ঢাকা ০৩:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৫ অগাস্ট ২০২৫

বায়তুল মোকাররমে আতর-তসবিহ কেনার ধুম

  • আপডেট সময় : ০৭:৪৮:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ মার্চ ২০২৫
  • ৫০ বার পড়া হয়েছে

শনিবার রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদ মার্কেটে ক্রেতাদের ভিড় দেখা গেছে -ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদ মার্কেটে আতর, টুপি, তসবিহর দোকানগুলোতে চলছে শেষ মুহূর্তের কেনাকাটা। ফুটপাতে আতরের দোকানের পাশাপাশি ভিড় বাড়ছে অভিজাত আতরের সমাহার খ্যাত আল হারমাইন আতর হাউজেও।

শনিবার (২৯ মার্চ) রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদ মার্কেট ঘুরে এবং সংশ্লিষ্ট ক্রেতা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন চিত্র দেখা গেছে।

সরেজমিন দেখা গেছে, বায়তুল মোকাররমের সামনের ফুটপাতের দোকানগুলোতে বিক্রেতারা মুহূর্তের বিক্রিতে ব্যস্ত। এসব দোকানে ২০ টাকা থেকে শুরু করে ৩০০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে হরেক রকম টুপি। ১৫০ টাকা থেকে শুরু করে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে নানা রকমের জায়নামাজ। ১০ টাকা থেকে শুরু করে ১৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন মানের তসবিহ। ১০ টাকা থেকে শুরু করে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে মেসওয়াক।

এদিকে অপেক্ষাকৃত রুচিশীল ক্রেতারা ভিড় জমাচ্ছেন আল হারমাইন আতরের বায়তুল মোকাররমের আউটলেটসহ অভিজাত সব আতরের দোকানগুলোতে। দেশের বাইরে থেকে আমদানি করা এসব আতর ও পারফিউমে ক্রেতাদের চাহিদা রয়েছে ভালোই। তবে দাম অপেক্ষাকৃত বেশি হওয়ায় ক্রেতাদের কেউ কেউ দাম কমানোর পরামর্শও দিয়েছেন।

সায়মন ইসলাম নামের এক ক্রেতা বলেন, রমজানের মধ্যে অনেকবার আতর নিয়েছি। এখন এসেছি পরিবারের সবার জন্য আতর কিনতে। দাম তুলনামূলক একটু বেশি হওয়ায় চাইলেও সব কালেকশন নিতে পারি না।

ফাহমিদ নামের আরেক ক্রেতা বলেন, বাবার জন্য জায়নামাজ কিনতে এসেছি। ঈদের দিন আমাদের দুই-তিন প্রজন্মের মিলন হয়। বাবা, আমি আমার ছেলে একত্রে ঈদগাহে যাই। সবাই নতুন কাপড়ের পাশাপাশি জায়নামাজ আর আতর নিয়ে যাই। বছরের এই একটা দিনকে বিশেষ করতে আমাদের চেষ্টার ত্রুটি থাকে না।

আল হারমাইনের সহকারী ম্যানেজার রাকিব হোসাইন বলেন, বরাবরের মতো এবারো আল হারামাইন পারফিউমস ব্যতিক্রমী কিছু করছে। ০% ইএমআই এবারের ঈদের সেরা আকর্ষণ। ফ্রেগনেন্সের ধরন বিবেচনায় আমাদের কাছে সুইট, ফ্লোরাল, ফ্রুটি এবং উড বেজড পারফিউম রয়েছে।

তিনি বলেন, অতিসম্প্রতি বাংলাদেশে আসা পারফিউমগুলো আমাদের কালেকশনে রয়েছে, এর মধ্যে ফ্লোরাল ফেয়ার, লাভেঞ্চার সিরিজ, ব্ল্যাক উড এবং ফারাসা অতি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আমরা আশা করছি এবারের ঈদে আল হারমাইনের প্রত্যাশিত বিক্রির মাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।

আহসান আতর হাউজের আব্দুর গফুর বলেন, আলহামদুলিল্লাহ বিক্রি অনেক ভালো হয়েছে। এখন একটু মানুষ কম। তবে চাঁদ রাতে বিক্রি বাড়তে পারে। পুরান ঢাকার অনেকেই চাঁদ রাতে আতর, টুপি, জায়নামাজ কিনতে আসেন। সবমিলিয়ে এবারের বিক্রি ভালো।

ফয়সাল বিদেশি আতর হাউজের মালিক ফয়সাল বলেন, বিক্রির সময় প্রায় শেষ। আশেপাশে এখন আর তেমন মানুষ নেই। এবারে প্রত্যাশার চাইতে কিছুটা কম বিক্রি হয়েছে। ১০ রমজানের মধ্যে বিক্রি প্রচুর হয়। মাঝে একটু কমে। আবার ২০ রমজান থেকে বিক্রি বাড়ে। এ বছর মোটামুটি বিক্রি হয়েছে।

