স্বাস্থ্য ও পরিচর্যা ডেস্ক: বাবার হাতে দুই শিশু সন্তান খুন ও বাবার আত্মহত্যার চেষ্টার আলোচিত বিষয়টির মনস্তাত্বিক দিক থেকে ব্যাখ্যা করেছেন দুইজন মনোবিজ্ঞানী। তারা বলছেন, হতাশা থেকে মানুষ আত্মহত্যা করে। আর সেটি আরও চরম পর্যায়ে গেলে দুই সন্তানকে হত্যার পর আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে পারেন ওই বাবা।
গত শনিবার সকালে রাজধানীর মিরপুরে পল্লবীতে একটি বসত ঘর থেকে দুই শিশুর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। আর বাবাকেও গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে, তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। শ্বাসনালি কেটে গেছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
সাত বছর বয়সের রোহান এবং তিন বছরের মুছাকে গলা কেটে হতার ঘটনা নাড়া দিয়েছে নাড়া দিয়েছে অনেক মানুষকে। কেন এমন নৃশংসতা- তা নিয়ে একজন মনোস্বাস্থ্য চিকিৎসক এবং একজন মনোবিজ্ঞানীর সঙ্গে কথা বলেছে বাংলানিউজ।
জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের শিশু মনোরোগ বিভাগের অধ্যাপক ডা. হেলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, মানুষ প্রচণ্ড হতাশা থেকে আত্মহত্যা করে। প্রথম দুটি ঘটনা (দুই সন্তানকে গলা কেটে হত্যা) খুন। পরবর্তী ঘটনাটি আত্মহত্যা (আত্মহত্যার চেষ্টা)। প্রচণ্ড মানসিক সমস্যা থেকে এমনটা হতে পারে। মানসিক স্বাথ্যের যত্নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
ডা. হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে হবে। মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যা হলে হেলাফেলা না করে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। এটা নিয়ে হাসাহাসি করা যাবে না। আগে থেকে যদি ওই বাবার মানসিক অস্থাটা জানা যেত তাহলে হয়তো এমন ঘটনা এড়ানো যেত।’ ঢাকার বুকে নানান চাপের মধ্যে থেকে কীভাবে জীবন যাপিত করা যায়- তা নিয়ে তিনি বলেন, মানসিক চাপ দূর করে নয়, ম্যানেজ করেই চলতে হবে।
পল্লবীতে দুই সন্তানকে হত্যা করে বাবার আত্মহত্যার চেষ্টার আগের দিন রাজধানীর আজিমপুরে বাসায় লুটপাট করে সাত মাসের এক শিশুকে অপহরণের ঘটনা ঘটে।
সামাজিক অস্থিরতা থেকে এমন সব ঘটনা ঘটছে বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আয়েশা মাহমুদা। তিনি বলেন, সামাজিক অস্থিরতা এবং ধর্মীয় অনুশাসনের অভাব, নৈতিকতার বিকাশ নেই। এগুলো সমাজের জন্য অত্যন্ত জরুরি। এগুলোর চর্চা করতে হবে।
বাবার হাতে খুন: কী বলছেন মনোবিজ্ঞানী-চিকিৎসক?
জনপ্রিয় সংবাদ