চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সরবরাহ সংকটের মধ্যে চট্টগ্রামে অতিরিক্ত দামে বিক্রির প্রমাণ পেয়েছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। অতিরিক্ত দামে সয়াবিন তেল বিক্রির অভিযোগে এক পরিবেশককে ৪০ হাজার টাকা জরিমানাও করেছে সংস্থাটি। এসময় আরও চার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ৩২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। বুধবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে নগরীর বৃহত্তম পাইকারি ভোগ্যপণ্যের বাজার ‘রিয়াজউদ্দিন বাজারে’ অভিযান পরিচালনা করে অধিদফতরের একটি টিম।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর চট্টগ্রামের বিভাগীয় পরিচালক ফয়েজ উল্লাহ সারাবাংলাকে বলেন, ‘আসন্ন রমজান উপলক্ষে পণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখতে রিয়াজউদ্দিন বাজারে মনিটরিং এ যাই আমরা। অভিযানে মেসার্স বিএ ট্রেডাস নামে একটি প্রতিষ্ঠানকে গায়ের মূল্যের চেয়ে বেশি দামে তেল বিক্রি করার অভিযোগে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করি। দুই লিটার সয়াবিন তেলের গায়ে ৩২৫ টাকা লেখা থাকলেও তারা সেটা ৩৫৫ টাকায় খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করছিলেন, যা আমরা হাতেনাতে ধরি।’ তিনি বলেন, ‘একজন খুচরা ব্যবসায়ী যদি ৩৫৫ টাকায় একটি তেলের বোতল কেনেন তাহলে তারা সেটা বিক্রি করবেন ৩৭০ বা ৩৮০ টাকায়। এভাবেই বাজারকে অস্থিতিশীল করা হচ্ছে। আমরা ওই ব্যবসায়ীকে সতর্ক করে দিয়েছি।’ এদিন দুপুরে রিয়াজউদ্দিন বাজারে অভিযানে গিয়ে রমজানে পণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখতে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের কর্মকর্তারা। এ সময় খোলা অবস্থায় মিষ্টি বিক্রি করা ও ক্রয়-বিক্রয় ভাউচার না থাকায় জব্বার সুইটস, খাজা সুইটস ও মক্কা সুইটসকে ১০ হাজার করে মোট ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এছাড়া মটরশুঁটিতে রঙ মেশানোর অভিযোগে আবদুল গাফফার নামে এক ব্যবসায়ীকে দুই হাজার টাকার জরিমানা করা হয়। এ সময় রঙ মেশানো ওসব মটরশুঁটি নষ্ট করে ফেলার জন্য সঙ্গে থাকা পুলিশ সদস্যদের নির্দেশ দেন ভোক্তা অধিদফতরের কর্মকর্তারা। অভিযান শেষে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর চট্টগ্রামের বিভাগীয় পরিচালক ফয়েজ উল্লাহ গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, ‘রমজানে যাতে পণ্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়িয়ে দিতে না পারে এজন্য আমরা অগ্রিম একটি সার্ভে করে রেখেছি। কিছু পণ্য আছে যেমন ক্ষিরা, টমোটো, বেগুন এ সবের সিজন মাত্র শুরু হয়েছে। রমজান আসলে সেটা ফুল সিজনে চলবে। তখন ওই পণ্যের অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’ ‘আমরা ব্যবসায়ীদের সতর্ক করেছি। তারা যাতে ক্রয়-বিক্রয় ভাউচার রাখে। তারা যাতে মূল্য তালিকা রাখে। আমরা অভিযানে তিনটি মিষ্টির দোকানকে প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেছি। পূর্বে তাদের সতর্ক করেছি। কাচের ভেতরে না রেখে তারা বাইরে খোলা অবস্থায় পণ্য রেখেছিল। প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানকে আমরা ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছি।’