ঢাকা ০৮:৩০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫
পুলিশের কাঁদানে গ্যাসের শেল, সাউন্ড গ্রেনেড

নিষিদ্ধঘোষিত হিযবুত তাহরীরের মিছিল ছত্রভঙ্গ

  • আপডেট সময় : ০৫:৫১:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ মার্চ ২০২৫
  • ৫৩ বার পড়া হয়েছে

শুক্রবার দুপুরে ঢাকার বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট থেকে শুরু হওয়া মিছিলের তোড়ে একরকম ভেসে যায় পুলিশের বাধা। মিছিলটি পল্টন হয়ে বিজয়নগরের দিকে যাওয়ার পর পুলিশ টিয়ারগ্যাস ছোড়া শুরু করলে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। -ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন হিযবুত তাহরীরের কর্মসূচি ঘিরে দুদিন আগে থেকেই হুঁশিয়ারি দিয়ে গেলেও মিছিলটি ঠেকাতে পারেনি পুলিশ।

শুক্রবার (৭ মার্চ) দুপুরে বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট থেকে শুরু হওয়া মিছিলের তোড়ে একরকম ভেসে যায় পুলিশের বাধা। মিছিলটি পল্টন হয়ে বিজয়নগরের দিকে যাওয়ার পর পুলিশ টিয়ারগ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়া শুরু করলে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এ সময় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা অলিগলিতে অবস্থান নেয়। আটক করা হয়েছে বেশ কয়েকজনকে।

শুক্রবার জুমার নামাজের সালাম ফেরানোর সঙ্গে সঙ্গেই সড়ক, উত্তর গেটের সিঁড়ির উপর নামাজে দাঁড়ানো হিযবুতের কর্মীরা স্লোগান দিয়ে দাঁড়িয়ে যায়। তারা হাতে তুলে নেয় কালিমা খচিত ব্যানার।

ছবি সংগৃহীত

প্রথমে পুলিশের যে দলটি তাদের বাধা দিতে যায়, তাতে গুনে গুনে ১০ জন পুলিশ ছিল। বিরাট মিছিলের তোড়ে পুলিশের দলটি পেছাতে পেছাতে এক পর্যায়ে হাল ছেড়ে দেয়। পল্টন মোড়ে থাকা পুলিশের দলটি সামনে এগিয়ে এসে মিছিলকে ঠেকানোর ব্যর্থ চেষ্টা করে।

পুলিশের বাধা অতিক্রম করে মিছিলটি পল্টন মোড় পার হয়ে বিজয়নগর মোড়ের দিকে যায়। এ সময় পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। একপর্যায়ে পুলিশ লাঠিপেটা করে। মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা অলিগলিতে ঢুকে পড়ে। কিছুক্ষণ পরে তাঁরা আবার সংগঠিত হয়ে পল্টন মোড়ের দিকে আসতে থাকে। পুলিশ এ সময় সাউন্ড গ্রেনেড ছোঁড়ে। তখন মিছিলটি আবার ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।

বেলা আড়াইটার দিকে পল্টন ও আশপাশের এলাকার বিভিন্ন অলিগলিতে যায় পুলিশ। পরে হিজবুত তাহ্রীরের সদস্য সন্দেহে বেশ কয়েকজনকে আটক করে পুলিশের গাড়িতে তুলতে দেখা যায়।

পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার মো. মাসুদ আলম সাংবাদিকদের বলেন, হিযবুত তাহ্রীরের সদস্যরা বিভিন্ন অলিগলিতে অবস্থান নিয়েছে। পুলিশ সতর্ক অবস্থায় আছে।

কড়া নিরাপত্তা: এর আগে নিষিদ্ধঘোষিত হিযবুত তাহ্রীরের ‘মার্চ ফর খিলাফত’ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের সামনে ও আশপাশের এলাকায় সতর্ক অবস্থান নেন সেনাবাহিনী, র‌্যাব ও পুলিশের বিভিন্ন শাখার সদস্যরা। শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বায়তুল মোকাররম এলাকায় গিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি জোরদার করার এমন দৃশ্য দেখা যায়।

ছবি সংগৃহীত

দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, পল্টন মোড়ে প্রচুর পুলিশ ও এপিবিএন সদস্যদের। পল্টন মোড় থেকে গুলিস্তানমুখী সড়কে (সচিবালয়ের বিপরীত পাশের রাস্তায়) একটি সাঁজোয়া যান (এপিসি), একটি জলকামান ও একটি প্রিজন ভ্যানও দেখা গেছে। বায়তুল মোকাররম থেকে পল্টন মোড়মুখী সড়কে পুলিশের আরেকটি প্রিজন ভ্যান দেখা গেছে।

নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন হিযবুত তাহ্রীর শুক্রবার মার্চ ফর খেলাফত কর্মসূচি ডাকে। এ সংগঠনের যেকোনো কার্যক্রমের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। ডিএমপি বলেছে, তাদের এ ধরনের কার্যক্রম দেশের সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

