ঢাকা ০৮:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৮ অগাস্ট ২০২৫

বাতাস থেকে কার্বন ডাই-অক্সাইড সরায় সুইডিশ স্টার্টআপ

  • আপডেট সময় : ১০:১২:০৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৩
  • ১১৪ বার পড়া হয়েছে

প্রযুক্তি ডেস্ক : খোলা বাতাস থেকে কার্বন ডাই-অক্সাইড সরানোর পাশাপাশি সেগুলো মাটির নীচে সঞ্চয়ের দাবি করেছে সুইডেন ভিত্তিক জলবায়ু বিষয়ক স্টার্টআপ ‘ক্লাইমওয়ার্কস’। বিষয়টি সত্য হলে এই খাতে এমন ঘটনা এবারই প্রথম।

বায়ুম-ল থেকে ‘বাতাস ধরতে’ কোম্পানিটি ‘ডাইরেক্ট-এয়ার ক্যাপচার’ নামের প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে। পরবর্তীতে, মানব-সৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তন কমিয়ে আনার প্রচেষ্টা হিসেবে এগুলো ফিল্টার করে মাটির নীচে চাপা দেওয়া হয়। বিষয়টি উঠে এসেছে ব্রিটিশ সংবাদপত্র দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্টের প্রতিবেদনে।

মাইক্রোসফটের মতো শীর্ষস্থানীয় কার্বন নিঃসরণকারী কোম্পানিগুলোর কাছে নিঃসরণ কমানোর উদ্দেশ্যে ‘কার্বন ক্রেডিট’ বিক্রি করছে সুইডেন ভিত্তিক এই স্টার্টআপ কোম্পানি।

কার্বন ক্রেডিট এক ধরনের বাণিজ্যিক সার্টিফিকেট বা অনুমোদন ব্যবস্থা। এর মাধ্যমে নির্দিষ্ট পরিমাণ কার্বন ডাই-অক্সাইড বা একই পরিমাণের ভিন্ন কোনো গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণের ‘দায়মুক্তি’ মেলে।

বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রকাশনা ‘ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল’কে ক্লাইমওয়ার্কসের প্রধান নির্বাহী ক্রিস্টফ জেবাল্ড বলেন, এই প্রথম কোনো কোম্পানি যাচাইকৃত তৃতীয় পক্ষের ব্যবস্থা কাজে লাগিয়ে খোলা বাতাস থেকে কার্বন ডাই-অক্সাইড ধরে সেগুলো সঞ্চয় করতে পেরেছে।

“এটি ‘ডাইরেক্ট-এয়ার ক্যাপচার’ ব্যবস্থা উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ এক অর্জন।” –বলেন ক্লাইমওয়ার্কসের গ্রাহক কোম্পানি শপিফাই’র ‘সাস্টেইনিবিলিটি’ বিভাগের প্রধান স্টেসি কাউক।

“এটি কোনো বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনি নয়, বরং বাস্তবতা।”

২০২১ সালে বিভিন্ন ‘গ্রিন’ দলের সমালোচনার মুখে ‘এডিনবার্গ ইউনিভার্সিটি’র অধ্যাপক স্টুয়ার্ট হ্যাজেলডাইন বলেন, “আমাদের ইস্পাত শিল্প, সিমেন্ট উৎপাদন’সহ অন্যান্য অনেক প্রক্রিয়াতে যে নির্গমন হয় তা রোধের উদ্দেশ্যে স্বল্প মেয়াদে কার্বন আটকে সেগুলো জমা করাই একমাত্র কার্যকর উপায় হতে যাচ্ছে।” এর আগে দলগুলো এমন প্রযুক্তিকে ‘একটি ব্যয়বহুল বাধা’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছিল।

“বৈশ্বিক তাপমাত্রা দুই ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে রাখতে আমাদের ব্যাপকভাবে কার্বন ডাই-অক্সাইড ধরে সেগুলো সঞ্চয়ের উপায় তৈরি করতে হবে।”

