ঢাকা ০৮:২৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫

বাজেট অবাস্তব নয়: এফবিসিসিআই

  • আপডেট সময় : ০২:১৯:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ জুন ২০২১
  • ৬৪ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রস্তাবিত ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকার বাজেট বাস্তবসম্মত বলে মন্তব্য করেছেন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় সংসদে ২০২১-২০২২ সালের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট উত্থাপনের পর তিনি এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশের জনগণের চাহিদা ও আকাঙ্খা পূরণে সরকারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের জন্য বাজেটের এই আকার অবাস্তব নয়। এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামালকে বেসরকারি খাতের পক্ষ থেকে আন্তরিক অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
প্রস্তাবিত বাজেটের মোট ব্যয় প্রাক্কলন করা হয়েছে ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা, যা জিডিপির ১৭ দশমিক ৫ শতাংশ। পরিচালনাসহ অন্যান্য খাতে মোট বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৩ লাখ ৭৮ হাজার ৩৫৭ কোটি টাকা এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বরাদ্দ ধরা হয়েছে ২ লাখ ২৫ হাজার ৩২৪ কোটি টাকা।
প্রস্তাবিত বাজেটে ঘাটতি বিষয়ে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, এবারের প্রস্তাবিত বাজেটে ২ লাখ ১৪ হাজার ৬৮১ কোটি টাকার ঘাটতি ধরা হয়েছে। যা জিডিপির ৬ দশমিক ২ শতাংশ। ঘাটতি মেটাতে সরকারকে ১ লাখ ১৩ হাজার ৪৫৩ কোটি টাকার অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে নিতে হবে। এর মধ্যে ব্যাংক থেকে নিতে হবে ৭৬ হাজার ৪৫২ কোটি টাকা এবং সেভিংস সার্টিফিকেট থেকে ৩২ হাজার কোটি টাকা। ঘাটতি মেটাতে স্থানীয় ব্যাংক ব্যবস্থার পরিবর্তে যথাসম্ভব সূলভ সুদে বৈদেশিক উৎস হতে অর্থায়নের অনুরোধ জানাচ্ছি।
এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি বলেন, দেশের অর্থনীতির পরিকাঠামো বৃদ্ধির সাথে সাথে বাজেটের আকারও প্রতি বছর বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে বাজেট বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ হচ্ছে সুশাসন, যথাযথ মনিটরিং, বিনিয়োগ ও উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্যবান্ধব রাজস্ব ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কাঙ্খিত রাজস্ব আদায়।
বাজেট বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে দক্ষতা, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং তদারকের মান ক্রমাগতভাবে উন্নয়নের সুস্পষ্ট দিক-নির্দেশনা ও পরিকল্পনা নিশ্চিত করা জরুরি।
এছাড়া, ৫ শতাংশ অগ্রিম আয়কর (এআইটি) ব্যবসায়িক খরচ বাড়িয়ে দিচ্ছে। আমরা অগ্রিম আয়কর (এআইটি) বিলুপ্ত করার জন্য প্রস্তাব করেছিলাম কিন্তু এ বিষয়ে বাজেটে কোন প্রতিফলন দেখা যায়নি। অগ্রিম আয়কর যথাযথ সমন্বয় রিফান্ড না হওয়ায় পরিচালনা ব্যয় বৃদ্ধি পায়। পদ্ধতিগত জটিলতা নিরসনপূর্বক অগ্রিম আয়কর যথা সময়ে সমন্বয় করার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বাজেট অবাস্তব নয়: এফবিসিসিআই

আপডেট সময় : ০২:১৯:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ জুন ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রস্তাবিত ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকার বাজেট বাস্তবসম্মত বলে মন্তব্য করেছেন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় সংসদে ২০২১-২০২২ সালের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট উত্থাপনের পর তিনি এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশের জনগণের চাহিদা ও আকাঙ্খা পূরণে সরকারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের জন্য বাজেটের এই আকার অবাস্তব নয়। এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামালকে বেসরকারি খাতের পক্ষ থেকে আন্তরিক অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
প্রস্তাবিত বাজেটের মোট ব্যয় প্রাক্কলন করা হয়েছে ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা, যা জিডিপির ১৭ দশমিক ৫ শতাংশ। পরিচালনাসহ অন্যান্য খাতে মোট বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৩ লাখ ৭৮ হাজার ৩৫৭ কোটি টাকা এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বরাদ্দ ধরা হয়েছে ২ লাখ ২৫ হাজার ৩২৪ কোটি টাকা।
প্রস্তাবিত বাজেটে ঘাটতি বিষয়ে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, এবারের প্রস্তাবিত বাজেটে ২ লাখ ১৪ হাজার ৬৮১ কোটি টাকার ঘাটতি ধরা হয়েছে। যা জিডিপির ৬ দশমিক ২ শতাংশ। ঘাটতি মেটাতে সরকারকে ১ লাখ ১৩ হাজার ৪৫৩ কোটি টাকার অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে নিতে হবে। এর মধ্যে ব্যাংক থেকে নিতে হবে ৭৬ হাজার ৪৫২ কোটি টাকা এবং সেভিংস সার্টিফিকেট থেকে ৩২ হাজার কোটি টাকা। ঘাটতি মেটাতে স্থানীয় ব্যাংক ব্যবস্থার পরিবর্তে যথাসম্ভব সূলভ সুদে বৈদেশিক উৎস হতে অর্থায়নের অনুরোধ জানাচ্ছি।
এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি বলেন, দেশের অর্থনীতির পরিকাঠামো বৃদ্ধির সাথে সাথে বাজেটের আকারও প্রতি বছর বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে বাজেট বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ হচ্ছে সুশাসন, যথাযথ মনিটরিং, বিনিয়োগ ও উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্যবান্ধব রাজস্ব ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কাঙ্খিত রাজস্ব আদায়।
বাজেট বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে দক্ষতা, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং তদারকের মান ক্রমাগতভাবে উন্নয়নের সুস্পষ্ট দিক-নির্দেশনা ও পরিকল্পনা নিশ্চিত করা জরুরি।
এছাড়া, ৫ শতাংশ অগ্রিম আয়কর (এআইটি) ব্যবসায়িক খরচ বাড়িয়ে দিচ্ছে। আমরা অগ্রিম আয়কর (এআইটি) বিলুপ্ত করার জন্য প্রস্তাব করেছিলাম কিন্তু এ বিষয়ে বাজেটে কোন প্রতিফলন দেখা যায়নি। অগ্রিম আয়কর যথাযথ সমন্বয় রিফান্ড না হওয়ায় পরিচালনা ব্যয় বৃদ্ধি পায়। পদ্ধতিগত জটিলতা নিরসনপূর্বক অগ্রিম আয়কর যথা সময়ে সমন্বয় করার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।