ঢাকা ১২:১২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫

বাল্য বিয়ে হলে কি-কি ক্ষতি হতে পারে তা আমি ক্লাব থেকে শিখেছি : কর্মজীবী শিশু শায়লা

  • আপডেট সময় : ১২:১২:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ৬৮ বার পড়া হয়েছে

নারী ও শিশু ডেস্ক : শায়লা, ১৫, (ছদ্মনাম) কর্মজীবী শিশু। দুই বছর আগে বাবা-মা শায়লার বিয়ে ঠিক করে। সে বিষয়টি বুঝতে পেরে ইউএনওকে জানায় এবং তার মাধ্যমে বিয়ে বন্ধ করে। শায়লা বলে, “১৮ বছরের আগে বিয়ে হলে কি-কি ক্ষতি হতে পারে তা আমি এ্যাডোলেসেন্ট ক্লাবে শিখেছি। তাই এখনই বিয়ে করতে চাই না। ক্লাবে এসব বিষয় না জানলে এতদিন হয়তো আমি সন্তানের মা হয়ে যেতাম। এজন্য আমি আমার ক্লাব নিয়ে গর্ববোধ করি।”
শায়লার মতো অনেক কিশোর-কিশোরী ক্লাবগুলোর মাধ্যমে নানাভাবে নিজেদের রক্ষা করছে। সচেতন হচ্ছে। এই ক্লাবগুলো কি বা এগুলো কিভাবে কাজ করে? সরকারের ‘এক্সিডেলিরেশন প্রটেকশন ফর চিলড্রেন (এপিসি)’ নামে একটি প্রকল্প ‘শিশুর সুরক্ষা’ বিষয়ে ইউনিসেফের সঙ্গে সারাদেশে ‘এ্যাডোলেসেন্ট ক্লাব’ নামে ২১০০ ক্লাব পরিচালনা করছে। কারা এ ক্লাবের সদস্য হতে পারবে জানতে চাইলে ইউনিসেফের শিশু সুরক্ষা বিশেষজ্ঞ মনিরা হাসান বলেন, “যাদের বয়স ৯ থেকে ১৯ বছর, সুবিধা বঞ্চিত, স্কুল থেকে ড্রপআউট কিংবা কখনোই স্কুলে যায়নি এবং যারা কর্মজীবী শিশুরা এ ক্লাবের সদস্য হতে পারে। তবে মা চালিত পরিবারের শিশুদের প্রাধান্য দেয়া হয়। একটি ক্লাবে ৩০ থেকে ৩৫ জন কিশোর-কিশোরী থাকে। এর মধ্যে শতকরা ৭০ ভাগ কিশোরী থাকতে হবে। তবে তাদেরকে শর্ত দেয়া হয় যে, তারা পড়ালেখা ছাড়তে পারবে না এবং ১৮ বছর বয়সের আগে বিয়ে করতে পারবে না।”
তিনি আরো বলেন, “এখানে তাদেরকে শেখানো হয় কিভাবে এইচআইভি হয়, পিরিয়ডের সময়গুলোতে কিভাবে তারা নিজের যতœ নেবে, ১৮ বছর আগে বিয়ে করলে তাদের কি ধরণের সমস্যা হতে পারে, কিভাবে রাস্তা পার হতে হয় এবং দোকানে যেতে হয়, বয়সন্ধীকালীন পরিবর্তনগুলো কিভাবে মোকাবেলা করবে কিংবা কোনো সমস্যা হলে বাবা-মা বা আমাদের বলবে, কেউ খারাপভাবে তাকালে, ইভটিজিংয়ের শিকার হলে তারা কি করবে বিষয়গুলোসহ এমনকি তাদেরকে সাঁতার, কম্পিউটার ইত্যাদি শেখানো হয়। তাদেরকে সেলাই, বিউটি পারলারসহ সরকারের যে ১৮টি ট্রেড প্রশিক্ষণ আছে সেগুলো শেখানো হয়, যাতে তারা চলার মতো আয় করতে পারে।”
