ঢাকা ০৪:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫

বাণিজ্যমন্ত্রীর নামে ভুয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে প্রতারণা, যুবক গ্রেপ্তার

  • আপডেট সময় : ১২:৫৯:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ জুন ২০২২
  • ১৩৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সীর নামে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে প্রতারণার অভিযোগে মো. আলমগীর হোসেন নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গত রোববার রাতে গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানার সফিপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে ওই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত চারটি মোবাইল ও ১০টি সিমকার্ড জব্দ করা হয়েছে। সিআইডির ভাষ্য, আলমগীর দীর্ঘদিন ধরে বাণিজ্যমন্ত্রীসহ বিভিন্ন এমপি-মন্ত্রীর ছবি ও নাম ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুয়া আইডির মাধ্যমে প্রতারণার ফাঁদ তৈরি করেন। ওই আইডিতে নিয়মিত মন্ত্রীর বিভিন্ন কর্মসূচির ছবি পোস্ট করে প্রচারণা চালাচ্ছিলেন।
গতকাল সোমবার দুপুরে সিআইডির সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টারের বিশেষ পুলিশ সুপার রেজাউল মাসুদ। সংবাদ সম্মেলনে রেজাউল মাসুদ বলেন, ‘এক ভুক্তভোগী নারী সিআইডির সাইবার পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ করেন, কিছু দিন আগে বাণিজ্যমন্ত্রীর ফেসবুক আইডি থেকে একটি ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠানো হয়। ওই নারী রিকোয়েস্ট অ্যাকসেপ্ট করলে তাকে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ১৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। এক পর্যায়ে তিনি বুঝতে পারেন যে ওই ব্যক্তি বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সী নন।’
আলমগীরের বরাত দিয়ে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার বলেন, ‘বাণিজ্যমন্ত্রীর নামে ভুয়া আইডি খুলে বিভিন্ন এলাকার চাকরি প্রত্যাশীদের বিশেষ করে মেয়েদের টার্গেট করতেন আলমগীর। পরে তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিতেন। তিনি অসহায় নারীদের আস্থা অর্জন করে কৌশলে তাদের কাছ থেকে ব্যক্তিগত ছবি নিতেন। পরবর্তীতে ওইসব ছবি অনলাইনে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে টাকা আদায় করতেন। অনেক ক্ষেত্রে ভুক্তভোগীদের নামে ভুয়া আইডি খুলে সেখানে তাদের গোপন ছবিও ছেড়ে দিতেন।’ আলমগীরের বিরুদ্ধে কাফরুল থানায় আজ সোমবার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেছে সিআইডি। মামলা নম্বর ২৪।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

১৩৫০ টাকার সার ২৩০০ টাকায় বিক্রি, জরিমানা লাখ টাকা

বাণিজ্যমন্ত্রীর নামে ভুয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে প্রতারণা, যুবক গ্রেপ্তার

আপডেট সময় : ১২:৫৯:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ জুন ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সীর নামে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে প্রতারণার অভিযোগে মো. আলমগীর হোসেন নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গত রোববার রাতে গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানার সফিপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে ওই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত চারটি মোবাইল ও ১০টি সিমকার্ড জব্দ করা হয়েছে। সিআইডির ভাষ্য, আলমগীর দীর্ঘদিন ধরে বাণিজ্যমন্ত্রীসহ বিভিন্ন এমপি-মন্ত্রীর ছবি ও নাম ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুয়া আইডির মাধ্যমে প্রতারণার ফাঁদ তৈরি করেন। ওই আইডিতে নিয়মিত মন্ত্রীর বিভিন্ন কর্মসূচির ছবি পোস্ট করে প্রচারণা চালাচ্ছিলেন।
গতকাল সোমবার দুপুরে সিআইডির সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টারের বিশেষ পুলিশ সুপার রেজাউল মাসুদ। সংবাদ সম্মেলনে রেজাউল মাসুদ বলেন, ‘এক ভুক্তভোগী নারী সিআইডির সাইবার পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ করেন, কিছু দিন আগে বাণিজ্যমন্ত্রীর ফেসবুক আইডি থেকে একটি ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠানো হয়। ওই নারী রিকোয়েস্ট অ্যাকসেপ্ট করলে তাকে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ১৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। এক পর্যায়ে তিনি বুঝতে পারেন যে ওই ব্যক্তি বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সী নন।’
আলমগীরের বরাত দিয়ে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার বলেন, ‘বাণিজ্যমন্ত্রীর নামে ভুয়া আইডি খুলে বিভিন্ন এলাকার চাকরি প্রত্যাশীদের বিশেষ করে মেয়েদের টার্গেট করতেন আলমগীর। পরে তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিতেন। তিনি অসহায় নারীদের আস্থা অর্জন করে কৌশলে তাদের কাছ থেকে ব্যক্তিগত ছবি নিতেন। পরবর্তীতে ওইসব ছবি অনলাইনে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে টাকা আদায় করতেন। অনেক ক্ষেত্রে ভুক্তভোগীদের নামে ভুয়া আইডি খুলে সেখানে তাদের গোপন ছবিও ছেড়ে দিতেন।’ আলমগীরের বিরুদ্ধে কাফরুল থানায় আজ সোমবার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেছে সিআইডি। মামলা নম্বর ২৪।