ঢাকা ০১:৪৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫

বাড়লো মোটা চালের দাম

  • আপডেট সময় : ১২:৩১:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২১
  • ৯৭ বার পড়া হয়েছে

বিশেষ সংবাদদাতা: সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে অন্তত ১ থেকে ২ টাকা বেড়েছে সবচেয়ে নি¤œমানের মোটা চালের দাম। রাজধানীর চাল ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত সপ্তাহে যে চাল ৪৪ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা গেছে, আজকে সেই চাল বিক্রি করতে হচ্ছে ৪৫ থেকে ৪৬ টাকা কেজি দরে। ব্যবসায়ীরা মোটা চাল এখন ৪৮ টাকা থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন। পাশাপাশি বেড়েছে মাঝারি চালের দামও। গত সপ্তাহে বিক্রি হওয়া ৫৬ টাকা কেজি মাঝারি চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৮ টাকা কেজি দরে। প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে সরু চালের দাম বেড়েছিল কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা। মানিকনগর এলাকার চাল ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘চিকন চালের দাম আগের মতোই আছে। তবে মোটা চাল ও মাঝারি মানের চালের দাম কেজিতে ১ থেকে ২ টাকা বেড়েছে।’ তিনি বলছেন, গত সপ্তাহ থেকে যে চিকন চাল ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি, আগের সপ্তাহে সেই চাল ৬৮ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে। সরকারি বিপণন সংস্থা টিসিবির তথ্য বলছে, গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে প্রতিকেজি মোটা চালের দাম বেড়েছে ১.০৯ শতাংশ এবং এই সপ্তাহে মাঝারি মানের চালের প্রতি কেজিতে দাম বেড়েছে ১.৬১ শতাংশ। এদিকে খোলা ময়দার দাম নতুন করে বেড়েছে কেজিতে ৩ টাকার মতো। গত সপ্তাহে ৪৫ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া খোলা ময়দা শুক্রবার বিক্রি হচ্ছে ৪৮ টাকা কেজি দরে। একইভাবে বোতলজাত ৫ লিটার ওজনের সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৭৬০ টাকায়। গত সপ্তাহে এই সয়াবিন তেল ৭৫০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছিল। শুধু তা-ই নয়, আমদানি করা রসুনের দাম বেড়েছে কেজিতে ৩০ টাকার মতো। গত সপ্তাহে ১১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া আমদানি করা রসুন আজ বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা কেজি দরে। গত সপ্তাহের ১১০ টাকা কেজি দরের তেজপাতা শুক্রবার বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা। অর্থাৎ তেজপাতার প্রতি কেজিতে দাম বেড়েছে ৪০ টাকার মতো।
এদিকে শীতের সবজির পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও দাম রয়েছে অনেকটা নাগালের বাইরে। কয়েক মাস ধরেই বাজারে প্রতিটি সবজি বিক্রি হয়েছে চড়া দামে। নতুন সবজি বাজারে আসার পর দাম কমবে এমন আভাস দিয়েছিলেন বিক্রেতারা। কিন্তু খুব বেশি কমেনি সবজির দাম। বাজারে শিম প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১০০ টাকা কেজি, গাঁজর ৮০ থেকে ১০০ টাকায়, করলা ৬০ টাকা, বাঁধাকপি ৪০ টাকা (প্রতি পিস মাঝারি), ফুলকপি ৪০ টাকা (প্রতি পিস মাঝারি), মুলা ৪০ টাকা কেজি, নতুন আলু ৬০ টাকা, সাধারণ আলু ২৫ থেকে ৩০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, বেগুন ৫০ টাকা, টমেটো ১৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, শসা ৪০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, শালগম ৬০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, পেঁয়াজ ৬০ থেকে ৬৫ টাকা। এছাড়া কাঁচকলা প্রতি হালি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, লাল শাকের আঁটি ১০ থেকে ১৫ টাকা, মুলা শাকের আঁটি ১০ থেকে ১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পালং শাকের আঁটি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকা। ব্যবসায়ীরা ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি করছেন ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকা। পাকিস্তানি কক বা সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৯০ থেকে ৩২০ টাকা। লাল লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৩০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা। মুরগির দাম অপরিবর্তিত থাকলেও ডিমের দাম কিছুটা কমেছে। গত সপ্তাহে ১১৫ থেকে ১২০ টাকা ডজন বিক্রি হওয়া ফার্মের মুরগির ডিম এখন ১০৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
মাছ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩৫০ টাকায়। একই দামে বিক্রি হচ্ছে কাতল মাছ। শিং মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা। শোল মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। তেলাপিয়া ও পাঙাশ মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা। ১ থেকে দেড় কেজি ওজনের ইলিশ মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা। ছোট ইলিশ মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা। চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা কেজি।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

