ঢাকা ০৮:৪৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫

বিএনপির অন্য শরিকরা এবার হল ‘জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট’

  • আপডেট সময় : ০২:১৩:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২২
  • ৮৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের ১১ শরিক নতুন জোট গড়ার ঘোষণা দিয়েছে।
গতকাল বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে ভেঙে যাওয়া জোটের শরিক দলগুলোকে নিয়ে ‘জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট’ গঠনের ঘোষণা দেন ন্যাশনাল পিপলস পার্টি-এনপিপির চেয়ারম্যান ও জোটের সমন্বয়ক ফরিদুজ্জামান ফরহাদ। তিনি বলেন, “আমরা ১১টি দল এক হয়ে আজকে ‘জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট’ গঠন করেছি। গণ আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দেশের চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে বিএনপির ঘোষিত ১০ দফা এবং রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ২৭ দফার প্রতি পূর্ণ আস্থা ও সমর্থন জ্ঞাপন করে আমরা যুগপৎ আন্দোলনের সাথে থাকব।”
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। নবগঠিত জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের দলগলো হলো- ন্যাশনাল পিপলস পার্টি-এনপিপি, জাগপা (খন্দকার লুতফুর), ডেমোক্রেটিক লীগ-ডিএল, বাংলাদেশ ন্যাপ, বিকল্পধারা (নুরুল আমিন), সাম্যবাদী দল, গণদল, ন্যাপ-ভাসানী, ইসলামী ঐক্যজোট, পিপলস লীগ এবং বাংলাদেশ মাইনোরেটি জনতা পার্টি। এক সপ্তাহ আগে গত ২২ ডিসেম্বর ২০ দলীয় জোট থেকে বেরিয়ে ১২ শরিক নতুন জোট গঠনের ঘোষণা দেয়। বিএনপির সঙ্গে আগের মতই সম্পর্ক রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ‘১২ দলীয় জোট’ নামে ওই মোর্চা গড়ার ঘোষণা দেন জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) সভাপতি মোস্তফা জামাল হায়দার। তিনি সেদিন বলেন, “একটা কথা আমি জোরের সাথে বলতে পারি, এদেশের সর্ববৃহৎ বিরোধী দল বিএনপির সাথে আমাদের যে ঐক্য, যে সমঝোতা, যে হৃদয়ের বন্ধন, তা অটুট থাকবে যেমন আগে ছিল, এখনো তেমনি আছে। আমরা আরো বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলার জন্য প্রকৃত প্রস্তাবে দেশের সব কয়টি রাজনৈতিক দল, যারা এই ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরোধী, তাদেরকে এক কাফেলায় শামিল করার জন্য একটু ভিন্ন পথ এবং কৌশল নিয়ে অগ্রসর হচ্ছি।”
জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) বাদে ১২ দলীয় জোটের শরিকরা হলেন- কল্যাণ পার্টি, লেবার পার্টি, জাতীয় দল, বাংলাদেশ এলডিপি, জাতীয় গণতান্ত্রিক দল-জাগপা (তাসমিয়া প্রধান), এনডিপি, এলডিপি (সেলিম), মুসলিম লীগ, জমিয়াতে উলামায়ে ইসলাম, ইসলামী ঐক্যজোট, ইসলামিক পার্টি এবং সাম্যবাদী দল। নতুন আত্মপ্রকাশ করা জোটের শরিক ইসলামী ঐক্যজোট ও সাম্যবাদী দলের নাম রয়েছে ১২ দলীয় জোটের তালিকায়। জানতে চাইলে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ফরিদুজ্জামান বলেন, “সাম্যবাদী দল ও ইসলামী ঐক্যজোট আমাদের সাথে, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটে আছে। তারা অন্য জোটে এখন নেই।”
আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিএনপি তাদের চার দলীয় জোটকে সম্প্রসারিত করে ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল গড়ে ২০ দলীয় জোট। ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিয়েছিল জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নামে নতুন এক মোর্চ গড়ে, যেখানে ২০ দলের শরিকদের পাশাপাশি এক সময় আওয়ামী লীগ করে আসা কামাল হোসেনের গণফোরাম, আ স ম আবদুর রবের জাসদ, কাদের সিদ্দিকীর কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, মাহমুদুর রহমান মান্নার নাগরিক ঐক্য ছিল।
সেই নির্বাচনে ভরাডুবি হয় ঐক্যফ্রন্টের। সব মিলিয়ে তারা আসন পায় আটটি। নির্বাচনের পর ঐক্যফ্রন্ট স্থবির হয়ে পড়ে। সমমনাদের নিয়ে যুগপৎ আন্দোলনের কথা বলে এলেও ২০ দলীয় জোটকেও আর জাগাতে পারেনি বিএনপি। সংবাদ সম্মেলনে নতুন জোটের নেতৃবৃন্দে মধ্যে বিকল্পধারার (নুরুল আমিন) চেয়ারম্যান অধ্যাপক নুরুল আমিন ব্যাপারী, জাগপা (খন্দকার লুতফর) সভাপতি খন্দকার লুতফর রহমান, ডিএলের সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, ন্যাপ-ভাসানী সভাপতি আজহারুল ইসলাম, বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান শাওন সাদেক, গণদলের চেয়ারম্যান এটিএম গোলাম মওলা, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নুরুল ইসলাম, বাংলাদেশ মাইনোরেটি জনতা পার্টির সভাপতি সুকৃতি মন্ডল উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বিএনপির অন্য শরিকরা এবার হল ‘জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট’

