ঢাকা ০৪:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫

বাড়িতেই পরিবারের সঙ্গে থাকতে চান ক্যানসার আক্রান্ত জিমি কার্টার

  • আপডেট সময় : ১১:০৬:৪৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • ৬৫ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জীবনের শেষ সময়টুকু পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বাড়িতেই কাটাবেন বলেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার। গতকাল শনিবার জিমি কার্টারের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান কার্টার সেন্টারের দেওয়া বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
জিমি কার্টারের বয়স এখন ৯৮ বছর। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে হোয়াইট হাউস ছাড়ার পর সবচেয়ে দীর্ঘজীবী সাবেক প্রেসিডেন্ট তিনি। এই ডেমোক্র্যাট নেতা ১৯৭৭ সালের জানুয়ারি থেকে ১৯৮১ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। জর্জিয়ার বাসিন্দা জিমি কার্টার গত কয়েক বছর ধরে ত্বকের ক্যানসার মেলানোমাসহ বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। ইতিমধ্যে তাঁর যকৃৎ ও মস্তিষ্কে ক্যানসার ছড়িয়ে পড়েছে। অবশ্য, অসুস্থতার জন্য তাঁকে যেসব চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে তাতে তিনি ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন। কার্টার সেন্টারের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘তাঁর (কার্টার) পরিবার ও চিকিৎসক দল তাঁকে পূর্ণ সমর্থন দিচ্ছে। কার্টারের পরিবার অনুরোধ জানিয়েছে যেন এ সময়টুকুতে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা বজায় রাখা হয়। কার্টারের জন্য তাঁর ভক্ত-অনুরাগীরা যে ধরনের উদ্বেগ উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেছেন তার জন্য তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে পরিবার।’
জিমি কার্টার প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় থাকাকালীন যুক্তরাষ্ট্রে অর্থনৈতিক দুর্দশা চলছিল। তাঁর শাসনকালেই ইরানে মার্কিন দূতাবাসে যুক্তরাষ্ট্রের ৫২ জন কূটনীতিক ও নাগরিককে জিম্মি করা হয়েছিল। তিনি ক্ষমতা ছাড়ার পর এই জিম্মি দশার অবসান হয়। অবশ্য ক্যাম্প ডেভিড চুক্তি স্বাক্ষরের ক্ষেত্রে কার্টারের ভূমিকা ছিল। এর মধ্য দিয়ে মিশর ও ইসরায়েলের মধ্যে শান্তিচুক্তি সম্ভব হয়েছিল। ১৯৮০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বী রোনাল্ড রিগ্যানের কাছে পরাজিত হয়ে হোয়াইট হাউস ছাড়েন কার্টার। অবশ্য, পরবর্তী কয়েক দশক ধরে তাঁকে বিভিন্ন মানবিক সহায়তাসংক্রান্ত কর্মকা- চালাতে দেখা গেছে। আন্তর্জাতিক সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধান খুঁজে পেতে নিরলস প্রচেষ্টা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতিসাধন এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখার স্বীকৃতি হিসেবে ২০২২ সালে তাঁকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। ১৯৪৬ সালে রোসালিনকে বিয়ে করেন কার্টার। এই দম্পতির চার সন্তান।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বাড়িতেই পরিবারের সঙ্গে থাকতে চান ক্যানসার আক্রান্ত জিমি কার্টার

আপডেট সময় : ১১:০৬:৪৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জীবনের শেষ সময়টুকু পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বাড়িতেই কাটাবেন বলেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার। গতকাল শনিবার জিমি কার্টারের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান কার্টার সেন্টারের দেওয়া বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
জিমি কার্টারের বয়স এখন ৯৮ বছর। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে হোয়াইট হাউস ছাড়ার পর সবচেয়ে দীর্ঘজীবী সাবেক প্রেসিডেন্ট তিনি। এই ডেমোক্র্যাট নেতা ১৯৭৭ সালের জানুয়ারি থেকে ১৯৮১ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। জর্জিয়ার বাসিন্দা জিমি কার্টার গত কয়েক বছর ধরে ত্বকের ক্যানসার মেলানোমাসহ বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। ইতিমধ্যে তাঁর যকৃৎ ও মস্তিষ্কে ক্যানসার ছড়িয়ে পড়েছে। অবশ্য, অসুস্থতার জন্য তাঁকে যেসব চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে তাতে তিনি ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন। কার্টার সেন্টারের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘তাঁর (কার্টার) পরিবার ও চিকিৎসক দল তাঁকে পূর্ণ সমর্থন দিচ্ছে। কার্টারের পরিবার অনুরোধ জানিয়েছে যেন এ সময়টুকুতে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা বজায় রাখা হয়। কার্টারের জন্য তাঁর ভক্ত-অনুরাগীরা যে ধরনের উদ্বেগ উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেছেন তার জন্য তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে পরিবার।’
জিমি কার্টার প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় থাকাকালীন যুক্তরাষ্ট্রে অর্থনৈতিক দুর্দশা চলছিল। তাঁর শাসনকালেই ইরানে মার্কিন দূতাবাসে যুক্তরাষ্ট্রের ৫২ জন কূটনীতিক ও নাগরিককে জিম্মি করা হয়েছিল। তিনি ক্ষমতা ছাড়ার পর এই জিম্মি দশার অবসান হয়। অবশ্য ক্যাম্প ডেভিড চুক্তি স্বাক্ষরের ক্ষেত্রে কার্টারের ভূমিকা ছিল। এর মধ্য দিয়ে মিশর ও ইসরায়েলের মধ্যে শান্তিচুক্তি সম্ভব হয়েছিল। ১৯৮০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বী রোনাল্ড রিগ্যানের কাছে পরাজিত হয়ে হোয়াইট হাউস ছাড়েন কার্টার। অবশ্য, পরবর্তী কয়েক দশক ধরে তাঁকে বিভিন্ন মানবিক সহায়তাসংক্রান্ত কর্মকা- চালাতে দেখা গেছে। আন্তর্জাতিক সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধান খুঁজে পেতে নিরলস প্রচেষ্টা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতিসাধন এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখার স্বীকৃতি হিসেবে ২০২২ সালে তাঁকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। ১৯৪৬ সালে রোসালিনকে বিয়ে করেন কার্টার। এই দম্পতির চার সন্তান।