ঢাকা ০৭:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫

বায়ু দূষণ নিয়ে পরিবেশের ডিজি, ৫ জেলা ডিসিকে হাই কোর্টে তলব

  • আপডেট সময় : ০২:০২:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ এপ্রিল ২০২২
  • ৮৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা ও আশপাশের এলাকার বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণে অবৈধ ইটভাটা ধ্বংসে আদালতের আদেশ ‘সম্পূর্ণভাবে বাস্তবায়ন না করার’ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং পাঁচ জেলার ডিসিকে তলব করেছে হাই কোর্ট।
এ বিষয়ে এক রিটের শুনানি শেষে বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের হাই কোর্ট বেঞ্চ গতকাল বুধবার এ আদেশ দেয়। আগামী ১৭ মে পরিবেশ অধিদপ্তরের ডিজি এবং ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, মানিকগঞ্জ ও গাজীপুর জেলার ডিসিকে আদালতে হাজির হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে আদেশে।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাইনুল হাসান এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আমাতুল করিম। পরে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ সাংবাদিকদের বলেন, “ঢাকার বায়ু দূষণ রোধে হাই কোর্ট একাধিক আদেশ দিয়েছে। এক পর্যায়ে ওইসব জেলার অবৈধ ইট ভাটারগুলো তালিকা চায় আদালত। পরে এই পাঁচ জেলা থেকে ৩১৮টি অবৈধ ইট ভাটার তালিকা আসে। সেগুলো বন্ধ করার জন্য আমরা আদালতে নির্দেশ চেয়েছিলাম।
“পরে জেলা প্রশাসকরা প্রতিবেদন দিয়ে জানায়, তারা অনেক কিছু বন্ধ করেছেন। কিন্তু সম্প্রতি সাভারের এক সাংবাদিক অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করেছেন যে, অনেকগুলো ইটভাটা চালু রয়েছে, যেগুলো জেলা প্রশাসকরা বলেছিলেন বন্ধ করেছেন।”
রিটকারী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ওই প্রতিবেদনটি হাই কোর্টের নজরে আনা হলে বুধবার পাঁচ ডিসি এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের ডিজিকে হাজির হয়ে লিখিত ব্যখ্যা দিতে বললো আদালত। ঢাকা শহর ও আশেপাশের এলাকায় বায়ু দূষণ বন্ধে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ জনস্বার্থে এ রিট মামলা করেছিল। পরে এ রিটের শুনানি করে ২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারি ৯ দফা নির্দেশনা জারি করে তা বাস্তবায়নের নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট। আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, “ওইসব নির্দেশনা বাস্তবায়নে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে পদক্ষেপ নেওয়া শুরু হলে বায়ু দূষণ কিছুটা কমতে থাকে, কিন্তু বর্তমানে ঢাকা শহর আবার সর্বোচ্চ বায়ু দূষণের শহর হওয়ার সংবাদ মিডিয়ায় প্রকাশিত হলে এইচআরপিবির পক্ষে এক সম্পূরক আবেদন দাখিল করে অবৈধ ইটভাটা বন্ধে নির্দেশনার আবেদন জানানো হয়।”

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বায়ু দূষণ নিয়ে পরিবেশের ডিজি, ৫ জেলা ডিসিকে হাই কোর্টে তলব

আপডেট সময় : ০২:০২:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ এপ্রিল ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা ও আশপাশের এলাকার বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণে অবৈধ ইটভাটা ধ্বংসে আদালতের আদেশ ‘সম্পূর্ণভাবে বাস্তবায়ন না করার’ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং পাঁচ জেলার ডিসিকে তলব করেছে হাই কোর্ট।
এ বিষয়ে এক রিটের শুনানি শেষে বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের হাই কোর্ট বেঞ্চ গতকাল বুধবার এ আদেশ দেয়। আগামী ১৭ মে পরিবেশ অধিদপ্তরের ডিজি এবং ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, মানিকগঞ্জ ও গাজীপুর জেলার ডিসিকে আদালতে হাজির হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে আদেশে।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাইনুল হাসান এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আমাতুল করিম। পরে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ সাংবাদিকদের বলেন, “ঢাকার বায়ু দূষণ রোধে হাই কোর্ট একাধিক আদেশ দিয়েছে। এক পর্যায়ে ওইসব জেলার অবৈধ ইট ভাটারগুলো তালিকা চায় আদালত। পরে এই পাঁচ জেলা থেকে ৩১৮টি অবৈধ ইট ভাটার তালিকা আসে। সেগুলো বন্ধ করার জন্য আমরা আদালতে নির্দেশ চেয়েছিলাম।
“পরে জেলা প্রশাসকরা প্রতিবেদন দিয়ে জানায়, তারা অনেক কিছু বন্ধ করেছেন। কিন্তু সম্প্রতি সাভারের এক সাংবাদিক অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করেছেন যে, অনেকগুলো ইটভাটা চালু রয়েছে, যেগুলো জেলা প্রশাসকরা বলেছিলেন বন্ধ করেছেন।”
রিটকারী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ওই প্রতিবেদনটি হাই কোর্টের নজরে আনা হলে বুধবার পাঁচ ডিসি এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের ডিজিকে হাজির হয়ে লিখিত ব্যখ্যা দিতে বললো আদালত। ঢাকা শহর ও আশেপাশের এলাকায় বায়ু দূষণ বন্ধে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ জনস্বার্থে এ রিট মামলা করেছিল। পরে এ রিটের শুনানি করে ২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারি ৯ দফা নির্দেশনা জারি করে তা বাস্তবায়নের নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট। আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, “ওইসব নির্দেশনা বাস্তবায়নে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে পদক্ষেপ নেওয়া শুরু হলে বায়ু দূষণ কিছুটা কমতে থাকে, কিন্তু বর্তমানে ঢাকা শহর আবার সর্বোচ্চ বায়ু দূষণের শহর হওয়ার সংবাদ মিডিয়ায় প্রকাশিত হলে এইচআরপিবির পক্ষে এক সম্পূরক আবেদন দাখিল করে অবৈধ ইটভাটা বন্ধে নির্দেশনার আবেদন জানানো হয়।”