করোনার সময়গুলো তারা কিভাবে মোকাবেলা করছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “ক্লাবগুলো বন্ধ থাকলেও অনলাইনে তা সক্রিয় রয়েছে। তাদেরকে হাত ধোয়া বা দূরত্ব মেনে চলা ছাড়াও সার্বিক বিষয়ে সচেতন করে তোলা হচ্ছে। যেমন, তারা যেন বাড়িতে একা না থাকে, এতে তাদের নিরাপত্তা বিঘিœত হতে পারে। কেননা শিশুরা বাড়িতে একা থাকলে সমস্যা হতে পারে। নানা কারণে এ সময় তাদের মানসিক স্ট্রেস হতে পারে। এজন্য ছোটখাট কাজে ব্যস্ত থাকতে বলা হয়। তাদেরকে বাড়ির আশে-পাশে শাক-সবজি লাগাতে বলছি। এমনকি বাড়িতে কেউ অসুস্থ্য হলে কোথায় ফোন করতে হবে ইত্যাদি শেখানো হচ্ছে।”
‘এপিসি’ প্রোগ্রামের মনিটরিং এন্ড ডকুমেন্টেশন অফিসার মাহবুব হোসেন বলেন, “এ বয়সের শিশু-কিশোরদের অনেক কথা বলার থাকে। যা নির্ভয়ে নির্ভরযোগ্য কাউকে বলা প্রয়োজন এবং এ বয়সে তাদের শেখার অনেক কিছু রয়েছে। এ ক্লাবের মাধ্যমে তাদের কথা শোনা হয় এবং কোনো সমস্যা হলে বা তারা বুঝতে না পারলে তাদেরকে সেগুলো বুঝিয়ে দেয়া হয়। এখানে লাইফ স্কিল বেসড এডুকেশনের মাধ্যমে জীবন দক্ষতা ও নৈতিকতা তাদের উপযোগী করে শেখানো হয়। এ বিষয়ে যারা অভিজ্ঞ তাদের মাধ্যমে আরো সমৃদ্ধ করে একটি কারিকুলাম যা ‘স্ট্যান্ডারাইজ অ্যাডোলেসেন্ট এম্পাওয়ারমেন্ট প্যাকেজ’ (এসএইপি) নামে পরিচিত সেটা সারাদেশের সকল কিশোর-কিশোরীদের ক্লাবে পড়ানোর পরিকল্পনা হচ্ছে।”
এপিসি’র প্রকল্প পরিচালক উপ-সচিব এস এম লতিফ বলেন, “ক্লাবের মাধ্যমে তারা বিভিন্ন বিষয়সহ নিজেদের বিষয়েও সচেতন হচ্ছে। বিভিন্ন হেল্পলাইন নাম্বারগুলোর বিষয়ে জানছে এবং তা ব্যবহার করছে। বাল্যবিবাহ বন্ধে উদ্যোগী হচ্ছে। বাড়ির পরিবেশের উন্নয়ন ঘটাচ্ছে।” এ নিয়ে সরকারের পরিকল্পনার বিষয়ে তিনি বলেন, “তারা ক্লাবগুলোতে যাওয়ায় পরিবার এবং সমাজ সুফল পাচ্ছে। কমিউনিটিগুলোর প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করছে। তাই সরকার ভাবছে, আগামিতে কমিউনিটিগুলোকে ক্লাবগুলো চালানোর দায়িত্ব দেয়া যায় কিনা।”
‘এপিসি’ প্রকল্পটি সুবিধাবঞ্চিতদের মাঝে কাজ করে। কিন্তু মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের আওতায় পুরোপুরি সরকারি উদ্যোগে মূলধারায় সারাদেশের প্রত্যেকটি ইউনিয়নের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪ হাজার ৮০০টি কিশোর-কিশোরীদের ক্লাব (কেকেসি) পরিচালিত হয়।