গত বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) ডিএমপির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জননিরাপত্তার জন্য হুমকি বিবেচনায় নিয়ে ২০০৯ সালের ২২ অক্টোবর বাংলাদেশ সরকার হিযবুত তাহ্রীরকে নিষিদ্ধ সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করে। সন্ত্রাসবিরোধী আইন-২০০৯ অনুযায়ী, নিষিদ্ধ সংগঠনের যেকোনো ধরনের সমাবেশ, মিছিল, পোস্টার ও লিফলেট বিতরণ বা প্রচারমূলক কার্যক্রম ফৌজদারি অপরাধ।

ডিএমপি আরো জানায়, হিযবুত তাহ্রীরসহ কোনো নিষিদ্ধ সংগঠন যদি সভা-সমাবেশ বা প্রচারমূলক কার্যক্রম পরিচালনার চেষ্টা করে, তবে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে ঢাকার উত্তরা থেকে নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহ্রীরের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উত্তরা ১১ ও ১২ নম্বর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন মনিরুল ইসলাম (৪০), মোহতাসিন বিল্লাহ (৪০) ও মাহমুদুল হাসান (২১)।

ছবি সংগৃহীত

ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, বায়তুল মোকাররম মসজিদ এলাকায় ‘মার্চ ফর খিলাফত’ নামে সমাবেশ পালন-সংক্রান্ত গোপন পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত থাকায় তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে।

মিছিল থেকে আটক ১০: পল্টনে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন হিজবুত তাহেরীরের মিছিল থেকে সংগঠনটির অন্তত ১০ সদস্যকে আটক করা হয়েছে।
এদিকে পুলিশের অ্যাকশনের পরও সংগঠনের সদস্যরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পুনরায় মিছিলের চেষ্টা করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কড়া অবস্থান নেয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মিছিলে অংশ নেওয়া ব্যক্তিরা খিলাফত প্রতিষ্ঠার দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন। তবে পুলিশ দ্রুত তাদের ছত্রভঙ্গ করতে সক্রিয় হলে সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি হয়। বর্তমানে পুলিশের কঠোর তল্লাশি চলছে। এ দিকে পুলিশের ছোড়া সাউন্ড গ্রেনেড লেগে কালবেলার এক সাংবাদিক আহত হয়েছেন। ওই সাংবাদিকের নাম সুশোভন অর্ক। পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় পুলিশের ছোড়া সাউন্ড গ্রেনেড তার পেটে লাগে। আহত অবস্থায় অর্ককে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বজ্রপাতে একদিনে ১০ জনের মৃত্যু

পুলিশের কাঁদানে গ্যাসের শেল, সাউন্ড গ্রেনেড

নিষিদ্ধঘোষিত হিযবুত তাহরীরের মিছিল ছত্রভঙ্গ

আপডেট সময় : ০৫:৫১:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ মার্চ ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন হিযবুত তাহরীরের কর্মসূচি ঘিরে দুদিন আগে থেকেই হুঁশিয়ারি দিয়ে গেলেও মিছিলটি ঠেকাতে পারেনি পুলিশ।

শুক্রবার (৭ মার্চ) দুপুরে বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট থেকে শুরু হওয়া মিছিলের তোড়ে একরকম ভেসে যায় পুলিশের বাধা। মিছিলটি পল্টন হয়ে বিজয়নগরের দিকে যাওয়ার পর পুলিশ টিয়ারগ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়া শুরু করলে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এ সময় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা অলিগলিতে অবস্থান নেয়। আটক করা হয়েছে বেশ কয়েকজনকে।

শুক্রবার জুমার নামাজের সালাম ফেরানোর সঙ্গে সঙ্গেই সড়ক, উত্তর গেটের সিঁড়ির উপর নামাজে দাঁড়ানো হিযবুতের কর্মীরা স্লোগান দিয়ে দাঁড়িয়ে যায়। তারা হাতে তুলে নেয় কালিমা খচিত ব্যানার।

ছবি সংগৃহীত

প্রথমে পুলিশের যে দলটি তাদের বাধা দিতে যায়, তাতে গুনে গুনে ১০ জন পুলিশ ছিল। বিরাট মিছিলের তোড়ে পুলিশের দলটি পেছাতে পেছাতে এক পর্যায়ে হাল ছেড়ে দেয়। পল্টন মোড়ে থাকা পুলিশের দলটি সামনে এগিয়ে এসে মিছিলকে ঠেকানোর ব্যর্থ চেষ্টা করে।

