প্রযুক্তি ডেস্ক : মিতব্যয়ী হওয়ার চেষ্টায় কম কম বিদ্যুৎ খরচ করেও মাস শেষে অনেকে দেখেন, বিলের অংকের খুব বেশি পরিবর্তন হয়নি। বিদ্যুতের বিল প্রতিদিন বাড়ছে। কিন্তু সেই অনুপাতে আয় বাড়ছে না। তবে বিদ্যুতের খরচ কমানো সম্ভব। অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল থেকে বাঁচতে প্রথমে প্রয়োজন অভ্যাসের পরিবর্তন ও নিজের ভুলগুলো খুঁজে বের করা। বিদ্যুৎ খরচ কমাতে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করবে এই সতর্কতা। তা হলে খরচ অনেক কমে যাবে। এমনকি ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে খরচ।
বিভিন্ন কোম্পানি আজকাল বিদ্যুৎসাশ্রয় সিস্টেম চালু করেছে। এগুলো নিশ্চিত হয়ে কেনা দরকার যাতে বিদ্যুৎ খরচ কমে যায়। বিদ্যুতচালিত নতুন কোনও যন্ত্র কেনার আগে দেখে নিন তার গায়ে কয়টি তারা চিহ্ন দেওয়া। পাঁচ তারা বা ‘ফাইভ স্টার’ যন্ত্র হলে তাতে বিদ্যুতের খরচ এক ধাক্কায় অনেকটা কমে যাবে।
‘স্ট্যান্ডবাই’ নয়, সুইচ বন্ধ করে দিন। রিমোটচালিত যন্ত্র দুইভাবে বন্ধ করা যায়। রিমোট দিয়ে এবং বিদ্যুতের প্লাগ থেকে সুইচ বন্ধ করে। অনেকেই প্রথম পদ্ধতিতে যন্ত্র বন্ধ করে রেখে দেন। একে ‘স্ট্যান্ডবাই’ অবস্থা বলে। তাতে বিদ্যুতের ব্যবহার পুরোপুরি বন্ধ হয় না। বিদ্যুত খরচ কমাতে প্লাগের সুইচ বন্ধ করে দিন।
একটি কম্পিউটার চব্বিশ ঘণ্টা চললে ফ্রিজের সমান বিদ্যুৎ খরচ হয়। যদি কম্পিউটার অন রাখতেই হয় সেক্ষেত্রে মনিটর বন্ধ রাখা উচিত। কারণ মনিটর একাই সিস্টেমের ৫০ শতাংশের বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহার করে। কম্পিউটার স্লিপ-মোডে রাখলে ৪০ শতাংশ বিদ্যুৎ সাশ্রয় হতে পারে।
বাড়িতে এলইডি আলো ব্যবহার করতে চেষ্টা করুন। পুরনো ফিলামেন্টের বাল্ব তো বটেই সিএফএল আলোতেও বিদ্যুতের খরচ তুলনায় বেশি।
ফ্রিজে গরম খাবার রাখবেন না। দরজা বেশি ক্ষণ খুলে রাখবেন না। বরফের প্রয়োজন না হলে ‘ডিফ্রস্ট’ সুইচ বন্ধ রাখুন। সবচেয়ে বড় কথা, ঘরের এমন জায়গায় ফ্রিজ রাখুন, যেখানে রোদ আসে না।
ঘরে শীতল আবহ আনতে এসির তাপমাত্রা ২৬–২৭–এর মধ্যে রাখলে আরামদায়ক তাপমাত্রা থাকবে, তবে কম্বল গায়ে দেওয়ার প্রয়োজন হবে না। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বিলের কাঁটা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। তামার কয়েল আছে কি না দেখেই এসি কিনুন। আর এসি চালানোর সময়ে চেষ্টা করুন ঘরের এমন কোনও যন্ত্র না চালাতে, যা থেকে অনেকটা উত্তাপ তৈরি হয়। যেমন ফ্রিজ বা ওটিজি। আবার ইনভার্টার এসির ব্যবহারে বিল কম আসে। পিক আওয়ারে (বিকেল ৫টা থেকে রাত ১১টা) বিদ্যুৎ ব্যবহার না করে অফ-পিক আওয়ারে যেকোনো বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ব্যবহার বিল কমানোর একটি কার্যকর কৌশল।
ওয়াশিং মেশিনে একসঙ্গে অনেকগুলো জামাকাপড় কাচুন। তাতে বিদ্যুতের খরচ কমবে।
