বিনোদন ডেস্ক : গানের মানুষ বাপ্পি লাহিড়ী। ‘ডিস্কো কিং’খ্যাত এই শিল্পীর গোল্ড লাভার হিসেবেও খ্যাতি ছিল। স্বর্ণের প্রতি বাপ্পি লাহিড়ীর অনুরাগের কথা সবার জানা। বাপ্পি লাহিড়ী মানে জমকালো পোশাক, চোখে রোদচশমা ও গলায় গোছা গোছা সোনার হার আর হাতে আংটি। তার সংগ্রহে ছিল—সোনার ব্রেসলেট, লকেট, চায়ের কাপ, জুতা, ঘড়ি, টুপি।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি না ফেরার দেশে চলে যান বাপ্পি লাহিড়ী। কিন্তু অনেকের মনেই প্রশ্ন বাপ্পি লাহিড়ীর এসব সোনার গহনা কী করেছে তার পরিবার। এ বিষয়ে বাপ্পি লাহিড়ীর ছেলে বাপ্পা ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমে বলেন—‘বাবা সোনা ছাড়া কখনও বাড়ির বাইরে পা রাখতেন না। ভোর ৫টায় ফ্লাইট ধরতে হলেও সোনার গহনা পরে বের হতেন। বাবার ভক্তরা যাতে সেসব সোনার গহনা নিজ চোখে দেখতে পারেন, এজন্য তার ব্যবহৃত সোনাগুলো সংগ্রহশালায় রাখা হবে। সোনার জুতা, ঘড়ি, রোদচশমা, টুপি, গহনা দেওয়া হবে মিউজিয়ামে।’ বাবার স্মৃতি সংরক্ষণের জন্য এই সিদ্ধান্ত বাপ্পি লাহিড়ীর ছেলে-মেয়ে যৌথভাবে নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বাপ্পা।
অনেকেই জানেন না বাপ্পি লাহিড়ীর পরিহিত সোনার গহনার মোট ওজন কত; আর তার বাজার মূল্যই বা কত! টাইমস অব ইন্ডিয়া এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ২০১৪ সালে শ্রীরামপুর আসন থেকে বাপ্পি লাহিড়ী লোকসভা নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলেন। তখন হলফনামায় স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ উল্লেখ করেন তিনি। তাতে জানা যায়, তার মোট সোনার পরিমাণ ৭৫৪ গ্রাম। রূপার পরিমাণ প্রায় ৪.৬২ কেজি। বর্তমান বাজারমূল্য অনুসারে, বাপ্পি লাহিড়ীর সোনার মূল্য প্রায় ৩০ লাখ রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩৪ লাখ ৩৩ হাজার ৬৮৩ টাকা)। রূপার মূল্য প্রায় ২ লাখ রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ২ লাখ ২৮ হাজার ৯১৩ টাকা)। প্রতিদিন ৮ থেকে ৯টা সোনার চেইন পরতেন বাপ্পি লাহিড়ী।
প্রয়াত সুরকার-গায়ক বাপ্পি লাহিড়ী কেন এত সোনার গহনা পরতেন? এ প্রশ্নের উত্তর জীবদ্দশায় নিজেই দিয়েছিলেন তিনি। বাপ্পি লাহিড়ী বলেন, ‘হলিউডের বিখ্যাত গায়ক এলভিস প্রেসলি গলায় সোনার গহনা পরতেন। আর আমি ছিলাম তার বড় ভক্ত। ভাবতাম আমি যদি কখনও সাফল্য পাই, তাহলে নিজের ইমেজ আলাদাভাবে তৈরি করব। ভগবানের আশীর্বাদে আমি সোনা দিয়ে তা করতে পেরেছি। অনেক লোকই ভাবেন আমি দেখানোর জন্য সোনার গহনা পরি। কিন্তু তা সত্যি নয়। সোনা আমার জন্য সৌভাগ্যের প্রতীক।’
বাপ্পি লাহিড়ীর সোনার জুতা-ঘড়ি কী করেছে পরিবার?
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