ঢাকা ০১:৩৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫

বার কাউন্সিল পরিচালনায় এডহক কমিটি

  • আপডেট সময় : ১২:৫৬:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ অগাস্ট ২০২১
  • ৭৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনাভাইরাসের কারণে নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন না করতে পারায় বাংলাদেশ বার কাউন্সিল পরিচালনার জন্য ১৫ সদস্যের এডহক কমিটি গঠন করেছে সরকার। বাংলাদেশ লিগ্যাল প্রাকটিশনার্স অ্যান্ড বার কাউন্সিল অর্ডার, ১৯৭২-এর ৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী এ কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে আইন মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘আজ এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল।’
আইন সচিব মো. গোলাম সারোয়ারের বরাত দিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ লিগ্যাল প্রাকটিশনার্স অ্যান্ড বার কাউন্সিল অর্ডার, ১৯৭২ এর অনুচ্ছেদ (৮) এর প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সরকার ১৫ সদস্যের সমন্বয়ে এই এডহক বার কাউন্সিল গঠন করে।
‘করোনাভাইরাসজনিত রোগ কোভিড-১৯ এর কারণে নির্ধারিত সময়ে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নির্বাচন অনুষ্ঠান করা সম্ভব না হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই এডহক বার কাউন্সিল গঠন করা হয়েছে।’
এই এডহক বার কাউন্সিলের মেয়াদ হবে আগামী বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত। এই কমিটি আগামী বছরের ৩১ মে বা তার আগে ‘বার কাউন্সিলের নির্বাচন’ সম্পন্ন করবে এবং নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত বার কাউন্সিলের ১ জুলাই থেকে দায়িত্ব গ্রহণ করার নির্দেশনা রয়েছে প্রকাশিত গেজেটে। পদাধিকার বলে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন এডহক বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান।
অন্য সদস্যরা হলেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, আব্দুল বাসেত মজুমদার, সৈয়দ রেজাউর রহমান, মোখলেছুর রহমান বাদল, এইচ এ এম জহিরুল ইসলাম খান (জেড আই খান পান্ন),শাহ মো. খাসরুজ্জামান, মো. কামরুল ইসলাম, ঢাকা আইনজীবী সমিতির কাজী নজীবুল্লাহ হিরু, চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির মুজিবুল হক, সিলেট আইনজীবী সমিতির এ এফ মো. রুহুল আনাম চৌধুরী মিন্টু, ময়মনসিংহ আইনজীবী সমিতির কবির উদ্দিন ভূঞা, খুলনা আইনজীবী সমিতির পারভেজ ইসলাম খান, রাজশাহী আইনজীবী সমিতির মো. ইয়াহিয়া ও সিরাজগঞ্জ আইনজীবী সমিতির মো. আব্দুর রহমান।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় জরুরি সভা করে গত ৩ এপ্রিল বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নির্বাচন স্থগিত করা হয়। এর আগে গত ১৮ মার্চ বার কাউন্সিল নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। তফসিল অনুযায়ী গত ২৫ মে নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। তফসিল অনুযায়ী গত ২৮ মার্চ থেকে মনোনয়নপত্র দাখিল শুরু হয়, ৪ এপ্রিল ছিল মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন। মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের তারিখ ছিল ১১ এপ্রিল। আর ১৫ এপ্রিল ছিল প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ। পদাধিকার বলে বার কাউন্সিলের কার্যনির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান হন রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অর্থাৎ বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল। তাকে নিয়ে ১৫ সদস্যের কার্যনির্বাহী কমিটি বার কাউন্সিলের। ভোটের মাধ্যমে দেশের প্রায় অর্ধলক্ষ সনদপ্রাপ্ত আইনজীবী তিন বছরের জন্য ১৪ জন প্রতিনিধি নির্বাচন করেন। তার মধ্যে সাধারণ আসনে সাতজন ও দেশের সাতটি অঞ্চল থেকে বাকি সাতজনকে নির্বাচন করা হয়। নির্বাচিত সদস্যরা তাদের মধ্য থেকে একজনকে ভাইস চেয়ারম্যান মনোনীত করেন।
২০১৮ সালের বার কাউন্সিল নির্বাচনে ১৪ সদস্যের নির্বাহী কমিটিতে সরকার সমর্থক বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের প্রার্থীরা ১২টি পদে এবং বিএনপি সমর্থক আইনজীবীরা দুটি পদে বিজয়ী হন।
পরে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের আহ্বায়ক ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন ভাইস চেয়ারম্যান মনোনীত হন। বার কাউন্সিলের বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হয় জুন মাসে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বার কাউন্সিল পরিচালনায় এডহক কমিটি