 

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বায়তুল মোকাররমে আতর-তসবিহ কেনার ধুম

আপডেট সময় : ০৭:৪৮:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ মার্চ ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদ মার্কেটে আতর, টুপি, তসবিহর দোকানগুলোতে চলছে শেষ মুহূর্তের কেনাকাটা। ফুটপাতে আতরের দোকানের পাশাপাশি ভিড় বাড়ছে অভিজাত আতরের সমাহার খ্যাত আল হারমাইন আতর হাউজেও।

শনিবার (২৯ মার্চ) রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদ মার্কেট ঘুরে এবং সংশ্লিষ্ট ক্রেতা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন চিত্র দেখা গেছে।

সরেজমিন দেখা গেছে, বায়তুল মোকাররমের সামনের ফুটপাতের দোকানগুলোতে বিক্রেতারা মুহূর্তের বিক্রিতে ব্যস্ত। এসব দোকানে ২০ টাকা থেকে শুরু করে ৩০০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে হরেক রকম টুপি। ১৫০ টাকা থেকে শুরু করে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে নানা রকমের জায়নামাজ। ১০ টাকা থেকে শুরু করে ১৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন মানের তসবিহ। ১০ টাকা থেকে শুরু করে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে মেসওয়াক।

এদিকে অপেক্ষাকৃত রুচিশীল ক্রেতারা ভিড় জমাচ্ছেন আল হারমাইন আতরের বায়তুল মোকাররমের আউটলেটসহ অভিজাত সব আতরের দোকানগুলোতে। দেশের বাইরে থেকে আমদানি করা এসব আতর ও পারফিউমে ক্রেতাদের চাহিদা রয়েছে ভালোই। তবে দাম অপেক্ষাকৃত বেশি হওয়ায় ক্রেতাদের কেউ কেউ দাম কমানোর পরামর্শও দিয়েছেন।

সায়মন ইসলাম নামের এক ক্রেতা বলেন, রমজানের মধ্যে অনেকবার আতর নিয়েছি। এখন এসেছি পরিবারের সবার জন্য আতর কিনতে। দাম তুলনামূলক একটু বেশি হওয়ায় চাইলেও সব কালেকশন নিতে পারি না।

ফাহমিদ নামের আরেক ক্রেতা বলেন, বাবার জন্য জায়নামাজ কিনতে এসেছি। ঈদের দিন আমাদের দুই-তিন প্রজন্মের মিলন হয়। বাবা, আমি আমার ছেলে একত্রে ঈদগাহে যাই। সবাই নতুন কাপড়ের পাশাপাশি জায়নামাজ আর আতর নিয়ে যাই। বছরের এই একটা দিনকে বিশেষ করতে আমাদের চেষ্টার ত্রুটি থাকে না।

আল হারমাইনের সহকারী ম্যানেজার রাকিব হোসাইন বলেন, বরাবরের মতো এবারো আল হারামাইন পারফিউমস ব্যতিক্রমী কিছু করছে। ০% ইএমআই এবারের ঈদের সেরা আকর্ষণ। ফ্রেগনেন্সের ধরন বিবেচনায় আমাদের কাছে সুইট, ফ্লোরাল, ফ্রুটি এবং উড বেজড পারফিউম রয়েছে।

তিনি বলেন, অতিসম্প্রতি বাংলাদেশে আসা পারফিউমগুলো আমাদের কালেকশনে রয়েছে, এর মধ্যে ফ্লোরাল ফেয়ার, লাভেঞ্চার সিরিজ, ব্ল্যাক উড এবং ফারাসা অতি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আমরা আশা করছি এবারের ঈদে আল হারমাইনের প্রত্যাশিত বিক্রির মাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।

আহসান আতর হাউজের আব্দুর গফুর বলেন, আলহামদুলিল্লাহ বিক্রি অনেক ভালো হয়েছে। এখন একটু মানুষ কম। তবে চাঁদ রাতে বিক্রি বাড়তে পারে। পুরান ঢাকার অনেকেই চাঁদ রাতে আতর, টুপি, জায়নামাজ কিনতে আসেন। সবমিলিয়ে এবারের বিক্রি ভালো।

ফয়সাল বিদেশি আতর হাউজের মালিক ফয়সাল বলেন, বিক্রির সময় প্রায় শেষ। আশেপাশে এখন আর তেমন মানুষ নেই। এবারে প্রত্যাশার চাইতে কিছুটা কম বিক্রি হয়েছে। ১০ রমজানের মধ্যে বিক্রি প্রচুর হয়। মাঝে একটু কমে। আবার ২০ রমজান থেকে বিক্রি বাড়ে। এ বছর মোটামুটি বিক্রি হয়েছে।