ঢাকা ০৩:০৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫

বিএনপিকে গোলাপবাগ মাঠে যাওয়ার পরামর্শ ডিএমপির

  • আপডেট সময় : ০৬:২৭:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ জুলাই ২০২৩
  • ৯৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক :ঢাকায় ‘মহাসমাবেশ’ করার জন্য বিএনপি নয়া পল্টন অথবা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের অনুমতি চাইলেও তাদের গোলাপবাগ মাঠে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে ঢাকা মহানগর পুলিশ। ঢাকার পুলিশ কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক গতকাল বুধবার বলেন, বৃহস্পতিবার যেহেতু কর্মদিবস, সে কারণেই নয়াপল্টন ও সহরোওয়ার্দী উদ্যানে অনুমতি দিতে চান না তারা।
“তাদের এখনো কোথাও অনুমতি দেওয়া হয়নি। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ব্যাপারে হাই কোর্টের একটা অবজারভেশন আছে। আমরা তাদের গোলাপবাগ মাঠ দেখতে বলেছি।”
সরকারের পদত্যাগের ‘এক দফা’ দাবিতে ঢাকায় বিএনপির এই মহাসমাবেশের ঘোষণা আসে গত ২২ জুলাই। সেদিন দলের তিন সংগঠনের ‘তারুণ্যের সমাবেশে’ থেকে বিএনপি মহসাচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই কর্মসূচির ঘোষণা করেন। তিনি বলেছিলেন, “সংবিধান ও রাষ্ট্রব্যবস্থার গণতান্ত্রিক সংস্কারের মাধ্যমে জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি, ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার এক দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে যুগপৎ আন্দোলনের পরবর্তি কর্মসূচি হচ্ছে আগামী ২৭ জুলাই বৃহস্পতিবার ঢাকায় দুপুর ২টায় শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।”
বিএনপির ‘মহাসমাবেশের’ বিপরীতে আওয়ামী লীগের তিন সংগঠন যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগও বৃহস্পতিবার বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ-পশ্চিম গেইটে ‘শান্তি সমাবেশের’ ডাক দিয়েছে। ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. ফারুক হোসেন জানান, দুপুর পর্যন্ত আওয়ামী লীগ বা বিএনপি- কোনো দলকেই অনুমতি দেওয়া হয়নি। গত কিছুদিন ধরেই এরকম একই দিনে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি চলছে, ফলে কর্মসুচির দিন যানজটের ভোগান্তির পাশাপাশি সহিংসতার আশঙ্কাও জনমনে থাকছে। ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক সে প্রসঙ্গ ধরে বুধবার এক অনুষ্ঠানে বলেন, ‘জনভোগান্তি সৃষ্টি করে’ একের পর এক রাজনৈতিক কর্মসূচি চলতে থাকলে ভবিষ্যতে পুলিশকে এ ধরনের কর্মসূচির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা ভাবতে হবে।
তবে শান্তিপূর্ণভাবে বিএনপির সমাবেশ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বুধবার এক সংবাদ সম্মেলেন বলেন, “কোথায় আমাদের মহাসমাবেশ হবে, নয়া পল্টন না সোহরাওয়ার্দী উদ্যানৃ এ ব্যাপারে আপনাদের বলেছি যে, আমরা সেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছি। আমরা চিঠি দিয়েছি ডিএমপি পুলিশকে।
“চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস, কিছুক্ষণের মধ্যেই আমরা পাব। যেখানে হোক সেটা আপনাদের (গণমাধ্যম) দ্রুত জানিয়ে দেব।” এর আগে গতবছরের ১০ ডিসেম্বর বিএনপি নয়া পল্টনে তাদের কার্যালয়ের সামনে বিভাগীয় সমাবেশের অনুমতি চাইলে পুলিশ তাদের অনুমতি দেয় সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ব্যবহারের। এ নিয়ে দুইপক্ষের অনড় অবস্থানেরমধ্যে বিএনপি কর্মীরা নয়া পল্টনে জড়ো হলে পুলিশের সাথে তাদের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের মধ্যে আহত স্বেচ্ছাসেবক দলের এক ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতার মৃত্যু হয়; ওই কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে প্রায় পাঁচশ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। নিরপত্তা নিয়ে সংশয়ের কথা জানিয়ে বিএনপি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যেতে রাজি না হওয়ায় পুলিশ পরে তাদের গোলাপবাগ মাঠ ব্যবহারের অনুমতি দেয়। শেষ পর্যন্ত বিএনপি তাতে রাজি হয় এবং ১০ ডিসেম্বর সেই মাঠ থেকে তাদের আন্দোলনের ১০ দফা ঘোষণা দেওয়া হয়। অবস্থানগত কারণে গোলাপবাগ মাঠে সাধারণত রাজনৈতিক কর্মসূচি হয় না। এক সময় সেখানে গরুর হাট বসত। সেখানে জনসভা করায় আওয়ামী লীগ নেতারা মাঝেমধ্যেই বিএনপিকে কটাক্ষ করেন।

