ঢাকা ০১:২০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫

বাবার মামলা খারিজ, জাপানি দুই শিশুর অভিভাবক মা

  • আপডেট সময় : ০১:৪৫:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৩
  • ৯৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশি বাবার জাপানি দুই শিশু জেসমিন মালিকা (১২) ও লাইলা লিনার (১১) অভিভাবক হিসেবে মা নাকানো এরিকোকেই চুড়ান্ত ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন আদালত। এখন দুই শিশুকে জাপানে নিয়ে যেতে বাধা নেই মা নাকানো এরিকোর। এছাড়া বাবা ইমরান শরীফের করা মামলা খারিজ করেছে আদালত।
ঢাকার ১২ নম্বর পারিবারিক আদালতের বিচারক দুরদানা রহমান গতকাল রোববার এই রায় ঘোষণা করেন। আদালতে নাকানো এরিকো ও ইমরান শরীফ দুজনই উপস্থিত ছিলেন। এর আগে ২২ জানুয়ারি উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে ২৯ জানুয়ারি রায়ের তারিখ রাখেন। ওই দিন এরিকোর পক্ষে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির আর বাবা ইমরানের পক্ষে অ্যাডভোকেট নাসিমা আক্তার শুনানিতে অংশ নেন। জাপানি চিকিৎসক নাকানো এরিকোর সঙ্গে বাংলাদেশি প্রকৌশলী ইমরান শরীফের বিয়ে হয় ২০০৮ সালে। দাম্পত্য কলহের জেরে ২০২০ সালের শুরুতে বিচ্ছেদের আবেদন করেন এরিকো। এরপর ইমরান স্কুলপড়ুয়া বড় দুই মেয়েকে নিয়ে বাংলাদেশে চলে আসেন। ছোট মেয়ে জাপানে এরিকোর সঙ্গে থেকে যান। মেয়েদের জিম্মা পেতে করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে গতবছর জুলাই মাসে বাংলাদেশে আসেন এই জাপানি নারী। তিনি হাইকোর্টে রিট আবেদন করলে তাদের সমঝোতায় আসতে বলেন বিচারক। কিন্তু ওই দম্পতি সমঝোতায় না আসায় কয়েক মাস ধরে শুনানির পর হাই কোর্ট দুই সন্তানকে বাবার হেফাজতে রাখার সিদ্ধান্ত দেয়। পাশাপাশি মা যাতে সন্তানদের সঙ্গে দেখা করতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে বাবাকে খরচ দিতে বলা হয়। হাই কোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন শিশুদের মা নাকানো এরিকো। পরে আপিল বিভাগ এক আদেশে শিশু দুটিকে মায়ের জিম্মায় রাখার নির্দেশ দিলেও বাবা তা না মানায় বিচারকরা উষ্মা প্রকাশ করেন। পরে আদালত শিশু দুটিকে বাবার হেফাজত থেকে এনে তাদের সঙ্গে কথা বলে এবং পরে মায়ের হেফাজতে দেওয়ার আদেশ দেন। এরপর গত বছর ১৩ ফেব্রুয়ারি দুই মেয়ে কার জিম্মায় থাকবে, তার নিষ্পত্তি হবে পারিবারিক আদালতে হবে এবং তার আগ পর্যন্ত দুই শিশু তাদের মায়ের কাছেই থাকবে বলে সিদ্ধান্ত দেয় আপিল বিভাগ। এরপর আপিল বিভাগ থেকে মামলাটি পারিবারিক আদালতে আসে।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বার্ন ইউনিটে ৩৩ জন ভর্তি, ৩ জনের অবস্থা সংকটাপন্ন

বাবার মামলা খারিজ, জাপানি দুই শিশুর অভিভাবক মা

আপডেট সময় : ০১:৪৫:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশি বাবার জাপানি দুই শিশু জেসমিন মালিকা (১২) ও লাইলা লিনার (১১) অভিভাবক হিসেবে মা নাকানো এরিকোকেই চুড়ান্ত ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন আদালত। এখন দুই শিশুকে জাপানে নিয়ে যেতে বাধা নেই মা নাকানো এরিকোর। এছাড়া বাবা ইমরান শরীফের করা মামলা খারিজ করেছে আদালত।
ঢাকার ১২ নম্বর পারিবারিক আদালতের বিচারক দুরদানা রহমান গতকাল রোববার এই রায় ঘোষণা করেন। আদালতে নাকানো এরিকো ও ইমরান শরীফ দুজনই উপস্থিত ছিলেন। এর আগে ২২ জানুয়ারি উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে ২৯ জানুয়ারি রায়ের তারিখ রাখেন। ওই দিন এরিকোর পক্ষে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির আর বাবা ইমরানের পক্ষে অ্যাডভোকেট নাসিমা আক্তার শুনানিতে অংশ নেন। জাপানি চিকিৎসক নাকানো এরিকোর সঙ্গে বাংলাদেশি প্রকৌশলী ইমরান শরীফের বিয়ে হয় ২০০৮ সালে। দাম্পত্য কলহের জেরে ২০২০ সালের শুরুতে বিচ্ছেদের আবেদন করেন এরিকো। এরপর ইমরান স্কুলপড়ুয়া বড় দুই মেয়েকে নিয়ে বাংলাদেশে চলে আসেন। ছোট মেয়ে জাপানে এরিকোর সঙ্গে থেকে যান। মেয়েদের জিম্মা পেতে করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে গতবছর জুলাই মাসে বাংলাদেশে আসেন এই জাপানি নারী। তিনি হাইকোর্টে রিট আবেদন করলে তাদের সমঝোতায় আসতে বলেন বিচারক। কিন্তু ওই দম্পতি সমঝোতায় না আসায় কয়েক মাস ধরে শুনানির পর হাই কোর্ট দুই সন্তানকে বাবার হেফাজতে রাখার সিদ্ধান্ত দেয়। পাশাপাশি মা যাতে সন্তানদের সঙ্গে দেখা করতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে বাবাকে খরচ দিতে বলা হয়। হাই কোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন শিশুদের মা নাকানো এরিকো। পরে আপিল বিভাগ এক আদেশে শিশু দুটিকে মায়ের জিম্মায় রাখার নির্দেশ দিলেও বাবা তা না মানায় বিচারকরা উষ্মা প্রকাশ করেন। পরে আদালত শিশু দুটিকে বাবার হেফাজত থেকে এনে তাদের সঙ্গে কথা বলে এবং পরে মায়ের হেফাজতে দেওয়ার আদেশ দেন। এরপর গত বছর ১৩ ফেব্রুয়ারি দুই মেয়ে কার জিম্মায় থাকবে, তার নিষ্পত্তি হবে পারিবারিক আদালতে হবে এবং তার আগ পর্যন্ত দুই শিশু তাদের মায়ের কাছেই থাকবে বলে সিদ্ধান্ত দেয় আপিল বিভাগ। এরপর আপিল বিভাগ থেকে মামলাটি পারিবারিক আদালতে আসে।