ঢাকা ০৮:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বাজার মূলধন বাড়লো ৪ হাজার কোটি টাকা

  • আপডেট সময় : ০৫:৪২:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ৫ বার পড়া হয়েছে

বাণিজ্য ডেস্ক : দেশের শেয়ারবাজারে লেনদেন হওয়া পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে চার কার্যদিবসেই মূল্যসূচকের পতন হয়েছে। এক কার্যদিবসে মূল্যসূচক বাড়লেও দাম কমার তালিকায় ছিল বেশি প্রতিষ্ঠান। ফলে গত সপ্তাহজুড়ে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে।

ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় যে কয়টি প্রতিষ্ঠান স্থান পেয়েছে, তার প্রায় তিনগুণ প্রতিষ্ঠান রয়েছে দাম কমার তালিকায়। স্বাভাবিকভাবেই পতন হয়েছে সবকটি মূল্যসূচকের। সেই সঙ্গে কমেছে দৈনিক গড় লেনদেনের পরিমাণও। কিন্তু এই পতনের বাজারেও ডিএসইর বাজার মূলধন ৪ হাজার কোটি টাকার ওপরে বেড়েছে। গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৯৮টির স্থান হয়েছে দাম বাড়ার তালিকায়। বিপরীতে দাম কমেছে ২৭২টির।

আর ২৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। অর্থাৎ দাম বাড়ার তালিকায় যে কয়টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে, তার ২ দশমিক ৭৮ গুণ বেশি প্রতিষ্ঠান রয়েছে দাম কমার তালিকায়। এমন দরপতনের বাজারে গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৬৪ হাজার ৮২৫ কোটি টাকা। যা আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৬ লাখ ৬০ হাজার ৫৮৭ কোটি টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে ৪ হাজার ২৩৮ কোটি টাকা বা দশমিক ৬৪ শতাংশ। আগের সপ্তাহে বাজার মূলধন বাড়ে ৩ হাজার ৬৪৭ কোটি টাকা বা দশমিক ৫৬ শতাংশ। বাজার মূলধন বাড়লেও গত সপ্তাহে সবকটি মূল্যসূচকের পতন হয়েছে।

ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স গত সপ্তাহে কমেছে ৫৩ দশমিক ৬৩ পয়েন্ট বা ১ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এই সূচক বাড়ে ৩২ দশমিক ৬১ পয়েন্ট বা দশমিক ৬৪ শতাংশ। তার আগের দুই সপ্তাহে কমে ৬০ দশমিক ৫১ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ১৬ শতাংশ এবং ৫ দশমিক ১৯ পয়েন্ট বা দশমিক ১০ শতাংশ। প্রধান মূল্যসূচকের পাশাপাশি গত সপ্তাহে কমেছে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক। গত সপ্তাহে সূচকটি কমেছে ৯ দশমিক ১৯ পয়েন্ট বা দশমিক ৪৮ শতাংশ। আগের সপ্তাহের সূচকটি বাড়ে ১৮ দশমিক ৭৭ পয়েন্ট বা দশমিক ৯৯ শতাংশ।

প্রধান ও ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত সূচক কমার পাশাপাশি কমেছে ইসলামি শরিয়াহ ভিত্তিতে পরিচালিত কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই শরিয়াহ সূচক। গত সপ্তাহজুড়ে এই সূচক কমেছে ২৭ দশমিক ৮৭ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৪০ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি বাড়ে ১১ দশমিক ২১ পয়েন্ট বা দশমিক ৯৭ শতাংশ। সবকটি মূল্যসূচক কমার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের গতিও কমেছে। গত সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৩৩৮ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৪১২ কোটি ৬৭ লাখ টাকা।

অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমেছে ৭৩ কোটি ৬৯ লাখ টাকা বা ১৭ দশমিক ৮৬ শতাংশ। এতে সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে এডিএন টেলিকমের শেয়ার। কোম্পানিটির শেয়ার প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ১০ কোটি ৫৫ লাখ টাকার, যা মোট লেনদেনের ৩ দশমিক ১১ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা অগ্নি সিস্টেমের শেয়ার প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ৮ কোটি ১২ লাখ টাকা। প্রতিদিন গড়ে ৮ কোটি ১০ লাখ টাকা লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে খান ব্রদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ।এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- ব্র্যাক ব্যাংক, ড্রাগন সোয়েটার, ওরিয়ন ইনফিউশন, মালেক স্পিনিং, মিডল্যান্ড ব্যাংক, ফারইস্ট নিটিং এবং এসিআই।
দরপতনের শীর্ষে প্রাইম ফাইন্যান্স ফান্ড

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে (২৬ জানুয়ারি থেকে ৩০ জানুয়ারি) লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দরপতনের শীর্ষে উঠে এসেছে প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড। সপ্তাহজুড়ে প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ডের দর কমেছে ২৬ দশমিক ৩০ শতাংশ। কোম্পানিটির শেয়ারের মূল্য কমেছে ৫ টাকা ৬০ পয়সা।

তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা বিডি থাই ফুডস লিমিটেডের শেয়ারদর কমেছে ১৭ দশমিক ৮৮ শতাংশ। কোম্পানিটির শেয়ারের দাম কমেছে ২ টাকা ৭০ পয়সা। আর তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকা রেনেটা পিএলসির শেয়ারদর কমেছে ১৩ দশমিক ৮৪ শতাংশ। কোম্পানিটির শেয়ারের দাম কমেছে ৮০ টাকা ২০ পয়সা। তালিকায় উঠে আসা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে- এডিএন টেলিকমের ১৩ দশমিক ৫১ শতাংশ, বিবিএস ক্যাবলসের ১২ দশমিক ৭২ শতাংশ, সালভো কেমিক্যালসের ১২ দশমিক ১৩ শতাংশ, ক্যাপিটেক গ্রামীণ ফার্স্ট ব্যাংক গ্রোথ ফান্ড ১১ দশমিক ৮৪ শতাংশ, গ্লোডেন সন লিমিটেডের ১১ দশমিক ১১ শতাংশ, ওরিয়ন ফার্মার ১০ দশমিক ৪৫ শতাংশ এবং ইভেন্স টেক্সটাইল লিমিটেড ১০ দশমিক ৩১ শতাংশ শেয়ার দর কমেছে।