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

প্রধান উপদেষ্টা হতাশ-ক্ষুব্ধ, ‘পদত্যাগ’ নিয়ে আলোচনা

বিএনপিকে গোলাপবাগ মাঠে যাওয়ার পরামর্শ ডিএমপির

আপডেট সময় : ০৬:২৭:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ জুলাই ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক :ঢাকায় ‘মহাসমাবেশ’ করার জন্য বিএনপি নয়া পল্টন অথবা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের অনুমতি চাইলেও তাদের গোলাপবাগ মাঠে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে ঢাকা মহানগর পুলিশ। ঢাকার পুলিশ কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক গতকাল বুধবার বলেন, বৃহস্পতিবার যেহেতু কর্মদিবস, সে কারণেই নয়াপল্টন ও সহরোওয়ার্দী উদ্যানে অনুমতি দিতে চান না তারা।
“তাদের এখনো কোথাও অনুমতি দেওয়া হয়নি। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ব্যাপারে হাই কোর্টের একটা অবজারভেশন আছে। আমরা তাদের গোলাপবাগ মাঠ দেখতে বলেছি।”
সরকারের পদত্যাগের ‘এক দফা’ দাবিতে ঢাকায় বিএনপির এই মহাসমাবেশের ঘোষণা আসে গত ২২ জুলাই। সেদিন দলের তিন সংগঠনের ‘তারুণ্যের সমাবেশে’ থেকে বিএনপি মহসাচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই কর্মসূচির ঘোষণা করেন। তিনি বলেছিলেন, “সংবিধান ও রাষ্ট্রব্যবস্থার গণতান্ত্রিক সংস্কারের মাধ্যমে জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি, ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার এক দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে যুগপৎ আন্দোলনের পরবর্তি কর্মসূচি হচ্ছে আগামী ২৭ জুলাই বৃহস্পতিবার ঢাকায় দুপুর ২টায় শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।”
বিএনপির ‘মহাসমাবেশের’ বিপরীতে আওয়ামী লীগের তিন সংগঠন যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগও বৃহস্পতিবার বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ-পশ্চিম গেইটে ‘শান্তি সমাবেশের’ ডাক দিয়েছে। ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. ফারুক হোসেন জানান, দুপুর পর্যন্ত আওয়ামী লীগ বা বিএনপি- কোনো দলকেই অনুমতি দেওয়া হয়নি। গত কিছুদিন ধরেই এরকম একই দিনে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি চলছে, ফলে কর্মসুচির দিন যানজটের ভোগান্তির পাশাপাশি সহিংসতার আশঙ্কাও জনমনে থাকছে। ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক সে প্রসঙ্গ ধরে বুধবার এক অনুষ্ঠানে বলেন, ‘জনভোগান্তি সৃষ্টি করে’ একের পর এক রাজনৈতিক কর্মসূচি চলতে থাকলে ভবিষ্যতে পুলিশকে এ ধরনের কর্মসূচির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা ভাবতে হবে।
তবে শান্তিপূর্ণভাবে বিএনপির সমাবেশ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বুধবার এক সংবাদ সম্মেলেন বলেন, “কোথায় আমাদের মহাসমাবেশ হবে, নয়া পল্টন না সোহরাওয়ার্দী উদ্যানৃ এ ব্যাপারে আপনাদের বলেছি যে, আমরা সেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছি। আমরা চিঠি দিয়েছি ডিএমপি পুলিশকে।
“চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস, কিছুক্ষণের মধ্যেই আমরা পাব। যেখানে হোক সেটা আপনাদের (গণমাধ্যম) দ্রুত জানিয়ে দেব।” এর আগে গতবছরের ১০ ডিসেম্বর বিএনপি নয়া পল্টনে তাদের কার্যালয়ের সামনে বিভাগীয় সমাবেশের অনুমতি চাইলে পুলিশ তাদের অনুমতি দেয় সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ব্যবহারের। এ নিয়ে দুইপক্ষের অনড় অবস্থানেরমধ্যে বিএনপি কর্মীরা নয়া পল্টনে জড়ো হলে পুলিশের সাথে তাদের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের মধ্যে আহত স্বেচ্ছাসেবক দলের এক ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতার মৃত্যু হয়; ওই কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে প্রায় পাঁচশ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। নিরপত্তা নিয়ে সংশয়ের কথা জানিয়ে বিএনপি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যেতে রাজি না হওয়ায় পুলিশ পরে তাদের গোলাপবাগ মাঠ ব্যবহারের অনুমতি দেয়। শেষ পর্যন্ত বিএনপি তাতে রাজি হয় এবং ১০ ডিসেম্বর সেই মাঠ থেকে তাদের আন্দোলনের ১০ দফা ঘোষণা দেওয়া হয়। অবস্থানগত কারণে গোলাপবাগ মাঠে সাধারণত রাজনৈতিক কর্মসূচি হয় না। এক সময় সেখানে গরুর হাট বসত। সেখানে জনসভা করায় আওয়ামী লীগ নেতারা মাঝেমধ্যেই বিএনপিকে কটাক্ষ করেন।