ঢাকা ০৯:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫

বাবা ছিলেন ভারতের প্রধান বিচারপতি, ছেলেও হলেন

  • আপডেট সময় : ০২:৫৩:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ নভেম্বর ২০২২
  • ৯৪ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : ভারতের সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি হলেন ধনঞ্জয় যশবন্ত (ডি ওয়াই) চন্দ্রচূড়। ৫০তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে আজ বুধবার সকালে তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করালেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। আগামী দুই বছর তিনি প্রধান বিচারপতি থাকবেন। তাঁর মেয়াদ ২০২৪ সালের ১০ নভেম্বর পর্যন্ত। ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বাবা ওয়াই ভি চন্দ্রচূড়ও সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ছিলেন। ১৯৭৮ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত টানা সাত বছর তিনি প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পালন করেছিলেন। পিতা ও পুত্রের দেশের প্রধান বিচারপতি হওয়ার এমন নজির ভারতে আর নেই। পিতার দেওয়া দুটি রায়ও ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় খ-ন করেছিলেন। বলেছিলেন, বাবার দেওয়া রায়ে গুরুতর ত্রুটি ছিল। ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের ইতিহাসে এটাও নজিরবিহীন ঘটনা।
রামের জন্মভূমি–বাবরি মসজিদ মামলায় সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক রায়ের অংশীদার ছিলেন ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ২০১৯ সালের ৯ নভেম্বর সর্বসম্মতিক্রমে সুপ্রিম কোর্ট ওই মামলার রায় দিয়েছিলেন। আধার মামলার রায়দানকারী বেঞ্চের সদস্যও ছিলেন তিনি। সেই মামলার রায়ে চন্দ্রচূড় বলেছিলেন, সব তথ্যভান্ডারের সঙ্গে আধারকে বাধ্যতামূলকভাবে যুক্ত করা হলে, তাতে ব্যক্তি অধিকার খর্ব হতে পারে। সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অপব্যবহার নিয়েও কঠোর মনোভাব গ্রহণ করেছিলেন বিচারপতি চন্দ্রচূড়। বলেছিলেন, জন–অসন্তোষ চাপা দিতে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অপব্যবহার অনুচিত। সাংবিধানিক মর্যাদা রক্ষায় বিচারপতি চন্দ্রচূড় বরাবরই সচেষ্ট থেকেছেন। একবার তিনি মন্তব্য করেছিলেন, খাদ্যাভ্যাসের জন্য পিটিয়ে খুন অথবা কার্টুন আঁকার অপরাধে কার্টুনিস্টকে কারাবাস করতে হলে কিংবা ধর্মীয় বিষয়ে মন্তব্যের জন্য ব্লগারের জেল হলে সংবিধান লঙ্ঘিত হয়, অসম্মানিত হয়।
২০১৭ সালে বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেছিলেন, জীবন ও ব্যক্তিস্বাধীনতা মৌলিক অধিকারের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। এর পূর্ণ দখল কোনো সভ্য দেশ নিতে পারে না। এই অধিকার রাষ্ট্রীয় উপহারও নয়। লিঙ্গবৈষম্যের বিরুদ্ধেও তিনি সব সময় দৃঢ় মত পোষণ করেছেন।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পেশা বদলাচ্ছেন শিক্ষকরা

বাবা ছিলেন ভারতের প্রধান বিচারপতি, ছেলেও হলেন

আপডেট সময় : ০২:৫৩:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ নভেম্বর ২০২২

প্রত্যাশা ডেস্ক : ভারতের সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি হলেন ধনঞ্জয় যশবন্ত (ডি ওয়াই) চন্দ্রচূড়। ৫০তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে আজ বুধবার সকালে তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করালেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। আগামী দুই বছর তিনি প্রধান বিচারপতি থাকবেন। তাঁর মেয়াদ ২০২৪ সালের ১০ নভেম্বর পর্যন্ত। ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বাবা ওয়াই ভি চন্দ্রচূড়ও সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ছিলেন। ১৯৭৮ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত টানা সাত বছর তিনি প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পালন করেছিলেন। পিতা ও পুত্রের দেশের প্রধান বিচারপতি হওয়ার এমন নজির ভারতে আর নেই। পিতার দেওয়া দুটি রায়ও ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় খ-ন করেছিলেন। বলেছিলেন, বাবার দেওয়া রায়ে গুরুতর ত্রুটি ছিল। ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের ইতিহাসে এটাও নজিরবিহীন ঘটনা।
রামের জন্মভূমি–বাবরি মসজিদ মামলায় সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক রায়ের অংশীদার ছিলেন ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ২০১৯ সালের ৯ নভেম্বর সর্বসম্মতিক্রমে সুপ্রিম কোর্ট ওই মামলার রায় দিয়েছিলেন। আধার মামলার রায়দানকারী বেঞ্চের সদস্যও ছিলেন তিনি। সেই মামলার রায়ে চন্দ্রচূড় বলেছিলেন, সব তথ্যভান্ডারের সঙ্গে আধারকে বাধ্যতামূলকভাবে যুক্ত করা হলে, তাতে ব্যক্তি অধিকার খর্ব হতে পারে। সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অপব্যবহার নিয়েও কঠোর মনোভাব গ্রহণ করেছিলেন বিচারপতি চন্দ্রচূড়। বলেছিলেন, জন–অসন্তোষ চাপা দিতে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অপব্যবহার অনুচিত। সাংবিধানিক মর্যাদা রক্ষায় বিচারপতি চন্দ্রচূড় বরাবরই সচেষ্ট থেকেছেন। একবার তিনি মন্তব্য করেছিলেন, খাদ্যাভ্যাসের জন্য পিটিয়ে খুন অথবা কার্টুন আঁকার অপরাধে কার্টুনিস্টকে কারাবাস করতে হলে কিংবা ধর্মীয় বিষয়ে মন্তব্যের জন্য ব্লগারের জেল হলে সংবিধান লঙ্ঘিত হয়, অসম্মানিত হয়।
২০১৭ সালে বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেছিলেন, জীবন ও ব্যক্তিস্বাধীনতা মৌলিক অধিকারের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। এর পূর্ণ দখল কোনো সভ্য দেশ নিতে পারে না। এই অধিকার রাষ্ট্রীয় উপহারও নয়। লিঙ্গবৈষম্যের বিরুদ্ধেও তিনি সব সময় দৃঢ় মত পোষণ করেছেন।