ঢাকা ১১:৪৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫

বাদ পড়ে হতাশ হলেও অবাক নন ব্রড

  • আপডেট সময় : ১১:০৯:১০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২১
  • ৭৯ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক : অ্যাশেজ সিরিজের প্রথম টেস্টে ফিট থাকা স্বত্তেও খেলতে পারেননি স্টুয়ার্ট ব্রড। লম্বা সিরিজ ও বয়সের বিবেচনায় তাকে একাদশের বাইরে রাখা হয়েছিল। এই সিদ্ধান্তে হতাশা আছে তার, তবে বাস্তবতাও বুঝতে পারছেন এই পেসার। তার উপলদ্ধি, সিরিজের বাকি অংশে সতেজ রাখতেই ব্রিজবেনে খেলানো হয়নি তাকে। পাঁচ ম্যাচের এই সিরিজে কোনো পেসারের পক্ষেই সব টেস্ট খেলা সম্ভব নয় বলে মনে করেন ইংল্যান্ডের এই বোলার। গত শনিবার ব্রিজবেনে প্রথম টেস্টে ৯ উইকেটে জিতে সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেছে অস্ট্রেলিয়া। ব্রডের পাশাপাশি এই টেস্টে ছিলেন না আরেক অভিজ্ঞ পেসার জেমস অ্যান্ডারসনও। দুজন মিলে টেস্ট ক্রিকেটে নিয়েছেন এক হাজার ১৫৬ উইকেট। শনিবার ডেইলি মেইলে প্রকাশিত তার কলামে ব্রড লিখেছেন, অ্যাশেজে সব ম্যাচ খেলার ইচ্ছাতেই প্রস্তুতি নিয়েছিলেন তারা দুজন। “কোভিড পরিস্থিতিতে অ্যাশেজে মাঠে নামতে এবং অস্ট্রেলিয়ায় পাঁচ টেস্টের সবকটি খেলার জন্য যেন যতটা সম্ভব ফিট থাকতে পারি, গত ১২ মাস ধরে অ্যান্ডারসন ও আমি সেই চেষ্টাই করেছি। আমার মনে হয়, কাজটা আমরা ঠিকঠাকই করতে পেরেছি।”
“কিন্তু ইংল্যান্ড দল বাছাই করাটা খেলোয়াড়দের হাতে নয়। এটা তাদের হাতে যারা কন্ডিশন ও দলের ভারসাম্য ঠিক রেখে নির্বাচন করে। চারটি ম্যাচ বাকি আছে, আমাদের কাজ এখন অ্যাডিলেইডে সিরিজের পরের ম্যাচের জন্য প্রস্তুত হওয়া।” প্রথম টেস্টে খেলার জন্য মুখিয়ে ছিলেন ব্রড। তবে এটাও জানতেন, চোট কাটিয়ে দলে ফেরাটা সহজ হবে না তার জন্য। “…এর আগে অনেক সময় আমাকে বাদ দেওয়া হয়েছে এবং মাঝে মাঝে এটি সত্যিকারের বিস্ময় হয়ে এসেছে। সেই তুলনায় (ব্রিজবেন টেস্টে দলে না থাকা) কম বিস্ময়কর ছিল, কারণ পায়ের পেশির চোটের কারণে ভারতের বিপক্ষে সবশেষ সিরিজে আমি দলে ছিলাম না।” ৩৫ বছর বয়সী এই ক্রিকেটারের মতে, কঠোর জৈব সুরক্ষা বলয়ের মধ্যে থেকে সবকটি ম্যাচ খেলাটা দুই দলের পেসারদের জন্যই হতে যাচ্ছে কঠিন চ্যালেঞ্জ। “(ব্রিজবেনে) খেলতে না পেরে সত্যিই আমি হতাশ হয়েছিলাম। কিন্তু আমি এটাও বুঝতে পারছি যে এটি একটি ম্যারাথন, স্প্রিন্ট নয়।” “এবারের মতো ঠাসা সূচিতে টানা পাঁচটি টেস্ট ম্যাচ কখনও হয়নি এবং এটি ক্লান্তিকর হবে, তাই বাস্তবসম্মতভাবে আমার মনে হয় না কোনো পেসারই সবকটি টেস্ট খেলতে পারবে।” সিরিজের বাকি অংশের পুরোটাই খেলতে চান ব্রড। তবে তাকে ছাড়াই যদি দল ভালো করতে পারে, খুশিমনেই মেনে নেবেন তিনি। “আমি কি বিশেষ কিছু করার সুযোগ নিয়ে পঞ্চম টেস্টে হোবার্টে মাঠে নামতে চাইব? অবশ্যই। তার আগে যদি আমার খেলার প্রয়োজন না হয়, তার মানে আমরা খুব ভালো কিছু করতে পেরেছি।” দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হবে আগামী বৃহস্পতিবার, অ্যাডিলেইডে। এই ম্যাচটি হবে দিবা-রাত্রির।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বাদ পড়ে হতাশ হলেও অবাক নন ব্রড

