুর পর থেকে বিভিন্ন সময় আমার ভাই ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে ছাত্রদের পক্ষে বিভিন্ন স্লোগান দিত।

ঘটনার দিন গত ৫ আগস্ট দুপুরে স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা সরকারের চূড়ান্ত পতনের লক্ষ্যে বেলা আড়াইটার সময় ছাত্র-জনতার মিছিল মিরপুর মডেল থানাধীন মিরপুর শপিং কমপ্লেক্স ও মিরপুর মডেল থানার মধ্যবর্তী রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় আসামিদের নির্দেশে তাদের দলীয় আরো পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী একত্রে শান্তিপূর্ণভাবে মিছিলকারী ছাত্র-জনতাকে হত্যার উদ্দেশ্যে অতর্কিত আক্রমণ চালায়। তারা সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারশেল, রাবার বুলেট, রাইফেল, শটগান, পিস্তলের গুলি বর্ষণ করে এবং ককটেল ও হাত বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ত্রাসের সৃষ্টি করে।

সংঘবদ্ধ আসামিদের গুলি বর্ষণের ফলে আমার ভাই মাহফুজ আলম শ্রাবন (২১) এর বুকের বাম পাশে গুলিবিদ্ধ হয়, যা ডান পাশের কোমর ছিদ্র হয়ে বের হয়ে যায়। গুলির আঘাতে আমার ছোট ভাই তাৎক্ষণিক রক্তাক্ত অবস্থায় মিরপুর মডেল থানার প্রধান গেটের সামনে রাস্তায় লুটিয়ে পড়ে। আমার ভাইসহ অনেকে ঘটনাস্থলে আসামিদের করা গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়। তখন সেখানে উপস্থিত ছাত্র-জনতা আমার ভাইকে চিকিৎসার জন্য রিকশায় করে মিরপুরের একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

 

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

উত্তেজনা বাড়ালে কেউ আমাদের থামাতে পারবে না, হুঁশিয়ারি পাকিস্তানের

বিএনপি কর্মী হত্যায় শেখ হাসিনাসহ ৪০৮ জনকে আসামি করে মামলা

আপডেট সময় : ০৮:৪১:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর মিরপুরে গুলিতে বিএনপি কর্মী মাহফুজ আলম শ্রাবণ হত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৪০৮ জনকে আসামি করে ঢাকার আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মামলায় পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের এমপি-মন্ত্রী, ঢাকার সাবেক দুই মেয়র, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী, নির্বাচন কমিশনার, আইনজীবীসহ বিভিন্ন জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অভিনেতা ইরেশ যাকেরও আছেন এই তালিকায়। তিনি ১৫৭ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি।

রোববার (২৭ এপ্রিল) আদালত সূত্রে জানা যায়, নিহতের ভাই মোস্তাফিজুর রহমান বাপ্পী গত ২০ এপ্রিল ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার আবেদন করেন। ওইদিন আদালত তার জবানবন্দি রেকর্ড করে অভিযোগটি মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নিয়মিত মামলা হিসেবে নেওয়ার নির্দেশ দেন।

মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, আমার ছোট ভাই মাহফুজ আলম শ্রাবন (২১) বিএনপির দলীয় কর্মী। সে রেনেটা কোম্পানিতে ক্যাজুয়াল হিসেবে আনুমানিক ৬ মাস যাবত চাকরিতে নিয়োজিত ছিল। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শুরুর পর থেকে বিভিন্ন সময় আমার ভাই ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে ছাত্রদের পক্ষে বিভিন্ন স্লোগান দিত।

ঘটনার দিন গত ৫ আগস্ট দুপুরে স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা সরকারের চূড়ান্ত পতনের লক্ষ্যে বেলা আড়াইটার সময় ছাত্র-জনতার মিছিল মিরপুর মডেল থানাধীন মিরপুর শপিং কমপ্লেক্স ও মিরপুর মডেল থানার মধ্যবর্তী রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় আসামিদের নির্দেশে তাদের দলীয় আরো পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী একত্রে শান্তিপূর্ণভাবে মিছিলকারী ছাত্র-জনতাকে হত্যার উদ্দেশ্যে অতর্কিত আক্রমণ চালায়। তারা সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারশেল, রাবার বুলেট, রাইফেল, শটগান, পিস্তলের গুলি বর্ষণ করে এবং ককটেল ও হাত বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ত্রাসের সৃষ্টি করে।

সংঘবদ্ধ আসামিদের গুলি বর্ষণের ফলে আমার ভাই মাহফুজ আলম শ্রাবন (২১) এর বুকের বাম পাশে গুলিবিদ্ধ হয়, যা ডান পাশের কোমর ছিদ্র হয়ে বের হয়ে যায়। গুলির আঘাতে আমার ছোট ভাই তাৎক্ষণিক রক্তাক্ত অবস্থায় মিরপুর মডেল থানার প্রধান গেটের সামনে রাস্তায় লুটিয়ে পড়ে। আমার ভাইসহ অনেকে ঘটনাস্থলে আসামিদের করা গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়। তখন সেখানে উপস্থিত ছাত্র-জনতা আমার ভাইকে চিকিৎসার জন্য রিকশায় করে মিরপুরের একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।