ঢাকা ০৪:৫৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫

বাবা আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা, ছেলে ছাত্রদলের সভাপতি

  • আপডেট সময় : ১২:৫৩:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ এপ্রিল ২০২২
  • ৭৬ বার পড়া হয়েছে

যশোর প্রতিনিধি : যশোরে উপজেলা পর্যায়ের এক আওয়ামী লীগ নেতার ছেলে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা নির্বাচিত হয়েছেন। গত রোববার বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের আংশিক কমিটি গঠন এবং এতে কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ সভাপতি ও সাইফ মাহমুদ জুয়েল সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন বলে জানানো হয়। শ্রাবণ জেলার কেশবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী রফিকুল ইসলামের ছেলে। ছাত্রজীবন থেকে ছাত্রদলের রাজনীতিতে জড়িত শ্রাবণের তিন ভাইও আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা।
স্বজনরা বলছেন, শ্রাবণ বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার কারণে ১৫ বছর ধরে পরিবারের সঙ্গে তার কোন সম্পর্ক নেই। শ্রাবণের কারণেই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তার বাবা রফিকুল ইসলাম আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাননি বলেও অভিযোগ তাদের। রফিকুল আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান পদে জয় পান। এদিকে শ্রাবণের ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতা নির্বাচিত হওয়ার খবরে তাকে নিয়ে আলোচনা সমালোচনা চলছে পুরো কেশবপুরে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের পদে রয়েছেন শ্রাবণের বড় ভাই কাজী মুস্তাফিজুর রহমান। ভাই বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা নির্বাচিত হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “শ্রাবণ ছাত্রদল নেতা হওয়ায় সর্বশেষ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আমার বাবা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাননি। এজন্য তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে বিজয়ী হয়েছেন। আমরা পাঁচ ভাই ও এক বোন। সবার ছোট শ্রাবণ। মেধাবী ছাত্র। ছাত্রজীবন থেকে ছাত্রদলের রাজনীতিতে জড়িত।”
শ্রাবণের মেজ ভাই কাজী মুজাহিদুল ইসলাম পান্না উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক। আর সেজ ভাই কাজী আজাহারুল ইসলাম মানিক উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক। মোস্তাফিজুর রহমানের দাবি, রাজনীতির কারণে ১৫ বছর ধরে তাদের সঙ্গে শ্রাবণের সম্পর্ক নেই। তার ভাই সংসদ নির্বাচনে এলাকায় এসেছিল ধানের শীষের প্রার্থীর পক্ষে ভোট করতে। কিন্তু বাড়ি আসেনি। শ্রাবণের সঙ্গে কেশবপুর পাইলট হাইস্কুল ও কেশবপুর ডিগ্রি কলেজের গ-ি পেরোনো উৎপল দে বলেন, এইচএসসি পাশ করা পর্যন্ত শ্রাবণ রাজনীতি করত না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয়ে পড়াকালীন সময়ে সে ছাত্রদলের রাজনীতিতে যুক্ত হয়। এদিকে শ্রাবণ ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় খবরে রোববার রাতে মিষ্টি বিতরণের সময় স্থানীয় নেতাকর্মীদের ছাত্রলীগ বাধা দেয় বলে অভিযোগ উঠেছে। কেশবপুর উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আজিজুর রহমান আজিজ বলেন, “কেশবপুরের কৃতী সন্তান শ্রাবণ সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার খবরে সন্ধ্যায় বিএনপির দলীয় পার্টি অফিসে মিষ্টি বিতরণ করা হয়। এ সময় ছাত্রলীগ তাতে বাধা দেয়।” অভিযোগের বিষয়ে কেশবপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান খান মুকুলের ভাষ্য, “ছাত্রদল নেতাকর্মীরা আনন্দ মিছিলের নামে রাস্তায় নেমে উত্তেজনা সৃষ্টি করে সরকার বিরোধী স্লোগান দিচ্ছিল। তাই তাদের প্রতিহত করতে বাধ্য হয়েছি।”