দরবৃদ্ধির শীর্ষে ডেল্টা স্পিনার্স
গত সপ্তাহে লেনদেনে অংশ নেয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দরবৃদ্ধির শীর্ষে উঠে এসেছে ডেল্টা স্পিনিং লিমিটেড। ডেল্টা স্পিনিং লিমিটেডের শেয়ারদর আগের সপ্তাহের তুলনায় ৩৯ দশমিক ১৩ শতাংশ বেড়েছে। সপ্তাহ শেষে কোম্পানিটির সমাপনী মূল্য দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ৮০ পয়সায়। দরবৃদ্ধির তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ২৫ দশমিক ৭১ শতাংশ। আর ৫ দশমিক ৪০ শতাংশ শেয়ারদর বাড়ায় তালিকার তৃতীয়স্থানে অবস্থান করেছে তাল্লু স্পিনিং মিলস লিমিটেড। সাপ্তাহিক দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় উঠে আসা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে প্রাইম টেক্সটাইল স্পিনিং মিলস লিমিটেড ১৫ দশমিক ৬৩ শতাংশ, হাক্কানি পুল্প অ্যান্ড পেপার মিলস লিমিটেড ১৩ দশমিক ৬৩ শতাংশ, গ্লোবাল হেভি কেমিক্যালস লিমিটেড ১২ দশমিক ১৪ শতাংশ, সোনারগাঁও টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড ১০ দশমিক ১৪ শতাংশ, চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ, এসবিএসি ব্যাংক পিএলসি ৮ দশমিক ৮৬ শতাংশ এবং খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড ৮ দশমিক ২০ শতাংশ শেয়ার দর বেড়েছে।
লেনদেনের শীর্ষে এডিএন টেলিকম
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির মাঝে লেনদেনর তালিকার শীর্ষে উঠে এসেছে এডিএন টেলিকম লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানটির প্রতিদিন গড় ১০ কোটি ৫৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা ছিল ডিএসইর মোট লেনদেনের ৩ দশমিক ১১ শতাংশ। লেনদেনের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে অগ্নি সিস্টেমস লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানটির প্রতিদিন গড়ে ৮ কোটি ১২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা ছিল ডিএসইর মোট লেনদেনের ২ দশমিক ৪০ শতাংশ। সাপ্তাহিক লেনদেনের তৃতীয় স্থানে থাকা খান ব্রাদার্স অ্যান্ড পিপি ওভেন ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড সপ্তাহজুড়ে প্রতিদিন গড়ে ৮ কোটি ১০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন করেছে। যা ডিএসইর মোট লেনদেনের ২ দশমিক ৩৯ শতাংশ। এছাড়াও, প্রতিদিন গড় লেনদেনে সাপ্তাহিক শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি ৭ কোটি ৮৮ লাখ টাকা, ড্রাগন সোয়েটার অ্যান্ড স্পিনিং লিমিটেড ৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা, ওরিয়ন ইনফিউশন লিমিটেড ৭ কোটি ৭৪ লাখ টাকা, মালেক স্পিনিং লিমিটেড ৬ কোটি ৫৩ লাখ টাকা, মিডল্যান্ড ব্যাংক পিএলসি ৬ কোটি ৩৫ লাখ টাকা, ফার ইস্ট নিটিং অ্যান্ড ডায়িং ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ৫ কোটি ৯৩ লাখ টাকা এবং এসিআই লিমিটেড ৫ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। –

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বাজার মূলধন বাড়লো ৪ হাজার কোটি টাকা

আপডেট সময় : ০৫:৪২:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বাণিজ্য ডেস্ক : দেশের শেয়ারবাজারে লেনদেন হওয়া পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে চার কার্যদিবসেই মূল্যসূচকের পতন হয়েছে। এক কার্যদিবসে মূল্যসূচক বাড়লেও দাম কমার তালিকায় ছিল বেশি প্রতিষ্ঠান। ফলে গত সপ্তাহজুড়ে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে।

ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় যে কয়টি প্রতিষ্ঠান স্থান পেয়েছে, তার প্রায় তিনগুণ প্রতিষ্ঠান রয়েছে দাম কমার তালিকায়। স্বাভাবিকভাবেই পতন হয়েছে সবকটি মূল্যসূচকের। সেই সঙ্গে কমেছে দৈনিক গড় লেনদেনের পরিমাণও। কিন্তু এই পতনের বাজারেও ডিএসইর বাজার মূলধন ৪ হাজার কোটি টাকার ওপরে বেড়েছে। গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৯৮টির স্থান হয়েছে দাম বাড়ার তালিকায়। বিপরীতে দাম কমেছে ২৭২টির।

আর ২৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। অর্থাৎ দাম বাড়ার তালিকায় যে কয়টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে, তার ২ দশমিক ৭৮ গুণ বেশি প্রতিষ্ঠান রয়েছে দাম কমার তালিকায়। এমন দরপতনের বাজারে গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৬৪ হাজার ৮২৫ কোটি টাকা। যা আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৬ লাখ ৬০ হাজার ৫৮৭ কোটি টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে ৪ হাজার ২৩৮ কোটি টাকা বা দশমিক ৬৪ শতাংশ। আগের সপ্তাহে বাজার মূলধন বাড়ে ৩ হাজার ৬৪৭ কোটি টাকা বা দশমিক ৫৬ শতাংশ। বাজার মূলধন বাড়লেও গত সপ্তাহে সবকটি মূল্যসূচকের পতন হয়েছে।

ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স গত সপ্তাহে কমেছে ৫৩ দশমিক ৬৩ পয়েন্ট বা ১ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এই সূচক বাড়ে ৩২ দশমিক ৬১ পয়েন্ট বা দশমিক ৬৪ শতাংশ। তার আগের দুই সপ্তাহে কমে ৬০ দশমিক ৫১ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ১৬ শতাংশ এবং ৫ দশমিক ১৯ পয়েন্ট বা দশমিক ১০ শতাংশ। প্রধান মূল্যসূচকের পাশাপাশি গত সপ্তাহে কমেছে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক। গত সপ্তাহে সূচকটি কমেছে ৯ দশমিক ১৯ পয়েন্ট বা দশমিক ৪৮ শতাংশ। আগের সপ্তাহের সূচকটি বাড়ে ১৮ দশমিক ৭৭ পয়েন্ট বা দশমিক ৯৯ শতাংশ।

প্রধান ও ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত সূচক কমার পাশাপাশি কমেছে ইসলামি শরিয়াহ ভিত্তিতে পরিচালিত কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই শরিয়াহ সূচক। গত সপ্তাহজুড়ে এই সূচক কমেছে ২৭ দশমিক ৮৭ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৪০ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি বাড়ে ১১ দশমিক ২১ পয়েন্ট বা দশমিক ৯৭ শতাংশ। সবকটি মূল্যসূচক কমার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের গতিও কমেছে। গত সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৩৩৮ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৪১২ কোটি ৬৭ লাখ টাকা।

অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমেছে ৭৩ কোটি ৬৯ লাখ টাকা বা ১৭ দশমিক ৮৬ শতাংশ। এতে সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে এডিএন টেলিকমের শেয়ার। কোম্পানিটির শেয়ার প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ১০ কোটি ৫৫ লাখ টাকার, যা মোট লেনদেনের ৩ দশমিক ১১ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা অগ্নি সিস্টেমের শেয়ার প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ৮ কোটি ১২ লাখ টাকা। প্রতিদিন গড়ে ৮ কোটি ১০ লাখ টাকা লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে খান ব্রদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ।এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- ব্র্যাক ব্যাংক, ড্রাগন সোয়েটার, ওরিয়ন ইনফিউশন, মালেক স্পিনিং, মিডল্যান্ড ব্যাংক, ফারইস্ট নিটিং এবং এসিআই।
দরপতনের শীর্ষে প্রাইম ফাইন্যান্স ফান্ড

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে (২৬ জানুয়ারি থেকে ৩০ জানুয়ারি) লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দরপতনের শীর্ষে উঠে এসেছে প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড। সপ্তাহজুড়ে প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ডের দর কমেছে ২৬ দশমিক ৩০ শতাংশ। কোম্পানিটির শেয়ারের মূল্য কমেছে ৫ টাকা ৬০ পয়সা।

তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা বিডি থাই ফুডস লিমিটেডের শেয়ারদর কমেছে ১৭ দশমিক ৮৮ শতাংশ। কোম্পানিটির শেয়ারের দাম কমেছে ২ টাকা ৭০ পয়সা। আর তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকা রেনেটা পিএলসির শেয়ারদর কমেছে ১৩ দশমিক ৮৪ শতাংশ। কোম্পানিটির শেয়ারের দাম কমেছে ৮০ টাকা ২০ পয়সা। তালিকায় উঠে আসা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে- এডিএন টেলিকমের ১৩ দশমিক ৫১ শতাংশ, বিবিএস ক্যাবলসের ১২ দশমিক ৭২ শতাংশ, সালভো কেমিক্যালসের ১২ দশমিক ১৩ শতাংশ, ক্যাপিটেক গ্রামীণ ফার্স্ট ব্যাংক গ্রোথ ফান্ড ১১ দশমিক ৮৪ শতাংশ, গ্লোডেন সন লিমিটেডের ১১ দশমিক ১১ শতাংশ, ওরিয়ন ফার্মার ১০ দশমিক ৪৫ শতাংশ এবং ইভেন্স টেক্সটাইল লিমিটেড ১০ দশমিক ৩১ শতাংশ শেয়ার দর কমেছে।