আপডেট সময় : ১১:০৯:১০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২১

ক্রীড়া ডেস্ক : অ্যাশেজ সিরিজের প্রথম টেস্টে ফিট থাকা স্বত্তেও খেলতে পারেননি স্টুয়ার্ট ব্রড। লম্বা সিরিজ ও বয়সের বিবেচনায় তাকে একাদশের বাইরে রাখা হয়েছিল। এই সিদ্ধান্তে হতাশা আছে তার, তবে বাস্তবতাও বুঝতে পারছেন এই পেসার। তার উপলদ্ধি, সিরিজের বাকি অংশে সতেজ রাখতেই ব্রিজবেনে খেলানো হয়নি তাকে। পাঁচ ম্যাচের এই সিরিজে কোনো পেসারের পক্ষেই সব টেস্ট খেলা সম্ভব নয় বলে মনে করেন ইংল্যান্ডের এই বোলার। গত শনিবার ব্রিজবেনে প্রথম টেস্টে ৯ উইকেটে জিতে সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেছে অস্ট্রেলিয়া। ব্রডের পাশাপাশি এই টেস্টে ছিলেন না আরেক অভিজ্ঞ পেসার জেমস অ্যান্ডারসনও। দুজন মিলে টেস্ট ক্রিকেটে নিয়েছেন এক হাজার ১৫৬ উইকেট। শনিবার ডেইলি মেইলে প্রকাশিত তার কলামে ব্রড লিখেছেন, অ্যাশেজে সব ম্যাচ খেলার ইচ্ছাতেই প্রস্তুতি নিয়েছিলেন তারা দুজন। “কোভিড পরিস্থিতিতে অ্যাশেজে মাঠে নামতে এবং অস্ট্রেলিয়ায় পাঁচ টেস্টের সবকটি খেলার জন্য যেন যতটা সম্ভব ফিট থাকতে পারি, গত ১২ মাস ধরে অ্যান্ডারসন ও আমি সেই চেষ্টাই করেছি। আমার মনে হয়, কাজটা আমরা ঠিকঠাকই করতে পেরেছি।”
“কিন্তু ইংল্যান্ড দল বাছাই করাটা খেলোয়াড়দের হাতে নয়। এটা তাদের হাতে যারা কন্ডিশন ও দলের ভারসাম্য ঠিক রেখে নির্বাচন করে। চারটি ম্যাচ বাকি আছে, আমাদের কাজ এখন অ্যাডিলেইডে সিরিজের পরের ম্যাচের জন্য প্রস্তুত হওয়া।” প্রথম টেস্টে খেলার জন্য মুখিয়ে ছিলেন ব্রড। তবে এটাও জানতেন, চোট কাটিয়ে দলে ফেরাটা সহজ হবে না তার জন্য। “…এর আগে অনেক সময় আমাকে বাদ দেওয়া হয়েছে এবং মাঝে মাঝে এটি সত্যিকারের বিস্ময় হয়ে এসেছে। সেই তুলনায় (ব্রিজবেন টেস্টে দলে না থাকা) কম বিস্ময়কর ছিল, কারণ পায়ের পেশির চোটের কারণে ভারতের বিপক্ষে সবশেষ সিরিজে আমি দলে ছিলাম না।” ৩৫ বছর বয়সী এই ক্রিকেটারের মতে, কঠোর জৈব সুরক্ষা বলয়ের মধ্যে থেকে সবকটি ম্যাচ খেলাটা দুই দলের পেসারদের জন্যই হতে যাচ্ছে কঠিন চ্যালেঞ্জ। “(ব্রিজবেনে) খেলতে না পেরে সত্যিই আমি হতাশ হয়েছিলাম। কিন্তু আমি এটাও বুঝতে পারছি যে এটি একটি ম্যারাথন, স্প্রিন্ট নয়।” “এবারের মতো ঠাসা সূচিতে টানা পাঁচটি টেস্ট ম্যাচ কখনও হয়নি এবং এটি ক্লান্তিকর হবে, তাই বাস্তবসম্মতভাবে আমার মনে হয় না কোনো পেসারই সবকটি টেস্ট খেলতে পারবে।” সিরিজের বাকি অংশের পুরোটাই খেলতে চান ব্রড। তবে তাকে ছাড়াই যদি দল ভালো করতে পারে, খুশিমনেই মেনে নেবেন তিনি। “আমি কি বিশেষ কিছু করার সুযোগ নিয়ে পঞ্চম টেস্টে হোবার্টে মাঠে নামতে চাইব? অবশ্যই। তার আগে যদি আমার খেলার প্রয়োজন না হয়, তার মানে আমরা খুব ভালো কিছু করতে পেরেছি।” দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হবে আগামী বৃহস্পতিবার, অ্যাডিলেইডে। এই ম্যাচটি হবে দিবা-রাত্রির।