ঢাকা ০৯:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫

বাড়ি ছেড়ে হোটেলে থাকতে চান শ্রীলঙ্কার কিছু এমপি

  • আপডেট সময় : ০১:৪৯:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ মে ২০২২
  • ৯৬ বার পড়া হয়েছে


আন্তর্জাতিক ডেস্ক : শ্রীলঙ্কায় ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটের জেরে দেখা দিয়েছে মারাত্মক জ্বালানি সংকটও। পেট্রল পাম্পগুলোতে রোজ তৈরি হচ্ছে দীর্ঘ লাইন। জ্বালানি তেল পাওয়া যেন সোনার হরিণ হয়ে দাঁড়িয়েছে মানুষের কাছে। এর মধ্যেই দ্বীপরাষ্ট্রটিতে সম্প্রতি শুরু হয়েছে সংসদীয় অধিবেশন। কিন্তু গাড়ির জ্বালানি সংগ্রহ কঠিন হয়ে যাওয়ায় অধিবেশনে যোগ দিতে সমস্যায় পড়ছেন লঙ্কান সংসদ সদস্যরা (এমপি)। এ অবস্থায় অধিবেশন চলাকালে বাড়ির বদলে হোটেলে থাকার বন্দোবস্ত করে দিতে আবেদন জানিয়েছেন শ্রীলঙ্কার বেশ কয়েকজন এমপি। বৃহস্পতিবার (১৯ মে) লঙ্কান পার্লামেন্টের স্পিকার মাহিন্দা ইয়াপা আবেবর্ধনে জানিয়েছেন, সংসদ অধিবেশনে যোগ দিতে জ্বালানির ব্যবস্থা না করা গেলে এ সপ্তাহ কোনো হোটেলে থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন কিছু এমপি। এর আগে গত সোমবার শ্রীলঙ্কার নতুন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে বলেছিলেন, দেশটিতে পেট্রল প্রায় ফুরিয়ে গেছে এবং জরুরি পণ্যের আমদানি ব্যয় মেটানোর মতো ডলার তাদের হাতে নেই। দেউলিয়া শ্রীলঙ্কা আগামী দিনগুলোতে আরও কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে পারে বলে সতর্ক করেন তিনি। সেদিন বিক্রমাসিংহে বলেন, পেট্রল প্রায় ফুরিয়ে গেছে। এই মুহূর্তে আমাদের মাত্র একদিনের পেট্রল রয়েছে। তেলের তিনটি চালানের মূল্য পরিশোধে ডলার জোগাড় করতে পারেনি সরকার। তেল নিয়ে কলম্বো উপকূলে দাঁড়িয়ে রয়েছে জাহাজগুলো। মূল্য পরিশোধ করা হলেই তেল খালাস হবে।
শ্রীলঙ্কায় স্বাধীনতা-উত্তর সবচেয়ে ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটের জেরে জনগণের তোপের মুখে পড়েছে দেশটির সরকার। প্রেসিডেন্ট-প্রধানমন্ত্রী তো বটেই, জনরোষ থেকে ছাড় পাচ্ছেন না লঙ্কান মন্ত্রী, এমপি, উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তারাও। সম্প্রতি পথ আটকে তাদের ওপর যেমন শারীরিক আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে, তেমনি আগুন লাগানো হয়েছে অর্ধশতাধিক নেতার বাড়িগাড়িতে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের তথ্যমতে, গত ৯ মে রাতে শাসক দলীয় নেতাদের অন্তত ৩৩টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। নেতাদের সঙ্গে যোগসূত্র রয়েছে অভিযোগে বেশ কিছু বেসরকারি সম্পত্তিতেও হামলা চালানো হয়েছে। ওই রাতে বেছে বেছে ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের বাড়ি-গাড়িতে হামলা চালায় ক্রুদ্ধ জনতা। এর মধ্যে পদত্যাগকারী লঙ্কান প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসের মেদামুলনায় অবস্থিত পৈতৃক বাড়ি এবং কুরুনেগালায় অবস্থিত বাসভবনে আগুন দিয়েছিল বিক্ষোভকারীর

