ঢাকা ০৫:১০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫

বাসা-বাড়িতে এডিসের লার্ভা পেলেই মামলা: ডিএনসিসি মেয়র

  • আপডেট সময় : ০১:২৯:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ জুলাই ২০২২
  • ৬২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাসা-বাড়িতে এডিসের লার্ভা পেলেই মামলা করা হবে বলে নগরবাসীকে সতর্ক করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, ডেঙ্গুর প্রকোপ নির্মূলে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে ডিএনসিসি। জনগণকেও দায়িত্ব নিতে হবে।
গতকাল বুধবার দুপুরে ডিএনসিসির ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের আওতাধীন খিলবাড়িরটেক এলাকায় ডেঙ্গুবিরোধী সচেতনতামূলক প্রচার অভিযানে তিনি এসব কথা বলেন। ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘বর্তমান আবহাওয়ায় ডেঙ্গুর প্রকোপ অনেক বেড়ে যাচ্ছে। আমরা দেখতে পাচ্ছি প্রায়ই বৃষ্টি হচ্ছে এবং পরক্ষণেই রোদ হচ্ছে। এমন আবহাওয়ায় এডিস মশা বেড়ে যায়। তাই আমি জনগণকে আহ্বান করছি আপনারা এই সময়টায় অনেক বেশি সতর্ক থাকুন।’
আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘দেখা গেছে ড্রেন, জলাশয় এবং নর্দমা থেকে নয় বরং বাসা-বাড়ির জমে থাকা পানি থেকেই এডিস মশা বেশি জন্মায়। আমি অনুরোধ করছি আপনারা বাসাবাড়ির জমা পানি ফেলে দিন।’ বাসা-বাড়ি পরিচ্ছন্ন রাখতে প্রতি শনিবার সকাল ১০টায় দশ মিনিট সময় ব্যয় করার আহ্বান জানান ডিএনসিসি মেয়র। সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে বাড়ির ছাদে, আঙিনায়, ফুলের টবে যেন পানি না জমে। জমে থাকা পানিতেই এডিসের লার্ভার জন্ম হয়। এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে সবাইকে।’
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘আমরা হাসপাতাল থেকে নিয়মিত ডেঙ্গু রোগীদের তালিকা সংগ্রহ করে রোগীর বাড়িসহ আশেপাশের বাড়িগুলোতে বেশি পরিমাণে লার্ভিসাইডিং এবং ফগিং করছি। মশার প্রজননক্ষেত্র সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করতে নিয়মিত আমাদের কার্যক্রম চলমান। তবে জনগণ সচেতন হলে এডিস মশা নির্মূল করা সম্ভব হবে।’
ডেঙ্গু আক্রান্ত হলে সিটি করপোরেশনকে তথ্য দেয়ার আহ্বান জানিয়ে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘ডেঙ্গু আক্রান্ত হলে সঙ্গে সঙ্গে ঠিকানাসহ বিস্তারিত তথ্য দিন। তথ্য দিলে আমরা আপনাদের শাস্তি দেব না। বরং আমরা তথ্য পেলে এডিস মশার প্রজননক্ষেত্র ধ্বংস করার ব্যবস্থা নেয়া সহজ হবে। এর ফলে আপনার পরিবারের সদস্যসহ ওই এলাকার বাসিন্দারা ডেঙ্গু থেকে রেহাই পাবেন।’
গণমাধ্যমকর্মীর প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, ‘সিটি করপোরেশন নিয়মিত ডেঙ্গুবিরোধী সচেতনতামূলক প্রচারণা চালাচ্ছে। ড্রোন ব্যবহার করে ছাদে জমে থাকা পানি ও মশার প্রজননক্ষেত্র খুঁজে বের করা হচ্ছে। বাসা-বাড়ি ও যেকোনো ভবনে এডিসের লার্ভা পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। নিয়মিত মামলা ও জরিমানা করা হবে।’
প্রচার অভিযানে ডিএনসিসি মেয়র ডেঙ্গু আক্রান্ত একজন রোগীর বাড়িসহ আশেপাশের কয়েকটি বাড়ির ছাদে পানি জমে আছি কিনা অত্যাধুনিক ড্রোনের মাধ্যমে কীভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে সেটি সশরীরে পরিদর্শন করেন। জনসচেতনতা বাড়াতে তিনি রোড শো তে অংশ নেন এবং জনগণের মাঝে সচেতনতামূলক মূলক লিফলেট বিতরণ করেন। প্রচার অভিযানে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রি. জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমান, উপ-প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা লে. কর্ণেল মো. গোলাম মোস্তফা সারওয়ার, মহাব্যবস্থাপক (পরিবহন) ড. মোহাম্মদ মাহে আলম, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী জিয়াউল বাসেত, ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. শফিকুল ইসলাম, সংরক্ষিত আসনের নারী কাউন্সিলর নিলুফার ইয়াসমিন ইতি এবং ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বাসা-বাড়িতে এডিসের লার্ভা পেলেই মামলা: ডিএনসিসি মেয়র