এ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক জয়ন্ত কুমার সিকদার বলেন, “এটি ২০১৮ সালে শুরু হয়। বিভিন্ন সামগ্রি ক্রয় এবং অন্যান্য কারণে ততটা অগ্রসর না হলেও বেশ জনপ্রিয় হয়। এর লক্ষ্য অনেক ভালো। এখানে শুক্র ও শনিবার দুই ঘণ্টা করে তাদেরকে বিভিন্ন বিষয়ে সচেতন করে তোলা (বাল্যবিবাহ, ইভটিজিং, মাদকাসক্তি, বয়ঃসন্ধিকালীন সমস্যা ইত্যাদি) এবং সংগীত ও কারাতে শেখানো হয়। এছাড়া কিশোরীদের স্যানিটারি ন্যাপকিন দেয়ার লক্ষ্যে স্থানীয় নারীদের মাধ্যমে তা তৈরি করে সরকার সেগুলো কিনে নিয়ে দুঃস্থ নারীদের যেমন সহায়তা করবেন তেমনি কিশোরীদের সেগুলো বিনামূল্যে বিতরণ করবেন। এ রকম কিছু লক্ষ্য নিয়ে ক্লাবগুলো কাজ করছিল। করোনার কারণে স্কুলগুলো বন্ধ থাকায় ক্লাবগুলোও বন্ধ রয়েছে। করোনার পরে তা অব্যাহত থাকবে।”
সরকার কিশোর-কিশোরীদের বিষয়ে যেভাবে চিন্তা করছেন তা সময়োপযোগী এবং কার্যকর। ইউনিয়ন পর্যায়ে যেভাবে ক্লাবগুলো পরিচালিত হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে এগিয়েছে তা সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করলে বাল্যবিবাহ, ইভটিজিং ও মাদকাসক্তি বিষয়ে তাদের মধ্যে সচেতনতা গড়ে উঠবে। সারা দেশে এ বিষয়ে নির্ধারিত কারিকুলাম অনুসরণ করার বিষয়ে যে সিদ্ধান্ত হয়েছে তা বাস্তবায়ন হলে অনেকে উপকৃত হবে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বাল্য বিয়ে হলে কি-কি ক্ষতি হতে পারে তা আমি ক্লাব থেকে শিখেছি : কর্মজীবী শিশু শায়লা

আপডেট সময় : ১২:১২:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২২

নারী ও শিশু ডেস্ক : শায়লা, ১৫, (ছদ্মনাম) কর্মজীবী শিশু। দুই বছর আগে বাবা-মা শায়লার বিয়ে ঠিক করে। সে বিষয়টি বুঝতে পেরে ইউএনওকে জানায় এবং তার মাধ্যমে বিয়ে বন্ধ করে। শায়লা বলে, “১৮ বছরের আগে বিয়ে হলে কি-কি ক্ষতি হতে পারে তা আমি এ্যাডোলেসেন্ট ক্লাবে শিখেছি। তাই এখনই বিয়ে করতে চাই না। ক্লাবে এসব বিষয় না জানলে এতদিন হয়তো আমি সন্তানের মা হয়ে যেতাম। এজন্য আমি আমার ক্লাব নিয়ে গর্ববোধ করি।”
শায়লার মতো অনেক কিশোর-কিশোরী ক্লাবগুলোর মাধ্যমে নানাভাবে নিজেদের রক্ষা করছে। সচেতন হচ্ছে। এই ক্লাবগুলো কি বা এগুলো কিভাবে কাজ করে? সরকারের ‘এক্সিডেলিরেশন প্রটেকশন ফর চিলড্রেন (এপিসি)’ নামে একটি প্রকল্প ‘শিশুর সুরক্ষা’ বিষয়ে ইউনিসেফের সঙ্গে সারাদেশে ‘এ্যাডোলেসেন্ট ক্লাব’ নামে ২১০০ ক্লাব পরিচালনা করছে। কারা এ ক্লাবের সদস্য হতে পারবে জানতে চাইলে ইউনিসেফের শিশু সুরক্ষা বিশেষজ্ঞ মনিরা