পুলিশের বাধা অতিক্রম করে মিছিলটি পল্টন মোড় পার হয়ে বিজয়নগর মোড়ের দিকে যায়। এ সময় পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। একপর্যায়ে পুলিশ লাঠিপেটা করে। মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা অলিগলিতে ঢুকে পড়ে। কিছুক্ষণ পরে তাঁরা আবার সংগঠিত হয়ে পল্টন মোড়ের দিকে আসতে থাকে। পুলিশ এ সময় সাউন্ড গ্রেনেড ছোঁড়ে। তখন মিছিলটি আবার ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।

বেলা আড়াইটার দিকে পল্টন ও আশপাশের এলাকার বিভিন্ন অলিগলিতে যায় পুলিশ। পরে হিজবুত তাহ্রীরের সদস্য সন্দেহে বেশ কয়েকজনকে আটক করে পুলিশের গাড়িতে তুলতে দেখা যায়।

পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার মো. মাসুদ আলম সাংবাদিকদের বলেন, হিযবুত তাহ্রীরের সদস্যরা বিভিন্ন অলিগলিতে অবস্থান নিয়েছে। পুলিশ সতর্ক অবস্থায় আছে।

কড়া নিরাপত্তা: এর আগে নিষিদ্ধঘোষিত হিযবুত তাহ্রীরের ‘মার্চ ফর খিলাফত’ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের সামনে ও আশপাশের এলাকায় সতর্ক অবস্থান নেন সেনাবাহিনী, র‌্যাব ও পুলিশের বিভিন্ন শাখার সদস্যরা। শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বায়তুল মোকাররম এলাকায় গিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি জোরদার করার এমন দৃশ্য দেখা যায়।

ছবি সংগৃহীত

দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, পল্টন মোড়ে প্রচুর পুলিশ ও এপিবিএন সদস্যদের। পল্টন মোড় থেকে গুলিস্তানমুখী সড়কে (সচিবালয়ের বিপরীত পাশের রাস্তায়) একটি সাঁজোয়া যান (এপিসি), একটি জলকামান ও একটি প্রিজন ভ্যানও দেখা গেছে। বায়তুল মোকাররম থেকে পল্টন মোড়মুখী সড়কে পুলিশের আরেকটি প্রিজন ভ্যান দেখা গেছে।

নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন হিযবুত তাহ্রীর শুক্রবার মার্চ ফর খেলাফত কর্মসূচি ডাকে। এ সংগঠনের যেকোনো কার্যক্রমের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। ডিএমপি বলেছে, তাদের এ ধরনের কার্যক্রম দেশের সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

গত বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) ডিএমপির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জননিরাপত্তার জন্য হুমকি বিবেচনায় নিয়ে ২০০৯ সালের ২২ অক্টোবর বাংলাদেশ সরকার হিযবুত তাহ্রীরকে নিষিদ্ধ সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করে। সন্ত্রাসবিরোধী আইন-২০০৯ অনুযায়ী, নিষিদ্ধ সংগঠনের যেকোনো ধরনের সমাবেশ, মিছিল, পোস্টার ও লিফলেট বিতরণ বা প্রচারমূলক কার্যক্রম ফৌজদারি অপরাধ।

ডিএমপি আরো জানায়, হিযবুত তাহ্রীরসহ কোনো নিষিদ্ধ সংগঠন যদি সভা-সমাবেশ বা প্রচারমূলক কার্যক্রম পরিচালনার চেষ্টা করে, তবে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে ঢাকার উত্তরা থেকে নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহ্রীরের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উত্তরা ১১ ও ১২ নম্বর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন মনিরুল ইসলাম (৪০), মোহতাসিন বিল্লাহ (৪০) ও মাহমুদুল হাসান (২১)।

ছবি সংগৃহীত

ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, বায়তুল মোকাররম মসজিদ এলাকায় ‘মার্চ ফর খিলাফত’ নামে সমাবেশ পালন-সংক্রান্ত গোপন পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত থাকায় তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে।

মিছিল থেকে আটক ১০: পল্টনে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন হিজবুত তাহেরীরের মিছিল থেকে সংগঠনটির অন্তত ১০ সদস্যকে আটক করা হয়েছে।
এদিকে পুলিশের অ্যাকশনের পরও সংগঠনের সদস্যরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পুনরায় মিছিলের চেষ্টা করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কড়া অবস্থান নেয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মিছিলে অংশ নেওয়া ব্যক্তিরা খিলাফত প্রতিষ্ঠার দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন। তবে পুলিশ দ্রুত তাদের ছত্রভঙ্গ করতে সক্রিয় হলে সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি হয়। বর্তমানে পুলিশের কঠোর তল্লাশি চলছে। এ দিকে পুলিশের ছোড়া সাউন্ড গ্রেনেড লেগে কালবেলার এক সাংবাদিক আহত হয়েছেন। ওই সাংবাদিকের নাম সুশোভন অর্ক। পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় পুলিশের ছোড়া সাউন্ড গ্রেনেড তার পেটে লাগে। আহত অবস্থায় অর্ককে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।