নরসিংদী প্রতিনিধি : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ১০ তারিখ নিয়ে বিএনপির হুংকারে কোনো কাজ হবে না। কারণ আওয়ামী লীগ জনগণের শক্তিতে চলে। আমরা সে জন্যই ইলেকশনকে বিশ্বাস করি। জনগণের ম্যান্ডেটকে বিশ্বাস করি।
গতকাল বুধবার দুপুরে নরসিংদীর মনোহরদী থানার নতুন ভবনের উদ্বোধন কালে এসব কথা বলেন তিনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শুধু বাংলাদেশ নয়, জঙ্গিবাদ একটি বৈশ্বিক সমস্যা। আদালতপাড়া থেকে দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা দেশে লুকিয়ে থাকা জঙ্গিদের পূর্বপরিকল্পিত। আত্মগোপনে থাকা জঙ্গিরা তাদের অবস্থান জানান দেওয়ার জন্য এ কাজ করেছে। তাদের গ্রেফতারসহ জঙ্গিবাদ নিরসনে কাজ করছে সরকার। জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনায় নিরাপত্তা বাহিনীর কেউ সম্পৃক্ত থাকলে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে। তিনি বলেন, বিএনপি ঢাকায় গণজমায়েত হয়ে একদফা একদাবি দিয়ে ক্ষমতা দখল করবে। এমনটাই তারা বলে আসছে। ১০ তারিখের গণ-জমায়েতের নামে কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রতিহত করবে। নরসিংদীর পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীমের সভাপতিত্বে এসময় আরও বক্তব্য রাখেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, নরসিংদী-২ আসনের সংসদ সদস্য ডা. আনোয়ারুল আশরাফ খান, শিবপুরের সংসদ সদস্য জহিরুল হক ভূঁইয়া মোহন, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি সৈয়দ নুরুল ইসলাম ও জেলা প্রশাসক আবু নাইম মো. মারুফ খান প্রমুখ।
আগুন সন্ত্রাস রুখে দিতে প্রস্তুত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী: আইজিপি : পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, ‘আগুন সন্ত্রাস রুখে দিতে প্রস্তুত আছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। দেশে আবারও আগুন সন্ত্রাসের মতো নাশকতা দেখা দিলে আগের মতোই কঠোর জবাব দেওয়া হবে।’
গতকাল বুধবার দুপুরে রাজশাহী পুলিশ লাইন্স মাঠে মাদক ও সন্ত্রাসবিরোধী সুধী সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। আইজিপি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, ইতিপূর্বে আগুন সন্ত্রাস যেভাবে মোকাবিলা করেছি আগামী দিনেও সন্ত্রাসসহ দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা হলে সেভাবেই মোকাবিলা করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে। আমরা সবাই এক সঙ্গে কাজ করে দায়িত্ব পালন করে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছি। কিন্তু মাদকের ক্ষেত্রে এখনও স্বস্তি আসেনি। আমি বিশ্বাস করি, মাদকের এই সমস্যা থেকেও আমরা একদিন মুক্ত হবো।’
পুলিশ প্রধান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাস ও মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘মাদক ও সন্ত্রাস থাকলে বিদেশি বিনিয়োগ হবে না দেশে কেউ আসবে না’’। আমরা সমাজ থেকে এগুলো দূর করার জন্য একসঙ্গে কাজ করে যেতে চাই।’ চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, ‘মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দেশের শত্রু। প্রতিটি ঘরে ঘরে মাদকের সমস্যা রয়েছে। তাই পরিবারকে মাদক ও সন্ত্রাস বিরোধী অভিযানে দায়িত্বশীল হতে হবে। এই দেশে ২ থেকে ৩ শতাংশ মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এটি একটি জাতিকে ধ্বংস করে দেয়। এর সঙ্গে জড়িত যেই থাকুক না কেন- তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।’ তিনি মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে সবাইকে আরও বেশি সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান। সুধী সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার, সাবেক উপাচার্য প্রফেসর আব্দুল খালেক, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার জি এস এম জাফরউল্লাহ, রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি আব্দুল বাতেন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল, রাজশাহী জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল, র্যাব-৫ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল রিয়াজ শাহারিয়ার, জেলা পুলিশ সুপার এ বি এম মাসুদ হোসেন। এছাড়া স্বাগত বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অনিল কুমার সরকার, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ দারা, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার প্রমুখ।
বিএনপির হুংকারে কোনো কাজ হবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