আপডেট সময় : ০২:১৩:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের ১১ শরিক নতুন জোট গড়ার ঘোষণা দিয়েছে।
গতকাল বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে ভেঙে যাওয়া জোটের শরিক দলগুলোকে নিয়ে ‘জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট’ গঠনের ঘোষণা দেন ন্যাশনাল পিপলস পার্টি-এনপিপির চেয়ারম্যান ও জোটের সমন্বয়ক ফরিদুজ্জামান ফরহাদ। তিনি বলেন, “আমরা ১১টি দল এক হয়ে আজকে ‘জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট’ গঠন করেছি। গণ আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দেশের চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে বিএনপির ঘোষিত ১০ দফা এবং রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ২৭ দফার প্রতি পূর্ণ আস্থা ও সমর্থন জ্ঞাপন করে আমরা যুগপৎ আন্দোলনের সাথে থাকব।”
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। নবগঠিত জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের দলগলো হলো- ন্যাশনাল পিপলস পার্টি-এনপিপি, জাগপা (খন্দকার লুতফুর), ডেমোক্রেটিক লীগ-ডিএল, বাংলাদেশ ন্যাপ, বিকল্পধারা (নুরুল আমিন), সাম্যবাদী দল, গণদল, ন্যাপ-ভাসানী, ইসলামী ঐক্যজোট, পিপলস লীগ এবং বাংলাদেশ মাইনোরেটি জনতা পার্টি। এক সপ্তাহ আগে গত ২২ ডিসেম্বর ২০ দলীয় জোট থেকে বেরিয়ে ১২ শরিক নতুন জোট গঠনের ঘোষণা দেয়। বিএনপির সঙ্গে আগের মতই সম্পর্ক রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ‘১২ দলীয় জোট’ নামে ওই মোর্চা গড়ার ঘোষণা দেন জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) সভাপতি মোস্তফা জামাল হায়দার। তিনি সেদিন বলেন, “একটা কথা আমি জোরের সাথে বলতে পারি, এদেশের সর্ববৃহৎ বিরোধী দল বিএনপির সাথে আমাদের যে ঐক্য, যে সমঝোতা, যে হৃদয়ের বন্ধন, তা অটুট থাকবে যেমন আগে ছিল, এখনো তেমনি আছে। আমরা আরো বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলার জন্য প্রকৃত প্রস্তাবে দেশের সব কয়টি রাজনৈতিক দল, যারা এই ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরোধী, তাদেরকে এক কাফেলায় শামিল করার জন্য একটু ভিন্ন পথ এবং কৌশল নিয়ে অগ্রসর হচ্ছি।”
জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) বাদে ১২ দলীয় জোটের শরিকরা হলেন- কল্যাণ পার্টি, লেবার পার্টি, জাতীয় দল, বাংলাদেশ এলডিপি, জাতীয় গণতান্ত্রিক দল-জাগপা (তাসমিয়া প্রধান), এনডিপি, এলডিপি (সেলিম), মুসলিম লীগ, জমিয়াতে উলামায়ে ইসলাম, ইসলামী ঐক্যজোট, ইসলামিক পার্টি এবং সাম্যবাদী দল। নতুন আত্মপ্রকাশ করা জোটের শরিক ইসলামী ঐক্যজোট ও সাম্যবাদী দলের নাম রয়েছে ১২ দলীয় জোটের তালিকায়। জানতে চাইলে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ফরিদুজ্জামান বলেন, “সাম্যবাদী দল ও ইসলামী ঐক্যজোট আমাদের সাথে, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটে আছে। তারা অন্য জোটে এখন নেই।”
আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিএনপি তাদের চার দলীয় জোটকে সম্প্রসারিত করে ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল গড়ে ২০ দলীয় জোট। ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিয়েছিল জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নামে নতুন এক মোর্চ গড়ে, যেখানে ২০ দলের শরিকদের পাশাপাশি এক সময় আওয়ামী লীগ করে আসা কামাল হোসেনের গণফোরাম, আ স ম আবদুর রবের জাসদ, কাদের সিদ্দিকীর কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, মাহমুদুর রহমান মান্নার নাগরিক ঐক্য ছিল।
সেই নির্বাচনে ভরাডুবি হয় ঐক্যফ্রন্টের। সব মিলিয়ে তারা আসন পায় আটটি। নির্বাচনের পর ঐক্যফ্রন্ট স্থবির হয়ে পড়ে। সমমনাদের নিয়ে যুগপৎ আন্দোলনের কথা বলে এলেও ২০ দলীয় জোটকেও আর জাগাতে পারেনি বিএনপি। সংবাদ সম্মেলনে নতুন জোটের নেতৃবৃন্দে মধ্যে বিকল্পধারার (নুরুল আমিন) চেয়ারম্যান অধ্যাপক নুরুল আমিন ব্যাপারী, জাগপা (খন্দকার লুতফর) সভাপতি খন্দকার লুতফর রহমান, ডিএলের সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, ন্যাপ-ভাসানী সভাপতি আজহারুল ইসলাম, বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান শাওন সাদেক, গণদলের চেয়ারম্যান এটিএম গোলাম মওলা, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নুরুল ইসলাম, বাংলাদেশ মাইনোরেটি জনতা পার্টির সভাপতি সুকৃতি মন্ডল উপস্থিত ছিলেন।