অনেক সময়েই চার্জার থেকে মোবাইল ফোনটি খুলে নেওয়ার পরেও প্লাগের সুইচ বন্ধ করি না। তাতে স্বল্প মাত্রায় হলেও বিদ্যুতের অপচয় হতে থাকে। এর থেকে বিরত থাকুন।
সোলার লাইটের (সৌরবাতি) ব্যবহার করা যেতে পারে। যাদের বাসায় সোলার আছে, তাদের সেটি ব্যবহারে অভ্যস্ত হওয়া জরুরি।
দিনের আলোর ব্যবহার বাড়াতে হবে। যত ভোরে সম্ভব ঘুম থেকে ওঠা ও রাতে দ্রুত ঘুমিয়ে যাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। প্রাকৃতিক আলো-হাওয়ায় ভরসা রাখুন। দিনের বেলায় যতটা কম সম্ভব আলো জ্বালান। ঘরের দেয়াল, ছাদ, পর্দা ও আসবাবপত্রে সাদা ও উজ্জ্বল রঙের ব্যবহার ঘরকে উজ্জ্বলতর করে। এতে অনেক ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয়ে থাকে।
ক্যাপশন : অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতীয় হাইকমিশনার
সরকার স্টার্টআপ সংস্কৃতি গড়ে তুলতে নতুন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে: পলক
প্রযুক্তি ডেস্ক
স্থানীয় স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম উন্নয়ন প্রচেষ্টাই হচ্ছে নতুন উদ্ভাবনের মূল ভিত্তি উল্লেখ করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, সরকার স্টার্টআপ সংস্কৃতি গড়ে তুলতে এবং এর উন্নয়ন ও বিকাশে আইডিয়া প্রকল্প এবং স্টার্টআপ বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেড প্রতিষ্ঠাসহ নতুন নতুন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে। তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তরুণ উদ্ভাবকদের মেন্টরিং, কোচিং, হাইটেক পার্কে কো-স্পেস, সিডমানি প্রদানসহ বিভিন্নভাবে সহায়তা প্রদান করছে।
প্রতিমন্ত্রী গত সোমবার (২৬ জুলাই) রাতে ‘স্টার্টআপ ল্যান্ডস্কেপ ইন বাংলাদেশ অ্যান্ড ইন্ডিয়া: টেক স্টার্টআপস ট্রান্সফর্মিং দ্য ফিউচার’ শীর্ষক ওয়েবিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। ভার্চুয়াল এই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী। পলক বলেন, গত ৪ বছরে ফিনটেক, লজিস্টিক এবং ডিজিটাল কমার্সসহ স্টার্টআপ সেক্টরে ৩০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করা সম্ভব হয়েছে। তিনি বলেন, আইসিটি বিভাগের উদ্যোগে দেশে ৩৯টি হাইটেক পার্ক, ৬৪টি শেখ কামাল আইটি ইনকিউবেশন সেন্টার, ১৫টি শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব এবং চতুর্থ শিল্প বিপ্লব মোকাবিলায় শেখ হাসিনার ইনস্টিটিউট অফ ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে স্টার্টআপ সংস্কৃতি গড়ে তুলতে এবং এ খাতের উন্নয়নের ও বিকাশে এ ধরনের কর্মসূচি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এবং উভয় দেশের মধ্যে বন্ধুত্ব আরও সুদৃঢ় করবে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী। পরে তিনি ওয়েবিনারের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক টিনা এফ জাবিন।