নিজস্ব প্রতিবেদক : যারা বিএনপির ‘শক্তি নেই’ বলেন, পুলিশকে ‘নিরপেক্ষ রেখে’ মাঠে আসার চ্যালেঞ্জ দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক। যতদিন বিএনপির দাবি পূরণ না হবে, তত দিন আন্দোলন চলবে বলেও ঘোষণা দিয়েছেন বিরোধী দলের এই রাজনীতিক। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে বিএনপিকে দুর্বল না ভাবার পরামর্শ নিয়ে ফারুক বলেন, “যারা বিএনপিকে বলেন হতাশ হয়েছে, যারা বিএনপিকে বলেন সাংগঠনিক শক্তি নাই, তাদেরকে বলি, শুধু একদিনের জন্য পুলিশকে ‘নিরপেক্ষ রেখে’ মাঠে আসুন। কে জিতে কে হারে একটু দেখি। বিজয় জনগণের হবেই হবে।”
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবিতে এই কর্মসূচির আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী নবীন দল। মানববন্ধনে আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ করে ফারুক বলেন, ‘‘আপনারা লগি-বৈঠা দিয়ে মানুষ মেরেছেন, গণতন্ত্র হত্যা করেছেন, ৭ জানুয়ারি ‘ভোটবিহীন’ নির্বাচন করেছেন, ‘ভাইয়ে ভাইয়ে ডামি নির্বাচন’, নির্বাচনের আগেও অনেক হুমকি-ধমকি দিয়েছিলেন, এখন আবার হুমকি দিচ্ছেন।
‘‘আন্দোলনে দাবি যতদিন না প্রতিষ্ঠা হবে, যতদিন না বাংলাদেশে ‘আমার ভোট আমি দেব’, ততদিন পর্যন্ত বিএনপিসহ সমমনারা এই সংগ্রাম অব্যাহত রাখবে। জেল-জুলুম দিয়ে, মামলা দিয়ে বিএনপিকে ঘরে বসিয়ে রাখতে পারবেন না। ইনশাল্লাহ আন্দোলন কত প্রকার ও কী কী তা এই ভোটবিহীন সরকারকে দেখিয়ে দেয়া হবে।” গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি নুরুল হক নূর বলেন, ‘‘পুলিশ ভাইদের প্রতি আমাদের অনুরোধ থাকবে, আপনারা রাষ্ট্রীয় বাহিনী, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান। আপনারা তাদের (আওয়ামী লীগ) হয়ে কাজ করবেন না, মানুষের প্রতি অবিচার করবেন না।”
কারাগারে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের নির্যাতন করার অভিযোগ এনে তিনি বলেন, “তাদের হাত-পা নখ তুলে ফেলেছে, ‘হাড্ডি-গুড্ডি’ ভেঙে ফেলেছে। “এই নির্যাতনের অভিযোগ দেখতে যখন বিচারকের একটি প্রতিনিধি দল গত ১৬ জানুয়ারি কারাগার ভিজিট করতে গেলেন, সেখানে যাদের সঙ্গে এই অমানবাবিক কাজগুলো করা হচ্ছে, তাদেরকে তখন অন্য বিল্ডিংয়ে সরিয়ে নিয়েছে।” আয়োজক সংগঠনের সভাপতি হুমায়ুন আহমেদে তালুকদারের সভাপতিত্বে ও সোহেল রানার সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, শিশু বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, তাঁতী দলের কাজী মনিরুজ্জামানও বক্তব্য রাখেন।