গভীর সংস্কার না করলে স্বৈরাচার ফিরে আসবে

বাড়লো মোটা চালের দাম

আপডেট সময় : ১২:৩১:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২১

বিশেষ সংবাদদাতা: সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে অন্তত ১ থেকে ২ টাকা বেড়েছে সবচেয়ে নি¤œমানের মোটা চালের দাম। রাজধানীর চাল ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত সপ্তাহে যে চাল ৪৪ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা গেছে, আজকে সেই চাল বিক্রি করতে হচ্ছে ৪৫ থেকে ৪৬ টাকা কেজি দরে। ব্যবসায়ীরা মোটা চাল এখন ৪৮ টাকা থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন। পাশাপাশি বেড়েছে মাঝারি চালের দামও। গত সপ্তাহে বিক্রি হওয়া ৫৬ টাকা কেজি মাঝারি চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৮ টাকা কেজি দরে। প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে সরু চালের দাম বেড়েছিল কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা। মানিকনগর এলাকার চাল ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘চিকন চালের দাম আগের মতোই আছে। তবে মোটা চাল ও মাঝারি মানের চালের দাম কেজিতে ১ থেকে ২ টাকা বেড়েছে।’ তিনি বলছেন, গত সপ্তাহ থেকে যে চিকন চাল ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি, আগের সপ্তাহে সেই চাল ৬৮ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে। সরকারি বিপণন সংস্থা টিসিবির তথ্য বলছে, গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে প্রতিকেজি মোটা চালের দাম বেড়েছে ১.০৯ শতাংশ এবং এই সপ্তাহে মাঝারি মানের চালের প্রতি কেজিতে দাম বেড়েছে ১.৬১ শতাংশ। এদিকে খোলা ময়দার দাম নতুন করে বেড়েছে কেজিতে ৩ টাকার মতো। গত সপ্তাহে ৪৫ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া খোলা ময়দা শুক্রবার বিক্রি হচ্ছে ৪৮ টাকা কেজি দরে। একইভাবে বোতলজাত ৫ লিটার ওজনের সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৭৬০ টাকায়। গত সপ্তাহে এই সয়াবিন তেল ৭৫০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছিল। শুধু তা-ই নয়, আমদানি করা রসুনের দাম বেড়েছে কেজিতে ৩০ টাকার মতো। গত সপ্তাহে ১১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া আমদানি করা রসুন আজ বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা কেজি দরে। গত সপ্তাহের ১১০ টাকা কেজি দরের তেজপাতা শুক্রবার বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা। অর্থাৎ তেজপাতার প্রতি কেজিতে দাম বেড়েছে ৪০ টাকার মতো।
এদিকে শীতের সবজির পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও দাম রয়েছে অনেকটা নাগালের বাইরে। কয়েক মাস ধরেই বাজারে প্রতিটি সবজি বিক্রি হয়েছে চড়া দামে। নতুন সবজি বাজারে আসার পর দাম কমবে এমন আভাস দিয়েছিলেন বিক্রেতারা। কিন্তু খুব বেশি কমেনি সবজির দাম। বাজারে শিম প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১০০ টাকা কেজি, গাঁজর ৮০ থেকে ১০০ টাকায়, করলা ৬০ টাকা, বাঁধাকপি ৪০ টাকা (প্রতি পিস মাঝারি), ফুলকপি ৪০ টাকা (প্রতি পিস মাঝারি), মুলা ৪০ টাকা কেজি, নতুন আলু ৬০ টাকা, সাধারণ আলু ২৫ থেকে ৩০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, বেগুন ৫০ টাকা, টমেটো ১৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, শসা ৪০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, শালগম ৬০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, পেঁয়াজ ৬০ থেকে ৬৫ টাকা। এছাড়া কাঁচকলা প্রতি হালি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, লাল শাকের আঁটি ১০ থেকে ১৫ টাকা, মুলা শাকের আঁটি ১০ থেকে ১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পালং শাকের আঁটি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকা। ব্যবসায়ীরা ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি করছেন ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকা। পাকিস্তানি কক বা সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৯০ থেকে ৩২০ টাকা। লাল লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৩০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা। মুরগির দাম অপরিবর্তিত থাকলেও ডিমের দাম কিছুটা কমেছে। গত সপ্তাহে ১১৫ থেকে ১২০ টাকা ডজন বিক্রি হওয়া ফার্মের মুরগির ডিম এখন ১০৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
মাছ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩৫০ টাকায়। একই দামে বিক্রি হচ্ছে কাতল মাছ। শিং মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা। শোল মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। তেলাপিয়া ও পাঙাশ মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা। ১ থেকে দেড় কেজি ওজনের ইলিশ মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা। ছোট ইলিশ মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা। চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা কেজি।