আপডেট সময় : ১২:৫৬:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ অগাস্ট ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনাভাইরাসের কারণে নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন না করতে পারায় বাংলাদেশ বার কাউন্সিল পরিচালনার জন্য ১৫ সদস্যের এডহক কমিটি গঠন করেছে সরকার। বাংলাদেশ লিগ্যাল প্রাকটিশনার্স অ্যান্ড বার কাউন্সিল অর্ডার, ১৯৭২-এর ৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী এ কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে আইন মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘আজ এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল।’
আইন সচিব মো. গোলাম সারোয়ারের বরাত দিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ লিগ্যাল প্রাকটিশনার্স অ্যান্ড বার কাউন্সিল অর্ডার, ১৯৭২ এর অনুচ্ছেদ (৮) এর প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সরকার ১৫ সদস্যের সমন্বয়ে এই এডহক বার কাউন্সিল গঠন করে।
‘করোনাভাইরাসজনিত রোগ কোভিড-১৯ এর কারণে নির্ধারিত সময়ে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নির্বাচন অনুষ্ঠান করা সম্ভব না হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই এডহক বার কাউন্সিল গঠন করা হয়েছে।’
এই এডহক বার কাউন্সিলের মেয়াদ হবে আগামী বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত। এই কমিটি আগামী বছরের ৩১ মে বা তার আগে ‘বার কাউন্সিলের নির্বাচন’ সম্পন্ন করবে এবং নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত বার কাউন্সিলের ১ জুলাই থেকে দায়িত্ব গ্রহণ করার নির্দেশনা রয়েছে প্রকাশিত গেজেটে। পদাধিকার বলে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন এডহক বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান।
অন্য সদস্যরা হলেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, আব্দুল বাসেত মজুমদার, সৈয়দ রেজাউর রহমান, মোখলেছুর রহমান বাদল, এইচ এ এম জহিরুল ইসলাম খান (জেড আই খান পান্ন),শাহ মো. খাসরুজ্জামান, মো. কামরুল ইসলাম, ঢাকা আইনজীবী সমিতির কাজী নজীবুল্লাহ হিরু, চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির মুজিবুল হক, সিলেট আইনজীবী সমিতির এ এফ মো. রুহুল আনাম চৌধুরী মিন্টু, ময়মনসিংহ আইনজীবী সমিতির কবির উদ্দিন ভূঞা, খুলনা আইনজীবী সমিতির পারভেজ ইসলাম খান, রাজশাহী আইনজীবী সমিতির মো. ইয়াহিয়া ও সিরাজগঞ্জ আইনজীবী সমিতির মো. আব্দুর রহমান।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় জরুরি সভা করে গত ৩ এপ্রিল বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নির্বাচন স্থগিত করা হয়। এর আগে গত ১৮ মার্চ বার কাউন্সিল নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। তফসিল অনুযায়ী গত ২৫ মে নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। তফসিল অনুযায়ী গত ২৮ মার্চ থেকে মনোনয়নপত্র দাখিল শুরু হয়, ৪ এপ্রিল ছিল মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন। মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের তারিখ ছিল ১১ এপ্রিল। আর ১৫ এপ্রিল ছিল প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ। পদাধিকার বলে বার কাউন্সিলের কার্যনির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান হন রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অর্থাৎ বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল। তাকে নিয়ে ১৫ সদস্যের কার্যনির্বাহী কমিটি বার কাউন্সিলের। ভোটের মাধ্যমে দেশের প্রায় অর্ধলক্ষ সনদপ্রাপ্ত আইনজীবী তিন বছরের জন্য ১৪ জন প্রতিনিধি নির্বাচন করেন। তার মধ্যে সাধারণ আসনে সাতজন ও দেশের সাতটি অঞ্চল থেকে বাকি সাতজনকে নির্বাচন করা হয়। নির্বাচিত সদস্যরা তাদের মধ্য থেকে একজনকে ভাইস চেয়ারম্যান মনোনীত করেন।
২০১৮ সালের বার কাউন্সিল নির্বাচনে ১৪ সদস্যের নির্বাহী কমিটিতে সরকার সমর্থক বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের প্রার্থীরা ১২টি পদে এবং বিএনপি সমর্থক আইনজীবীরা দুটি পদে বিজয়ী হন।
পরে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের আহ্বায়ক ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন ভাইস চেয়ারম্যান মনোনীত হন। বার কাউন্সিলের বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হয় জুন মাসে।