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বাড়ি ছেড়ে হোটেলে থাকতে চান শ্রীলঙ্কার কিছু এমপি

আপডেট সময় : ০১:৪৯:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ মে ২০২২


আন্তর্জাতিক ডেস্ক : শ্রীলঙ্কায় ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটের জেরে দেখা দিয়েছে মারাত্মক জ্বালানি সংকটও। পেট্রল পাম্পগুলোতে রোজ তৈরি হচ্ছে দীর্ঘ লাইন। জ্বালানি তেল পাওয়া যেন সোনার হরিণ হয়ে দাঁড়িয়েছে মানুষের কাছে। এর মধ্যেই দ্বীপরাষ্ট্রটিতে সম্প্রতি শুরু হয়েছে সংসদীয় অধিবেশন। কিন্তু গাড়ির জ্বালানি সংগ্রহ কঠিন হয়ে যাওয়ায় অধিবেশনে যোগ দিতে সমস্যায় পড়ছেন লঙ্কান সংসদ সদস্যরা (এমপি)। এ অবস্থায় অধিবেশন চলাকালে বাড়ির বদলে হোটেলে থাকার বন্দোবস্ত করে দিতে আবেদন জানিয়েছেন শ্রীলঙ্কার বেশ কয়েকজন এমপি। বৃহস্পতিবার (১৯ মে) লঙ্কান পার্লামেন্টের স্পিকার মাহিন্দা ইয়াপা আবেবর্ধনে জানিয়েছেন, সংসদ অধিবেশনে যোগ দিতে জ্বালানির ব্যবস্থা না করা গেলে এ সপ্তাহ কোনো হোটেলে থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন কিছু এমপি। এর আগে গত সোমবার শ্রীলঙ্কার নতুন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে বলেছিলেন, দেশটিতে পেট্রল প্রায় ফুরিয়ে গেছে এবং জরুরি পণ্যের আমদানি ব্যয় মেটানোর মতো ডলার তাদের হাতে নেই। দেউলিয়া শ্রীলঙ্কা আগামী দিনগুলোতে আরও কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে পারে বলে সতর্ক করেন তিনি। সেদিন বিক্রমাসিংহে বলেন, পেট্রল প্রায় ফুরিয়ে গেছে। এই মুহূর্তে আমাদের মাত্র একদিনের পেট্রল রয়েছে। তেলের তিনটি চালানের মূল্য পরিশোধে ডলার জোগাড় করতে পারেনি সরকার। তেল নিয়ে কলম্বো উপকূলে দাঁড়িয়ে রয়েছে জাহাজগুলো। মূল্য পরিশোধ করা হলেই তেল খালাস হবে।
শ্রীলঙ্কায় স্বাধীনতা-উত্তর সবচেয়ে ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটের জেরে জনগণের তোপের মুখে পড়েছে দেশটির সরকার। প্রেসিডেন্ট-প্রধানমন্ত্রী তো বটেই, জনরোষ থেকে ছাড় পাচ্ছেন না লঙ্কান মন্ত্রী, এমপি, উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তারাও। সম্প্রতি পথ আটকে তাদের ওপর যেমন শারীরিক আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে, তেমনি আগুন লাগানো হয়েছে অর্ধশতাধিক নেতার বাড়িগাড়িতে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের তথ্যমতে, গত ৯ মে রাতে শাসক দলীয় নেতাদের অন্তত ৩৩টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। নেতাদের সঙ্গে যোগসূত্র রয়েছে অভিযোগে বেশ কিছু বেসরকারি সম্পত্তিতেও হামলা চালানো হয়েছে। ওই রাতে বেছে বেছে ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের বাড়ি-গাড়িতে হামলা চালায় ক্রুদ্ধ জনতা। এর মধ্যে পদত্যাগকারী লঙ্কান প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসের মেদামুলনায় অবস্থিত পৈতৃক বাড়ি এবং কুরুনেগালায় অবস্থিত বাসভবনে আগুন দিয়েছিল বিক্ষোভকারীর