হাসান বলেন, “যাদের বয়স ৯ থেকে ১৯ বছর, সুবিধা বঞ্চিত, স্কুল থেকে ড্রপআউট কিংবা কখনোই স্কুলে যায়নি এবং যারা কর্মজীবী শিশুরা এ ক্লাবের সদস্য হতে পারে। তবে মা চালিত পরিবারের শিশুদের প্রাধান্য দেয়া হয়। একটি ক্লাবে ৩০ থেকে ৩৫ জন কিশোর-কিশোরী থাকে। এর মধ্যে শতকরা ৭০ ভাগ কিশোরী থাকতে হবে। তবে তাদেরকে শর্ত দেয়া হয় যে, তারা পড়ালেখা ছাড়তে পারবে না এবং ১৮ বছর বয়সের আগে বিয়ে করতে পারবে না।”
তিনি আরো বলেন, “এখানে তাদেরকে শেখানো হয় কিভাবে এইচআইভি হয়, পিরিয়ডের সময়গুলোতে কিভাবে তারা নিজের যতœ নেবে, ১৮ বছর আগে বিয়ে করলে তাদের কি ধরণের সমস্যা হতে পারে, কিভাবে রাস্তা পার হতে হয় এবং দোকানে যেতে হয়, বয়সন্ধীকালীন পরিবর্তনগুলো কিভাবে মোকাবেলা করবে কিংবা কোনো সমস্যা হলে বাবা-মা বা আমাদের বলবে, কেউ খারাপভাবে তাকালে, ইভটিজিংয়ের শিকার হলে তারা কি করবে বিষয়গুলোসহ এমনকি তাদেরকে সাঁতার, কম্পিউটার ইত্যাদি শেখানো হয়। তাদেরকে সেলাই, বিউটি পারলারসহ সরকারের যে ১৮টি ট্রেড প্রশিক্ষণ আছে সেগুলো শেখানো হয়, যাতে তারা চলার মতো আয় করতে পারে।”
করোনার সময়গুলো তারা কিভাবে মোকাবেলা করছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “ক্লাবগুলো বন্ধ থাকলেও অনলাইনে তা সক্রিয় রয়েছে। তাদেরকে হাত ধোয়া বা দূরত্ব মেনে চলা ছাড়াও সার্বিক বিষয়ে সচেতন করে তোলা হচ্ছে। যেমন, তারা যেন বাড়িতে একা না থাকে, এতে তাদের নিরাপত্তা বিঘিœত হতে পারে। কেননা শিশুরা বাড়িতে একা থাকলে সমস্যা হতে পারে। নানা কারণে এ সময় তাদের মানসিক স্ট্রেস হতে পারে। এজন্য ছোটখাট কাজে ব্যস্ত থাকতে বলা হয়। তাদেরকে বাড়ির আশে-পাশে শাক-সবজি লাগাতে বলছি। এমনকি বাড়িতে কেউ অসুস্থ্য হলে কোথায় ফোন করতে হবে ইত্যাদি শেখানো হচ্ছে।”
‘এপিসি’ প্রোগ্রামের মনিটরিং এন্ড ডকুমেন্টেশন অফিসার মাহবুব হোসেন বলেন, “এ বয়সের শিশু-কিশোরদের অনেক কথা বলার থাকে। যা নির্ভয়ে নির্ভরযোগ্য কাউকে বলা প্রয়োজন এবং এ বয়সে তাদের শেখার অনেক কিছু রয়েছে। এ ক্লাবের মাধ্যমে তাদের কথা শোনা হয় এবং কোনো সমস্যা হলে বা তারা বুঝতে না পারলে তাদেরকে সেগুলো বুঝিয়ে দেয়া হয়। এখানে লাইফ স্কিল বেসড এডুকেশনের মাধ্যমে জীবন দক্ষতা ও নৈতিকতা তাদের উপযোগী করে শেখানো হয়। এ বিষয়ে যারা অভিজ্ঞ তাদের মাধ্যমে আরো সমৃদ্ধ করে একটি কারিকুলাম যা ‘স্ট্যান্ডারাইজ অ্যাডোলেসেন্ট এম্পাওয়ারমেন্ট প্যাকেজ’ (এসএইপি) নামে পরিচিত সেটা সারাদেশের সকল কিশোর-কিশোরীদের ক্লাবে পড়ানোর পরিকল্পনা হচ্ছে।”