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বাতাস থেকে কার্বন ডাই-অক্সাইড সরায় সুইডিশ স্টার্টআপ

আপডেট সময় : ১০:১২:০৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৩

প্রযুক্তি ডেস্ক : খোলা বাতাস থেকে কার্বন ডাই-অক্সাইড সরানোর পাশাপাশি সেগুলো মাটির নীচে সঞ্চয়ের দাবি করেছে সুইডেন ভিত্তিক জলবায়ু বিষয়ক স্টার্টআপ ‘ক্লাইমওয়ার্কস’। বিষয়টি সত্য হলে এই খাতে এমন ঘটনা এবারই প্রথম।

বায়ুম-ল থেকে ‘বাতাস ধরতে’ কোম্পানিটি ‘ডাইরেক্ট-এয়ার ক্যাপচার’ নামের প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে। পরবর্তীতে, মানব-সৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তন কমিয়ে আনার প্রচেষ্টা হিসেবে এগুলো ফিল্টার করে মাটির নীচে চাপা দেওয়া হয়। বিষয়টি উঠে এসেছে ব্রিটিশ সংবাদপত্র দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্টের প্রতিবেদনে।

মাইক্রোসফটের মতো শীর্ষস্থানীয় কার্বন নিঃসরণকারী কোম্পানিগুলোর কাছে নিঃসরণ কমানোর উদ্দেশ্যে ‘কার্বন ক্রেডিট’ বিক্রি করছে সুইডেন ভিত্তিক এই স্টার্টআপ কোম্পানি।

কার্বন ক্রেডিট এক ধরনের বাণিজ্যিক সার্টিফিকেট বা অনুমোদন ব্যবস্থা। এর মাধ্যমে নির্দিষ্ট পরিমাণ কার্বন ডাই-অক্সাইড বা একই পরিমাণের ভিন্ন কোনো গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণের ‘দায়মুক্তি’ মেলে।

বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রকাশনা ‘ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল’কে ক্লাইমওয়ার্কসের প্রধান নির্বাহী ক্রিস্টফ জেবাল্ড বলেন, এই প্রথম কোনো কোম্পানি যাচাইকৃত তৃতীয় পক্ষের ব্যবস্থা কাজে লাগিয়ে খোলা বাতাস থেকে কার্বন ডাই-অক্সাইড ধরে সেগুলো সঞ্চয় করতে পেরেছে।

“এটি ‘ডাইরেক্ট-এয়ার ক্যাপচার’ ব্যবস্থা উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ এক অর্জন।” –বলেন ক্লাইমওয়ার্কসের গ্রাহক কোম্পানি শপিফাই’র ‘সাস্টেইনিবিলিটি’ বিভাগের প্রধান স্টেসি কাউক।

“এটি কোনো বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনি নয়, বরং বাস্তবতা।”

২০২১ সালে বিভিন্ন ‘গ্রিন’ দলের সমালোচনার মুখে ‘এডিনবার্গ ইউনিভার্সিটি’র অধ্যাপক স্টুয়ার্ট হ্যাজেলডাইন বলেন, “আমাদের ইস্পাত শিল্প, সিমেন্ট উৎপাদন’সহ অন্যান্য অনেক প্রক্রিয়াতে যে নির্গমন হয় তা রোধের উদ্দেশ্যে স্বল্প মেয়াদে কার্বন আটকে সেগুলো জমা করাই একমাত্র কার্যকর উপায় হতে যাচ্ছে।” এর আগে দলগুলো এমন প্রযুক্তিকে ‘একটি ব্যয়বহুল বাধা’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছিল।

“বৈশ্বিক তাপমাত্রা দুই ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে রাখতে আমাদের ব্যাপকভাবে কার্বন ডাই-অক্সাইড ধরে সেগুলো সঞ্চয়ের উপায় তৈরি করতে হবে।”