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

‘ক্ষমতায় থাকতে’ ইউনূস মৌলবাদীদের ‘একখানে করেছেন’: গয়েশ্বর

বাবা আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা, ছেলে ছাত্রদলের সভাপতি

আপডেট সময় : ১২:৫৩:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ এপ্রিল ২০২২

যশোর প্রতিনিধি : যশোরে উপজেলা পর্যায়ের এক আওয়ামী লীগ নেতার ছেলে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা নির্বাচিত হয়েছেন। গত রোববার বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের আংশিক কমিটি গঠন এবং এতে কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ সভাপতি ও সাইফ মাহমুদ জুয়েল সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন বলে জানানো হয়। শ্রাবণ জেলার কেশবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী রফিকুল ইসলামের ছেলে। ছাত্রজীবন থেকে ছাত্রদলের রাজনীতিতে জড়িত শ্রাবণের তিন ভাইও আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা।
স্বজনরা বলছেন, শ্রাবণ বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার কারণে ১৫ বছর ধরে পরিবারের সঙ্গে তার কোন সম্পর্ক নেই। শ্রাবণের কারণেই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তার বাবা রফিকুল ইসলাম আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাননি বলেও অভিযোগ তাদের। রফিকুল আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান পদে জয় পান। এদিকে শ্রাবণের ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতা নির্বাচিত হওয়ার খবরে তাকে নিয়ে আলোচনা সমালোচনা চলছে পুরো কেশবপুরে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের পদে রয়েছেন শ্রাবণের বড় ভাই কাজী মুস্তাফিজুর রহমান। ভাই বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা নির্বাচিত হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “শ্রাবণ ছাত্রদল নেতা হওয়ায় সর্বশেষ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আমার বাবা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাননি। এজন্য তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে বিজয়ী হয়েছেন। আমরা পাঁচ ভাই ও এক বোন। সবার ছোট শ্রাবণ। মেধাবী ছাত্র। ছাত্রজীবন থেকে ছাত্রদলের রাজনীতিতে জড়িত।”
শ্রাবণের মেজ ভাই কাজী মুজাহিদুল ইসলাম পান্না উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক। আর সেজ ভাই কাজী আজাহারুল ইসলাম মানিক উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক। মোস্তাফিজুর রহমানের দাবি, রাজনীতির কারণে ১৫ বছর ধরে তাদের সঙ্গে শ্রাবণের সম্পর্ক নেই। তার ভাই সংসদ নির্বাচনে এলাকায় এসেছিল ধানের শীষের প্রার্থীর পক্ষে ভোট করতে। কিন্তু বাড়ি আসেনি। শ্রাবণের সঙ্গে কেশবপুর পাইলট হাইস্কুল ও কেশবপুর ডিগ্রি কলেজের গ-ি পেরোনো উৎপল দে বলেন, এইচএসসি পাশ করা পর্যন্ত শ্রাবণ রাজনীতি করত না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয়ে পড়াকালীন সময়ে সে ছাত্রদলের রাজনীতিতে যুক্ত হয়। এদিকে শ্রাবণ ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় খবরে রোববার রাতে মিষ্টি বিতরণের সময় স্থানীয় নেতাকর্মীদের ছাত্রলীগ বাধা দেয় বলে অভিযোগ উঠেছে। কেশবপুর উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আজিজুর রহমান আজিজ বলেন, “কেশবপুরের কৃতী সন্তান শ্রাবণ সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার খবরে সন্ধ্যায় বিএনপির দলীয় পার্টি অফিসে মিষ্টি বিতরণ করা হয়। এ সময় ছাত্রলীগ তাতে বাধা দেয়।” অভিযোগের বিষয়ে কেশবপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান খান মুকুলের ভাষ্য, “ছাত্রদল নেতাকর্মীরা আনন্দ মিছিলের নামে রাস্তায় নেমে উত্তেজনা সৃষ্টি করে সরকার বিরোধী স্লোগান দিচ্ছিল। তাই তাদের প্রতিহত করতে বাধ্য হয়েছি।”