ঢাকা ০৮:০০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বাড়ির আঙিনা আঙুরের চাষ উপযোগী

  • আপডেট সময় : ০৩:৩৮:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪
  • ২৪ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: চাইলে বাড়িতেও আঙুর গাছ লাগাতে পারেন। সে এক্ষেত্রে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মাথায় রাখতে হবে। কেননা আঙুর একটি লতা ফসল; যা সহজেই বাড়িতে লাগানো যায়। সঠিক যত্ন ও পদ্ধতি ভালো ফলন দেবে। চলুন জেনে নিই, বাড়িতে কীভাবে আঙুরের চারা রোপণ করবেন?
জলবায়ু ও অবস্থান: আঙুর রোপণের আগে সঠিক জলবায়ু ও অবস্থান নির্বাচন করবেন। উষ্ণ এবং শুষ্ক জলবায়ু এর জন্য উপযুক্ত। এটি রোপণ করার জন্য এমন জায়গা বেছে নেওয়া উচিত, যেখানে পর্যাপ্ত সূর্যের আলো আছে। এর লতার জন্য প্রতিদিন কমপক্ষে ৬-৮ ঘণ্টা সূর্যালোক দরকার।
মাটি তৈরি: উর্বর ও সুনিষ্কাশিত মাটি প্রয়োজন। যদি মাটি ভারী হয় বা জলাবদ্ধ হয়, তবে এতে বালি বা কোকো পিট মেশাতে হবে। মাটির পিএইচ মাত্রা ৬.০-৭.০ এর মধ্যে আঙুর গাছের জন্য উপযুক্ত মনে করা হয়।
গাছ নির্বাচন: আঙুরের চারা দুই ভাবে জন্মানো যায়। একটি কাটার মাধ্যমে এবং অন্যটি বীজ দিয়ে। স্থানীয় নার্সারি থেকে এর বীজ কিনতে পারবেন। আঙুর গাছ নেওয়ার সময় দেখবেন এটি স্বাস্থ্যকর ও কীটপতঙ্গমুক্ত কি না।
পাত্র বা গর্ত: আঙুর রোপণের জন্য একটি পাত্র নিতে পারেন। এ ছাড়া একটি ২-৩ ফুট গভীর এবং প্রশস্ত গর্ত করে রোপণ করতে পারেন। একটি বড় আকারের পাত্র নেওয়া উচিত, যাতে আঙুরের লতা পাত্রে সঠিকভাবে রাখা যায়। এরপর পাত্রে জৈব সার যোগ করুন এবং মাটি ভালোভাবে মিশিয়ে দিন।
পর্যাপ্ত পানি: নিয়মিত পানি দরকার। তবে খুব বেশি দেওয়া উচিত নয়। কারণ জলাবদ্ধতা লতার জন্য ক্ষতিকারক। গ্রীষ্ম মৌসুমে গাছে সপ্তাহে ২-৩ বার পানি দেওয়া উচিত।
সার প্রয়োগ: ভালোভাবে বৃদ্ধির জন্য নিয়মিত পুষ্টি দরকার। তাই প্রতি ৩-৪ মাস গাছে জৈব সার দেওয়া উচিত। লতার আকার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পটাশিয়ামের পরিমাণ বাড়াতে হবে। এতে ফলের আকার ও স্বাদ বাড়ে।
বেঁধে দিন: লতাটি একটি বাঁশ বা কিছুর সঙ্গে বেঁধে দিন। তাতে মাটিতে ছড়িয়ে পড়া রোধ করবে। লতাটি যেন ওপরের দিকে উঠতে পারে। এতে ফল সুস্থ ও পরিষ্কার থাকে।
পরিচর্যা: ভালো ফল পেতে লতা ছাঁটাই করতে পারেন। এটি লতার বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করে। ফলের গুণমান উন্নত করে। শীত মৌসুমে এটি ছাঁটাই করা উচিত। লতা থেকে পুরনো ও শুকনো ডালপালা অপসারণ করা উচিত। যাতে নতুন ডালপালা বৃদ্ধির জন্য জায়গা পায়।
রক্ষণাবেক্ষণ: লতা ভালো বৃদ্ধির জন্য নিয়মিত যত্ন দরকার। মাঝে মাঝে লতার চারপাশে মাটি খনন করা উচিত। আগাছা অপসারণ এবং প্রয়োজন অনুযায়ী পানি এবং সার দেওয়া উচিত। লতাটি বৃদ্ধির জন্য খোলা জায়গা দেওয়া উচিত। নিয়মিত পরীক্ষা করা উচিত, যাতে লতা সঠিক দিকে বেড়ে ওঠে।
আঙুর সংগ্রহ: ফল সম্পূর্ণ পাকা হলেই আঙুর সংগ্রহ করা উচিত। যখন ফল রং পরিবর্তন করে এবং নরম হয়, তখন কাটা উচিত। সকালে লতা থেকে ফল ছিঁড়তে হবে।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বাড়ির আঙিনা আঙুরের চাষ উপযোগী

আপডেট সময় : ০৩:৩৮:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক: চাইলে বাড়িতেও আঙুর গাছ লাগাতে পারেন। সে এক্ষেত্রে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মাথায় রাখতে হবে। কেননা আঙুর একটি লতা ফসল; যা সহজেই বাড়িতে লাগানো যায়। সঠিক যত্ন ও পদ্ধতি ভালো ফলন দেবে। চলুন জেনে নিই, বাড়িতে কীভাবে আঙুরের চারা রোপণ করবেন?
