আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের রাজধানী দিল্লিতে বায়ুদূষণ সাময়িকভাবে কমাতে কৃত্রিমভাবে বৃষ্টির উদ্যোগ ভেস্তে গেছে। মঙ্গলবার(২৮ অক্টোবর) ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (আইআইটি) কানপুর ক্লাউড সিডিং-এর যে পরীক্ষা চালিয়েছিল, তা পুরোপুরি সফল হয়নি বলে জানিয়েছেন আইআইটি কানপুরের পরিচালক মনীন্দ্র আগরওয়াল।
তিনি বলেন, মেঘে পর্যাপ্ত আর্দ্রতা না থাকায় বৃষ্টি ঘটানো সম্ভব হয়নি। তবে এটি কোনো যাদুকরী সমাধান নয়, বরং দূষণ কমাতে একটি জরুরি বিকল্প পদক্ষেপ।
আগরওয়াল এনডিটিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানান, দিল্লি সরকারের সঙ্গে অংশীদারিত্বে এই পরীক্ষাটি পরিচালনা করছে আইআইটি কানপুর এবং বুধবার আবারও ক্লাউড সিডিং-এর চেষ্টা করা হবে।
তিনি বলেন, আমাদের ব্যবহৃত মিশ্রণে ২০ শতাংশ রুপার আয়োডাইড এবং বাকিটা সাধারণ লবণ ও পাথরের লবণের সংমিশ্রণ। আজ ১৪টি ফ্লেয়ার ছোড়া হয়েছে। কিন্তু বৃষ্টি হয়নি। কারণ মেঘের আর্দ্রতা মাত্র ১৫-২০ শতাংশ ছিল। এই পরিস্থিতিতে বৃষ্টি হওয়া খুবই কঠিন।
আগরওয়াল আরো বলেন, বিভিন্ন আবহাওয়া সংস্থার পূর্বাভাসও পরস্পরবিরোধী ছিল। কেউ বলেছিল বৃষ্টি হবে, কেউ বলেছিল হবে না। কিন্তু আমাদের দলের পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে—আজকের মেঘস্তর খুব শুকনো ছিল। তাই আজ বৃষ্টির সম্ভাবনা প্রায় নেই।
তিনি জানান, বুধবার আরো দুইটি ফ্লাইট ক্লাউড সিডিং-এর জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে, এবং পরবর্তীতে যখনই উপযুক্ত মেঘস্তর পাওয়া যাবে, তখন এই কার্যক্রম চালানো হবে।
দিল্লির দীর্ঘমেয়াদি দূষণ সমস্যার সমাধান হিসেবে ক্লাউড সিডংকে দেখা উচিত কিনা—এমন প্রশ্নে আইআইটি পরিচালক স্পষ্টভাবেই বলেন, এটি কোনো স্থায়ী সমাধান নয়। এটি একটি জরুরি পরিস্থিতির পদক্ষেপ, যখন দূষণ ভয়াবহ মাত্রায় পৌঁছে যায়। স্থায়ী সমাধান হলো দূষণের উৎস নিয়ন্ত্রণ করা।
তিনি আরো জানান, বর্তমানে ব্যয় বেশি কারণ বিমানগুলো উত্তরপ্রদেশ থেকে উড়ানো হচ্ছে, তবে ভবিষ্যতে খরচ কমানো সম্ভব।
এসি/আপ্র/২৯/১০/২০২৫