দরবৃদ্ধির শীর্ষে ডেল্টা স্পিনার্স
গত সপ্তাহে লেনদেনে অংশ নেয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দরবৃদ্ধির শীর্ষে উঠে এসেছে ডেল্টা স্পিনিং লিমিটেড। ডেল্টা স্পিনিং লিমিটেডের শেয়ারদর আগের সপ্তাহের তুলনায় ৩৯ দশমিক ১৩ শতাংশ বেড়েছে। সপ্তাহ শেষে কোম্পানিটির সমাপনী মূল্য দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ৮০ পয়সায়। দরবৃদ্ধির তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ২৫ দশমিক ৭১ শতাংশ। আর ৫ দশমিক ৪০ শতাংশ শেয়ারদর বাড়ায় তালিকার তৃতীয়স্থানে অবস্থান করেছে তাল্লু স্পিনিং মিলস লিমিটেড। সাপ্তাহিক দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় উঠে আসা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে প্রাইম টেক্সটাইল স্পিনিং মিলস লিমিটেড ১৫ দশমিক ৬৩ শতাংশ, হাক্কানি পুল্প অ্যান্ড পেপার মিলস লিমিটেড ১৩ দশমিক ৬৩ শতাংশ, গ্লোবাল হেভি কেমিক্যালস লিমিটেড ১২ দশমিক ১৪ শতাংশ, সোনারগাঁও টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড ১০ দশমিক ১৪ শতাংশ, চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ, এসবিএসি ব্যাংক পিএলসি ৮ দশমিক ৮৬ শতাংশ এবং খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড ৮ দশমিক ২০ শতাংশ শেয়ার দর বেড়েছে।
লেনদেনের শীর্ষে এডিএন টেলিকম
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির মাঝে লেনদেনর তালিকার শীর্ষে উঠে এসেছে এডিএন টেলিকম লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানটির প্রতিদিন গড় ১০ কোটি ৫৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা ছিল ডিএসইর মোট লেনদেনের ৩ দশমিক ১১ শতাংশ। লেনদেনের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে অগ্নি সিস্টেমস লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানটির প্রতিদিন গড়ে ৮ কোটি ১২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা ছিল ডিএসইর মোট লেনদেনের ২ দশমিক ৪০ শতাংশ। সাপ্তাহিক লেনদেনের তৃতীয় স্থানে থাকা খান ব্রাদার্স অ্যান্ড পিপি ওভেন ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড সপ্তাহজুড়ে প্রতিদিন গড়ে ৮ কোটি ১০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন করেছে। যা ডিএসইর মোট লেনদেনের ২ দশমিক ৩৯ শতাংশ। এছাড়াও, প্রতিদিন গড় লেনদেনে সাপ্তাহিক শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি ৭ কোটি ৮৮ লাখ টাকা, ড্রাগন সোয়েটার অ্যান্ড স্পিনিং লিমিটেড ৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা, ওরিয়ন ইনফিউশন লিমিটেড ৭ কোটি ৭৪ লাখ টাকা, মালেক স্পিনিং লিমিটেড ৬ কোটি ৫৩ লাখ টাকা, মিডল্যান্ড ব্যাংক পিএলসি ৬ কোটি ৩৫ লাখ টাকা, ফার ইস্ট নিটিং অ্যান্ড ডায়িং ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ৫ কোটি ৯৩ লাখ টাকা এবং এসিআই লিমিটেড ৫ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। –