আপডেট সময় : ০১:২৯:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ জুলাই ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাসা-বাড়িতে এডিসের লার্ভা পেলেই মামলা করা হবে বলে নগরবাসীকে সতর্ক করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, ডেঙ্গুর প্রকোপ নির্মূলে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে ডিএনসিসি। জনগণকেও দায়িত্ব নিতে হবে।
গতকাল বুধবার দুপুরে ডিএনসিসির ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের আওতাধীন খিলবাড়িরটেক এলাকায় ডেঙ্গুবিরোধী সচেতনতামূলক প্রচার অভিযানে তিনি এসব কথা বলেন। ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘বর্তমান আবহাওয়ায় ডেঙ্গুর প্রকোপ অনেক বেড়ে যাচ্ছে। আমরা দেখতে পাচ্ছি প্রায়ই বৃষ্টি হচ্ছে এবং পরক্ষণেই রোদ হচ্ছে। এমন আবহাওয়ায় এডিস মশা বেড়ে যায়। তাই আমি জনগণকে আহ্বান করছি আপনারা এই সময়টায় অনেক বেশি সতর্ক থাকুন।’
আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘দেখা গেছে ড্রেন, জলাশয় এবং নর্দমা থেকে নয় বরং বাসা-বাড়ির জমে থাকা পানি থেকেই এডিস মশা বেশি জন্মায়। আমি অনুরোধ করছি আপনারা বাসাবাড়ির জমা পানি ফেলে দিন।’ বাসা-বাড়ি পরিচ্ছন্ন রাখতে প্রতি শনিবার সকাল ১০টায় দশ মিনিট সময় ব্যয় করার আহ্বান জানান ডিএনসিসি মেয়র। সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে বাড়ির ছাদে, আঙিনায়, ফুলের টবে যেন পানি না জমে। জমে থাকা পানিতেই এডিসের লার্ভার জন্ম হয়। এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে সবাইকে।’
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘আমরা হাসপাতাল থেকে নিয়মিত ডেঙ্গু রোগীদের তালিকা সংগ্রহ করে রোগীর বাড়িসহ আশেপাশের বাড়িগুলোতে বেশি পরিমাণে লার্ভিসাইডিং এবং ফগিং করছি। মশার প্রজননক্ষেত্র সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করতে নিয়মিত আমাদের কার্যক্রম চলমান। তবে জনগণ সচেতন হলে এডিস মশা নির্মূল করা সম্ভব হবে।’
ডেঙ্গু আক্রান্ত হলে সিটি করপোরেশনকে তথ্য দেয়ার আহ্বান জানিয়ে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘ডেঙ্গু আক্রান্ত হলে সঙ্গে সঙ্গে ঠিকানাসহ বিস্তারিত তথ্য দিন। তথ্য দিলে আমরা আপনাদের শাস্তি দেব না। বরং আমরা তথ্য পেলে এডিস মশার প্রজননক্ষেত্র ধ্বংস করার ব্যবস্থা নেয়া সহজ হবে। এর ফলে আপনার পরিবারের সদস্যসহ ওই এলাকার বাসিন্দারা ডেঙ্গু থেকে রেহাই পাবেন।’
গণমাধ্যমকর্মীর প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, ‘সিটি করপোরেশন নিয়মিত ডেঙ্গুবিরোধী সচেতনতামূলক প্রচারণা চালাচ্ছে। ড্রোন ব্যবহার করে ছাদে জমে থাকা পানি ও মশার প্রজননক্ষেত্র খুঁজে বের করা হচ্ছে। বাসা-বাড়ি ও যেকোনো ভবনে এডিসের লার্ভা পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। নিয়মিত মামলা ও জরিমানা করা হবে।’
প্রচার অভিযানে ডিএনসিসি মেয়র ডেঙ্গু আক্রান্ত একজন রোগীর বাড়িসহ আশেপাশের কয়েকটি বাড়ির ছাদে পানি জমে আছি কিনা অত্যাধুনিক ড্রোনের মাধ্যমে কীভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে সেটি সশরীরে পরিদর্শন করেন। জনসচেতনতা বাড়াতে তিনি রোড শো তে অংশ নেন এবং জনগণের মাঝে সচেতনতামূলক মূলক লিফলেট বিতরণ করেন। প্রচার অভিযানে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রি. জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমান, উপ-প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা লে. কর্ণেল মো. গোলাম মোস্তফা সারওয়ার, মহাব্যবস্থাপক (পরিবহন) ড. মোহাম্মদ মাহে আলম, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী জিয়াউল বাসেত, ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. শফিকুল ইসলাম, সংরক্ষিত আসনের নারী কাউন্সিলর নিলুফার ইয়াসমিন ইতি এবং ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।