এপিসি’র প্রকল্প পরিচালক উপ-সচিব এস এম লতিফ বলেন, “ক্লাবের মাধ্যমে তারা বিভিন্ন বিষয়সহ নিজেদের বিষয়েও সচেতন হচ্ছে। বিভিন্ন হেল্পলাইন নাম্বারগুলোর বিষয়ে জানছে এবং তা ব্যবহার করছে। বাল্যবিবাহ বন্ধে উদ্যোগী হচ্ছে। বাড়ির পরিবেশের উন্নয়ন ঘটাচ্ছে।” এ নিয়ে সরকারের পরিকল্পনার বিষয়ে তিনি বলেন, “তারা ক্লাবগুলোতে যাওয়ায় পরিবার এবং সমাজ সুফল পাচ্ছে। কমিউনিটিগুলোর প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করছে। তাই সরকার ভাবছে, আগামিতে কমিউনিটিগুলোকে ক্লাবগুলো চালানোর দায়িত্ব দেয়া যায় কিনা।”
‘এপিসি’ প্রকল্পটি সুবিধাবঞ্চিতদের মাঝে কাজ করে। কিন্তু মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের আওতায় পুরোপুরি সরকারি উদ্যোগে মূলধারায় সারাদেশের প্রত্যেকটি ইউনিয়নের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪ হাজার ৮০০টি কিশোর-কিশোরীদের ক্লাব (কেকেসি) পরিচালিত হয়।
এ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক জয়ন্ত কুমার সিকদার বলেন, “এটি ২০১৮ সালে শুরু হয়। বিভিন্ন সামগ্রি ক্রয় এবং অন্যান্য কারণে ততটা অগ্রসর না হলেও বেশ জনপ্রিয় হয়। এর লক্ষ্য অনেক ভালো। এখানে শুক্র ও শনিবার দুই ঘণ্টা করে তাদেরকে বিভিন্ন বিষয়ে সচেতন করে তোলা (বাল্যবিবাহ, ইভটিজিং, মাদকাসক্তি, বয়ঃসন্ধিকালীন সমস্যা ইত্যাদি) এবং সংগীত ও কারাতে শেখানো হয়। এছাড়া কিশোরীদের স্যানিটারি ন্যাপকিন দেয়ার লক্ষ্যে স্থানীয় নারীদের মাধ্যমে তা তৈরি করে সরকার সেগুলো কিনে নিয়ে দুঃস্থ নারীদের যেমন সহায়তা করবেন তেমনি কিশোরীদের সেগুলো বিনামূল্যে বিতরণ করবেন। এ রকম কিছু লক্ষ্য নিয়ে ক্লাবগুলো কাজ করছিল। করোনার কারণে স্কুলগুলো বন্ধ থাকায় ক্লাবগুলোও বন্ধ রয়েছে। করোনার পরে তা অব্যাহত থাকবে।”
সরকার কিশোর-কিশোরীদের বিষয়ে যেভাবে চিন্তা করছেন তা সময়োপযোগী এবং কার্যকর। ইউনিয়ন পর্যায়ে যেভাবে ক্লাবগুলো পরিচালিত হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে এগিয়েছে তা সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করলে বাল্যবিবাহ, ইভটিজিং ও মাদকাসক্তি বিষয়ে তাদের মধ্যে সচেতনতা গড়ে উঠবে। সারা দেশে এ বিষয়ে নির্ধারিত কারিকুলাম অনুসরণ করার বিষয়ে যে সিদ্ধান্ত হয়েছে তা বাস্তবায়ন হলে অনেকে উপকৃত হবে।