জলবায়ু ও অবস্থান: আঙুর রোপণের আগে সঠিক জলবায়ু ও অবস্থান নির্বাচন করবেন। উষ্ণ এবং শুষ্ক জলবায়ু এর জন্য উপযুক্ত। এটি রোপণ করার জন্য এমন জায়গা বেছে নেওয়া উচিত, যেখানে পর্যাপ্ত সূর্যের আলো আছে। এর লতার জন্য প্রতিদিন কমপক্ষে ৬-৮ ঘণ্টা সূর্যালোক দরকার।
মাটি তৈরি: উর্বর ও সুনিষ্কাশিত মাটি প্রয়োজন। যদি মাটি ভারী হয় বা জলাবদ্ধ হয়, তবে এতে বালি বা কোকো পিট মেশাতে হবে। মাটির পিএইচ মাত্রা ৬.০-৭.০ এর মধ্যে আঙুর গাছের জন্য উপযুক্ত মনে করা হয়।
গাছ নির্বাচন: আঙুরের চারা দুই ভাবে জন্মানো যায়। একটি কাটার মাধ্যমে এবং অন্যটি বীজ দিয়ে। স্থানীয় নার্সারি থেকে এর বীজ কিনতে পারবেন। আঙুর গাছ নেওয়ার সময় দেখবেন এটি স্বাস্থ্যকর ও কীটপতঙ্গমুক্ত কি না।
পাত্র বা গর্ত: আঙুর রোপণের জন্য একটি পাত্র নিতে পারেন। এ ছাড়া একটি ২-৩ ফুট গভীর এবং প্রশস্ত গর্ত করে রোপণ করতে পারেন। একটি বড় আকারের পাত্র নেওয়া উচিত, যাতে আঙুরের লতা পাত্রে সঠিকভাবে রাখা যায়। এরপর পাত্রে জৈব সার যোগ করুন এবং মাটি ভালোভাবে মিশিয়ে দিন।
পর্যাপ্ত পানি: নিয়মিত পানি দরকার। তবে খুব বেশি দেওয়া উচিত নয়। কারণ জলাবদ্ধতা লতার জন্য ক্ষতিকারক। গ্রীষ্ম মৌসুমে গাছে সপ্তাহে ২-৩ বার পানি দেওয়া উচিত।
সার প্রয়োগ: ভালোভাবে বৃদ্ধির জন্য নিয়মিত পুষ্টি দরকার। তাই প্রতি ৩-৪ মাস গাছে জৈব সার দেওয়া উচিত। লতার আকার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পটাশিয়ামের পরিমাণ বাড়াতে হবে। এতে ফলের আকার ও স্বাদ বাড়ে।
বেঁধে দিন: লতাটি একটি বাঁশ বা কিছুর সঙ্গে বেঁধে দিন। তাতে মাটিতে ছড়িয়ে পড়া রোধ করবে। লতাটি যেন ওপরের দিকে উঠতে পারে। এতে ফল সুস্থ ও পরিষ্কার থাকে।
পরিচর্যা: ভালো ফল পেতে লতা ছাঁটাই করতে পারেন। এটি লতার বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করে। ফলের গুণমান উন্নত করে। শীত মৌসুমে এটি ছাঁটাই করা উচিত। লতা থেকে পুরনো ও শুকনো ডালপালা অপসারণ করা উচিত। যাতে নতুন ডালপালা বৃদ্ধির জন্য জায়গা পায়।
রক্ষণাবেক্ষণ: লতা ভালো বৃদ্ধির জন্য নিয়মিত যত্ন দরকার। মাঝে মাঝে লতার চারপাশে মাটি খনন করা উচিত। আগাছা অপসারণ এবং প্রয়োজন অনুযায়ী পানি এবং সার দেওয়া উচিত। লতাটি বৃদ্ধির জন্য খোলা জায়গা দেওয়া উচিত। নিয়মিত পরীক্ষা করা উচিত, যাতে লতা সঠিক দিকে বেড়ে ওঠে।
আঙুর সংগ্রহ: ফল সম্পূর্ণ পাকা হলেই আঙুর সংগ্রহ করা উচিত। যখন ফল রং পরিবর্তন করে এবং নরম হয়, তখন কাটা উচিত। সকালে লতা থেকে ফল ছিঁড়তে হবে।