নিজস্ব প্রতিবেদক: বৈষম্যের শিকার বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো জাতীয়করণ এবং প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে পাঠানো চিঠি দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে ১৮ দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন শুরু করেছেন দেশের বিভিন্ন জেলার শিক্ষকরা। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন শুরু হয়।
বুধবার (৫ মার্চ) কর্মসূচিতে থাকা শিক্ষকরা জানান, ২০১৩ সালে সারা বাংলাদেশের ২৬ হাজার ১৯৩টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করলেও সম-যোগ্যতা থাকার পরেও শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে সারা বাংলাদেশের চলমান যোগ্য ৪ হাজারের অধিক বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ থেকে বাদ পড়ে যায়। ফলে প্রায় ৮ লক্ষাধিক শিক্ষার্থী তাদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
উপস্থিত শিক্ষকরা বলেন, জাতীয়করণের দাবিতে আমরা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ২০১৮ সালে ১৮ দিন, ২০১৯ সালে ৫৬ দিনসহ ২০২৪ সালে ১০ ও ১১ সেপ্টেম্বর এবং সর্বশেষ ২০২৫ সালের ২৫ জানুয়ারি থেকে ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত আন্দোলন করেছি। ২৫ থেকে ২৭ জানুয়ারি আন্দোলনের ফলে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে একটি চিঠি মন্ত্রণালয়ের ইস্যু করা হয়। এই চিঠি দ্রুত বাস্তবায়নের জোর দাবি জানাচ্ছি।
অবস্থান কর্মসূচি থেকে বাংলাদেশ বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ফিরোজ উদ্দিন বলেন, তৃতীয় ধাপে জাতীয়করণ থেকে বাদ পরা বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। এ বৈষম্য নিরসনের জন্য গত ৩ ফেব্রুয়ারি আমরা প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় বরাবর চিঠি পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু সে চিঠি এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। আমাদের দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলমান থাকবে।